ভোটের আগেই গুজরাটের দুটি জেলার বাসিন্দাদের নাগরিকত্ব প্রদান করা হবে বলে ঘোষণা করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। আর তাই নিয়ে এই রাজ্যে বিজেপি আর তৃণমূলের মধ্যে রাজনৈতিক বিতর্ক শুরু হয়েছে।
গুজরাটের দুটি জেলায় বাসবাসকারী আফগানিস্তান, বাংলাদেশ, পাকিস্তান থেকে আসা হিন্দু, শিখ , বৌদ্ধ, জৈন, পার্সি ও খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের মানুষকে নাগরিকত্বের শংসাপত্র দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্তকে কেন্দ্র করে এই রাজ্যে শুরু হয়ে গেছে নাগরিকত্ব সংশোধন আইন বা সিএএ নিয়ে বিতর্ক। বিতর্কে জড়িয়েছে মূলত তৃণমূল কংগ্রেস আর বিজেপি।
নাগরিকত্ব দেওয়ার বিজ্ঞপ্তি
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক ৩১ নভেম্বর অর্থাৎ সোমবার এরকটি বিজ্ঞপ্তি জারি করে জানিয়েছে, গুজরাটের আনন্দ ও মেহসানার জেলার শাসক নাগরিকত্ব আইন ১৯৫৫ এর ১৬ ধারা আনুযায়ী উল্লিখিত ৬ টি সম্প্রদায়ের সদস্যদের নাগরিকত্বের সংশাপত্র প্রদান করবে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের এই ঘোষণার পরই এই রাজ্যের ভারতীয় জনতা পার্টি অর্থাৎ বিজেপি নেতারা দাবি করতে শুরু করেছে দেশে নাগরিকত্ব আইন ২০১৯ কার্যকর করা শুরু হয়েছে।
পশ্চিমবঙ্গে বিতর্ক
সিএএ নিয়ে বাম, কংগ্রেস ও তৃণমূল কংগ্রেস প্রথম থেকেই আপত্তি জানিয়েছিল। যা এখনও অব্যাহত রয়েছে। এই রাজ্যের রাজনৈতিক দলগুলির অভিযোগ চলতি বছরের শেষেই গুজরাটে বিধানসভা নির্বাচন । ভোটারদের প্রভাবিত করার জন্য কেন্দ্রীয় সরকার নাগরিকত্ব প্রদান করছে। যদিও রাজ্যের বিজেপি নেতাদের পাল্ট দাবি- ইতিমধ্যেই তৈরি হয়েছে সিএএ নিয়ম।
বিজেপির মতামত
এদিন শুভেন্দু অধিকারী রাজ্য বিধানসভায় বলেছেন, কেন্দ্র সিএএ কার্যকর করার প্রক্রিয়া শুরু করেছে। গুজরাটই হচ্ছে প্রথম রাজ্যে। পশ্চিমবঙ্গেও সিএএ কার্যকর হবে। এটা আমাদের মতুয়া সম্প্রদায়ের পুরনো দাবি। কেন্দ্র আগেই বলেছিল সিএএ নিয়ম প্রণয়ন করা হয়েছে। কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী তথা সর্বভারতীয় মতুয়া মহাসংঘের সভাপতি শান্তনু ঠাকুর শুভেন্দু অধিকারীকে সমর্থন করেছেন। তিনি বলেছেন প্রক্রিয়াটি গুজরাট দিয়ে শুরু হয়েছে। অন্যান্য বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলিতেও এটি কার্যকর করা হবে। তিনি আরও বলেথেন ভারতের ফেডারাল পরিকাঠামোর কারণে এটি বাংলায় কার্যকর করতে কিছুটা সমস্যা তৈরি হতে পারে। কেন্দ্রীয় সরকারের পরিকল্পনা সম্পর্কে তিনি অবগত নন বলেও জানিয়েছেন। তবে তিনি আশা করছেন আলোচনার মাধ্যমে সমস্যার সমাধান হবে। তিনি আরও বলেন তিনি দীর্ঘ দিন ধরেই বাংলায় সিএএ কার্যকর করার দাবি জানিয়ে আসছেন।
তৃণমূল কংগ্রেসের মতামত
যদিও শান্তনু ঠাকুরের আত্মীয় ও তৃণমূল কংগ্রেসের প্রাক্তন সাংসদ মমতা বালা ঠাকুর বলছেন, সিএএ কোনও দিনও মতুয়াদের দাবির মধ্যে ছিল না। তিনি বলেছেন 'আমরা ইতিমধ্যেই ভারতের নাগরিক। যাদের নাগরিকত্ব প্রমাণ আছে, চাকরি আছে, ভোট দিচ্ছে, তাদের নাগরকিত্বের কীভাবে দেওয়া যেতে পারে?'তিনি রীতিমত খোঁচা দিয়ে বলেন, এটি গুজরাটে বিজেপির নির্বাচনী রণকৌশল। তাঁর সুরেই সুর মিলিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেছেন, যারা এদেশে ভোট দিচ্ছেন সরকার তৈরি করছে তারাই এই দেশের নাগরিক। এই আইনের বদল হতে পারে না।
তালিবানি নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে আফিম চাষ, আর্থিক সমস্যা মেটাতে উৎপাদন বাড়ল ৩২ শতাংশ
বন্দি দশায় ১০০ দিন প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের, আপাতত এই মাসও থাকতে হবে জেলে