ভারত সরকার আয়োজিত এশিয়ার সর্ববৃহৎ ইন্ডিয়া ইন্টারন্যাশনাল সায়েন্স ফেস্টিভ্যালে জিতে নিয়েছেন প্রথম পুরস্কার। পরপর দু'বার। দেশ বিদেশের তাবড় তাবড় বিজ্ঞানীদের হারিয়ে এই পুরষ্কার জিতেছেন অভিজ্ঞান।
ফের বাংলার মুকুটে নয়া পালক। ‘বিজ্ঞানের সাথে অভিজ্ঞান’ এটাই চোদ্দ বছরের অভিজ্ঞান কিশোর দাসের জীবনের মূলমন্ত্র। ছোটবেলা থেকেই বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিদ্যার(Science and technology) প্রতি তার কৌতূহল এবং অমোঘ আকর্ষণ তাকে এনে দিয়েছে একাধিক জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি(International recognition)। এমতাবস্থায় এবার ভারত সরকার আয়োজিত এশিয়ার সর্ববৃহৎ ইন্ডিয়া ইন্টারন্যাশনাল সায়েন্স ফেস্টিভ্যালে(India International Science Festival) জিতে নিয়েছেন প্রথম পুরস্কার। পরপর দু'বার। দেশ বিদেশের তাবড় তাবড় বিজ্ঞানীদের হারিয়ে এই পুরষ্কার জিতেছেন অভিজ্ঞান। মানবজাতি এবং তার অকৃত্রিম বন্ধু সুবুজ পৃথিবীকে রক্ষা করাই তার জীবনর মূলমন্ত্র। আর সেই ভাবনা থেকেই উদ্ভাবন এমন এক যন্ত্র যার সাহায্যে যানবাহন জনিত বায়ু দূষণকে করা যাবে শূন্য। পাশাপাশি সমগ্র বিশ্বের স্বাস্থ্যকর্মীদের(Health workers around the world) জন্য বানানো এই বিশেষ স্যানিটাইজিং ব্যবস্থা সম্প্রতি ভারত সরকারের পেটেন্ট স্বীকৃতি লাভ করেছে। মঙ্গলবারই অভিজ্ঞানের "টাচ ফ্রি পোর্টেবল অটোমেটিক হ্যান্ড স্যানিটাইজিং সিস্টেম" ভারত সরকারের পেটেন্ট লাভ করে। যার হাত ধরে এই স্বীকৃতি এসেছে তিনি হলেন মহুয়া হোম চৌধুরী। যিনি উড়িষ্যাকে হারিয়ে পশ্চিমবঙ্গের জন্য রসগোল্লার পেটেন্ট(Rasgolla's patent for West Bengal) এনেছিলেন। অভিজ্ঞানের সাফল্যে খুশি তাঁর পরিবার সহ শুভানুধ্যায়ীরা।
ছেলের সাফল্য সম্পর্কে বলতে গিয়ে মা প্রিয়াঙ্কা দাস বলেন, “অবশেষে পেটেন্ট পাওয়ায় আমাদের খুবই আনন্দ লাগছে। এত তাড়াতাড়ি যে পেটেন্ট পাবে সেটা আমরা কল্পনাও করতে পারিনি। আমাদের আশা এই যে উদ্ভাবনটা হলো তা যাতে দ্রুত বাস্তবায়িত হয়। কারণ বিজ্ঞানের আবিষ্কার যাতে সমাজের কল্যানের কাজে আসে সেটাই তো আসলে মূল লক্ষ্য।আমরা চাইছি কেন্দ্র সরকার বা রাজ্য সরকার বা কোনও কর্পোরেট হাউস যদি এগিয়ে আসেন আমার ছেলের এই উদ্ভাবনাকে বাণিজ্যিক স্তরে কাজে লাগাতে তাহলে খুব ভালো হয়। তাহলে সাধারণ মানুষের কাজে যেমন লাগবে আমাদের স্বপ্ন পূরণও হবে। ছোট থেকেই আমাদের ছেলে যে এই ভাবে সাধারণ মানুষের সমস্য নিয়ে কাজ করছে আমরা চাই আগামীতে ও এই ধরণের কাজ আরও এগিয়ে নিয়ে যাক। দিনের শেষে যাতে ও ভালো মানুষ হয় এটাই আমাদের দেখার।”
আরও পড়ুন-বড়দিনের স্মৃতি ফিরিয়ে বর্ষবরণে মাতল কলকাতা, আতঙ্কের আবহে করোনা ঠেকাতে মাঠে পুলিশ
অন্যদিকে পেটেন্ট পেয়ে স্বভাবতই উচ্ছ্বসিত অভিজ্ঞানও। আগামীর স্বপ্ন প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে তাকে বলতে শোনা যায়, “আমি চাইছি কেন্দ্র সরকার হোক বা কোনও কোম্পানি হোক তারা এগিয়ে আসুক এবং এটাকে বাণিজ্যিক রূপ দিন। আগামীতে আমার ইচ্ছা রয়েছে আরও বেশি করে মানুষের জন্য কাজ করার। সামনে আমার মাধ্যমিক রয়েছে সেটা নিয়ে পড়াশোনার চাপ রয়েছে। তবে আগামী আরও বেশি করে এআই নিয়েও কাজ করার ইচ্ছা রয়েছে।”