প্রায় দুই দশক পর দিল্লি থেকে মানসিকভাবে সুস্থ হয়ে ঘরে ফিরল বাংলার যুবক । তাই সকলেই এসে হাজির হচ্ছেন মুর্শিদাবাদ-মালদা লাগোয়া সীমান্তবর্তী রেল বাজার এলাকায়।
প্রায় দুই দশক পর দিল্লি (Delhi) থেকে মানসিকভাবে সুস্থ হয়ে ঘরে ফিরল বাংলার যুবক। 'রিল' লাইফের ছায়া নেমে এল 'রিয়েল' লাইফে (Real Life)। এযেন সিনেমাকেও (Film)হার মানায়। হতবাক গোটা এলাকাবাসী (Murshidabad)। সবারই মনে একটাই প্রশ্ন কেমন তাও আবার হয় নাকি। তাই চক্ষু কর্ণে বিবাদ ভঞ্জন করতে সকলেই রবিবার বিকেলের পর থেকে এসে হাজির হচ্ছেন মুর্শিদাবাদ-মালদা লাগোয়া সীমান্তবর্তী রেল বাজার এলাকায়। মনে একটাই ইচ্ছে যায় এতদিন চলচ্চিত্র কিংবা টিভির পর্দায় দেখে এসেছেন আমজনতা তা এবার ঘটে গিয়েছে বাস্তব জীবনে। তাই একটিবার অন্তত চোখের দেখা দেখে নিজের মনকে শান্ত করতে চাইছেন সকলে।
মাঝে কেটে গিয়েছে টানা 'দুই 'দশকেরও বেশি সময়। চোখের নিচে বলিরেখা পড়ে গেলেও চেহারা সেই অবিকল রয়েছে গ্রামের ছেলে প্রদীপ হালদারের। তাই এক দেখাতেই কাউ চিনে নিতে এতোটুকু সমস্যা হচ্ছে না তাদের পরিচিত প্রদীপকে। সালটা ১৯৯৮ সেই সময় প্রচন্ড বৃষ্টি তে চারিদিক প্রায় জলমগ্ন।এমন সময় মানসিক ভারসাম্যহীন ছেলে প্রদীপ হালদারকে চিকিৎসার জন্য তার পরিবার তাকে সঙ্গে করে নিয়ে আসেন রঘুনাথগঞ্জ শহরের এক স্বনামধন্য চিকিৎসকের কাছে। ব্যাস এটুকুই। তারপরের টা পুরোটা 'রিল' লাইফের চিত্রনাট্যে সঙ্গে অবিকল মিলে গেল এই দিন রবিবার। হন্যে হয়ে ছেলেকে গ্রাম থেকে গ্রামান্তরে শহর পত্র পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিয়ে খুজে ফেলার যাবতীয় চেষ্টা করেন প্রদীপের খেটে খাওয়া পরিবারের সদস্যরা। তাতে বিশেষ খুব একটা কিছু লাভ হয়নি। খোঁজ মেলেনি সেইসময়ের কিশোর প্রদীপের। তবে আছ যখন বিভিন্ন রাজ্য ঘুরে সুদূর স্বপ্ন নগরী মুম্বাই থেকে তার চিকিৎসা করিয়ে দিল্লির এক স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা খানিকটা সুস্থ করে রীতিমতো বছর চল্লিশের পূর্ণাঙ্গ ব্যক্তিতে পরিণত করে প্রদীপকে তার পরিবারের লোকজনের কাছে ফিরিয়ে আনতে সক্ষম হল।তখন যেন মাহেন্দ্রক্ষনের সৃষ্টি হল পরিবারের লোকের কাছে। বাড়ি ঢুকতেই সকলের চক্ষু চড়কগাছ। কারোর খাওয়া মাঝ পথে থেমে গেল,তোকেও হাউমাউ করে কেঁদে ওঠে প্রদীপকে জড়িয়ে ধরলেন স্নেহের পরশে। প্রদীপ আর চোখের জল বেঁধে রাখতে পারল না।মাকে কাছে পেয়ে রীতিমতো আবেগ তাড়িত হয়ে পড়ে প্রদীপ সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধিদের কাছে।
আরও পড়ুন, By Election: খড়দহে জয়ের প্রচারে শুভেন্দু, 'মঞ্চ তৈরিতে বাধা দিচ্ছে তৃণমূল', অভিযোগ BJP-র
এদিকে এই খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়তেই এখন প্রদীপের বাড়ি জুড়ে যেন মেলা বসে গিয়েছে গ্রামের মানুষজনের।সকলেই এখন হাসছেন একবার চোখের দেখা দেখতে দুই দশক আগে হারিয়ে যাওয়া ছোট্ট প্রদীপকে চাক্ষুষ করার জন্য। কীভাবে সে মুর্শিদাবাদ থেকে দিল্লি সুদূর মুম্বাই হয়ে ফের এত বছর পর তার বাড়িতে এসে পৌছালো সেই কাহিনী জানতেই এখন মরিয়া হয়ে উঠেছে গ্রামের লোকজন। শেষ পাওয়া খবরে জানা যায়, দিল্লির এক স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার কাছে বছর কয়েক আগে প্রদীপ এসে পৌঁছায়।তারপরে তারাই প্রদীপকে মুম্বাইয়ে চিকিৎসা করিয়ে সুস্থ করে তোলেন খানিকটা তারপরে নানান পরীক্ষা নিরীক্ষার মধ্যে দিয়ে প্রদীপ এর নাম ও বাড়ির ঠিকানা খুঁজে বের করেন তারা। অবশেষে মায়ের কাছে ফিরিয়ে দেওয়া সম্ভব হয় প্রদীপকে।
এদিন সংবাদমাধ্যমের সামনে মুচকি হেসে প্রদীপ বলেন,'এখন অত কিছু বলতে পারব না তবে বাড়ি ফিরে পেয়েছি। মাকে ফিরে পেয়েছি কটা দিন একটু পরিবারের সঙ্গে কাটাই তার পরে কথা হবে"। এদিকে প্রতিবেশী তপন হালদার অশোক দাস তারা বলেন,"আমরা ভাবতেই পারছিনা এমন ঘটনা সিনেমার জগতের বাইরে বাস্তবে ঘটে তাই সকলেই এখন ওর বাড়িতে গিয়ে হাজির হচ্ছি এক আশ্চর্য ঘটনা আমাদের এলাকায়।'
আরও দেখুন, বিরিয়ানি থেকে তন্দুরি, রইল কলকাতার সেরা খাবারের ঠিকানার হদিশ
আরও দেখুন, কলকাতার কাছেই সেরা ৫ ঘুরতে যাওয়ার জায়গা, থাকল ছবি সহ ঠিকানা
আরও দেখুন, মাছ ধরতে ভালবাসেন, বেরিয়ে পড়ুন কলকাতার কাছেই এই ঠিকানায়
আরও পড়ুন, ভাইরাসের ভয় নেই তেমন এখানে, ঘুরে আসুন ভুটানে