সোমবারের এই আলোচনা প্রস্তাবে রাজ্য-বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীরও হাজির থাকার সম্ভাবনা।
‘বঙ্গভঙ্গ’-এর ‘প্রস্তাব’-এর বিরোধিতায় বিধানসভায় প্রস্তাব আনতে চলেছে রাজ্যের সরকারপক্ষ। ১৮৫ ধারায় সেই প্রস্তাব আনতে চলেছেন শাসকদলের বিধায়ক সত্যজিৎ বর্মণ। এদিন দলের সমস্ত বিধায়ককে বিধানসভায় হাজির থাকার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন তৃণমূল পরিষদীয় নেতৃত্ব। রাজনীতির কারবারিদের মতে, বাংলা ভাগের ‘প্রস্তাব’-এর বিরুদ্ধে দলীয় অবস্থানের জোরাল প্রমাণ দিতেই বিধায়কদের হাজিরার বিষয়ে নির্দেশ জারি করেছে রাজ্যের শাসকদল। সূত্রের খবর, এই আলোচনায় বক্তব্য রাখতে চলেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং বিরোধী নেতা শুভেন্দু অধিকারী।
উত্তরবঙ্গকে আলাদা রাজ্যের স্বীকৃতি দেওয়ার জন্য কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী জন বার্লা, বিধায়ক বিষ্ণুপ্রসাদ শর্মার মতো অনেক বিজেপি নেতা সরাসরি বাংলা ভাগের দাবি জানিয়েছেন। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিক প্রশাসনিকভাবে এই দাবি না জানালেও উত্তরবঙ্গের মানুষের ‘আবেগ’-কে প্রাধান্য দিয়েছেন। সরাসরি বাংলা ভাগের কথা না বললেও বারবার উত্তরবঙ্গের ‘বঞ্চনা’-র কথা বলেছেন শুভেন্দু অধিকারী, দিলীপ ঘোষ এবং সুকান্ত মজুমদার। আরেকদিকে ‘বাংলা ভাগ’ নিয়ে বিষ্ণুপ্রসাদ, জন বার্লাদের বক্তব্যকে ব্যক্তিগত বলেও মন্তব্য করেছেন বঙ্গ বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্ব।
রাজ্যের পশ্চিমাঞ্চল বা জঙ্গলমহল-কে আলাদা রাজ্য করারও দাবি জানিয়েছিলেন বিজেপির নেতারা। এই পরিস্থিতিতে বাংলার শাসকদল তৃণমূল বিধানসভায় বঙ্গভঙ্গ বিরোধী প্রস্তাব আনতে চলেছে। শাসকদলের অবস্থান বরাবরই এক জায়গায় স্থির, তারা বলছে, বাংলাকে ভাগ করা হবে না। উত্তরবঙ্গে এই কথা স্পষ্ট জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু, উলটোদিকে বাংলাকে আলাদা আলাদা রাজ্যে ভাগ করা প্রসঙ্গে নিজেদের মধ্যেই দ্বিমত রয়েছে বিজেপি নেতৃত্বের। তাই আজ, বিধানসভায় দাঁড়িয়ে বিজেপি কী বলবে, সেই দিকে নজর রয়েছে রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক মহলের।
আরও পড়ুন-
গুলিতে ঝাঁঝরা হয়ে গেল তৃণমূল নেতার দেহ, পঞ্চায়েত ভোটের আগেই রক্তাক্ত বিষ্ণুপুর
ভারতে জ্বালানির দর আপাতত স্থিতিশীল, বঙ্গে কোন জেলায় আজ সবচেয়ে বেশি তেলের দাম?
তাপমাত্রা বৃদ্ধির সাথে সাথে বাতাসে জলীয় বাষ্পের আধিক্য, জেলায় জেলায় কুয়াশার দাপট