ব্যবধান দিন পাঁচেকের। ফের করোনার ছোবল বীরভূমে। সংক্রমণ ধরা পড়ল আরও তিনজনের। তাঁদের মধ্যে দু'জন আবার মুম্বই ফেরত। আক্রান্তদের দুর্গাপুরে কোভিড হাসপাতালে পাঠিয়ে দিয়েছে জেলা প্রশাসন।
আরও পড়ুন: হাওড়া যোগে ছড়াল সংক্রমণ, ফের করোনা আক্রান্তের হদিশ মিলল মেদিনীপুরে
করোনা আক্রান্ত দু'জনের বাড়ি দুবরাজপুরের নারায়ণপুর গ্রামে। তাঁরা সম্পর্কে কাকা-ভাইপো। ক্যানসারের চিকিৎসা করাতে গিয়েছিলেন মুম্বই-এ। ২৭ এপ্রিল অ্যাম্বুল্যান্স ভাড়া করে ফেরেন ওই দু'জন। তাঁদের রাখা হয়েছিল বক্রেশ্বরে, সরকারি কোয়ারেন্টাইনে সেন্টারে। লালারস বা সোয়াব পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয় মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাসে। করোনা পজিটিভ রিপোর্ট এসেছে।
করোনা আক্রান্ত আর এক যুবক রামপুরহাটের বাসিন্দা। বাড়ি, বগটুই গ্রামে। কর্মসূত্রে কলকাতায় থাকতেন তিনি। কিছুট পথে গাড়িতে চেপে, কিছুটা পথে আবার বাইকে, শেষপর্যন্ত হেঁটে ২৭ এপ্রিল সিউড়িতে পৌঁছান ওই যুবক। এরপর এক বন্ধুর বাইকে চেপে চলে আসেন রামপুরহাটে। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, ফেরার পর তাঁকে রাখা হয়েছিল এলাকার কিষাণমান্ডিতে, কোয়ারেন্টাইনে। প্রথমবার স্বাস্থ্য পরীক্ষায় করোনা ধরে পড়েনি। কোয়ারেন্টাইন সেন্টার থেকে ছাড়া পেয়ে গ্রামে রীতিমতো চষে বেড়ান ওই যুবক। বুধবার বিকেলে ফের তাঁকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যান পুলিশ ও স্বাস্থ্যকর্মীরা। স্বাস্থ্য পরীক্ষার চূড়ান্ত রিপোর্টে করোনা সংক্রমণ ধরা পড়েছে। ঘটনায় প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন অনেকেই।
আরও পড়ুন: করোনার থাবায় বন্ধ বাঘাযতীনের এক নার্সিংহোম, স্যানিটাইজেশনে বাঘাযতীন হাসপাতাল
আরও পড়ুন: অবশেষে আজমের শরিফ থেকে রাজ্য়ে, ঘরে ফিরল পরিযায়ী শ্রমিক, তীর্থযাত্রীরা
উল্লেখ্যে, ময়ুরেশ্বরের মহুয়াপুর গ্রামে থেকে ক্যানসারের চিকিৎসা করাতে মুম্বই-এ গিয়েছিলেন তিনজন। ফেরার পর তাঁদের সকলেই করোনা ধরা পড়ে। এই নিয়ে বীরভূমে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হল ছয়।