মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, দুর্যোগের আশঙ্কা রয়েছে, এমন জায়গাগুলি থেকে ৩ লক্ষ ৫৯ হাজার ০৪১ জনকে চিহ্নিত করা হয়েছে
ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় দানা। বৃহস্পতিবারই মধ্যরাতে ল্যান্ডফলের সম্ভাবনা রয়েছে। আর সেই কারণে আজ আর বাড়ি ফিরবেন না মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যয়। নবান্নে থেকেই গোটা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখবেন তিনি। নবান্নে সাংবিদদের সঙ্গেও কথা বলেন মমতা। সেখানেই তিনি ঘূর্ণিঝড়ের সার্বিক পরিস্থিতির কথা জানিয়েছেন। মমতা বলেন, নবান্নে সর্বক্ষেণের হেল্পলাইন নম্বর চালু থাকবে। হেল্পলাইন নম্বরহুলি হল- (033) 2214526 ও (033)1070। মমতা জানিয়েছেন বৃহস্পতিবার রতে তিনি নবান্নেই থাকবেন। সেখানে তিনি গোটা পরিস্থিতির ওপর নজর রাখবেন। মমতা বলেন, 'মানুষের জীবন হল সবচেয়ে দামী। মনুষের জীবন রক্ষা করতে হবে। স্কুলগুলি ছুটি দেওয়া হয়েছে সেই কারণে। আমি আজ রাতে নবান্নেই থাবক। বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের সকলে কাজ করবেন।' তিনি জানিয়েছেন, আধিকারিকরাও নবান্নে রাতে থাকবেন। তাঁর জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা করা হয়েছে।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, দুর্যোগের আশঙ্কা রয়েছে, এমন জায়গাগুলি থেকে ৩ লক্ষ ৫৯ হাজার ০৪১ জনকে চিহ্নিত করা হয়েছে। এখনও পর্যন্ত প্রায় দেড় লক্ষ মানুষকে নিরাপদ আশ্রয়ে নিয়ে আসা হয়েছে। দুর্যোগ মোকাবিলায় ৮৫১টি ক্যাম্প চালু করা হয়েছে। ত্রাণ শিবিরগুলিতে আশ্রয় নিয়েছেন ৮৩ হাজারেরও বেশি মনুষ।
মমতা জনিয়েছেন, সাগরদ্বীপ থেকে ২৭০ কিলোমিটার দূরে অবস্থান করছে ঘূর্ণিঝড় দানা। বৃহস্পতিবর মধ্যরাত থেকে শুক্রবার সকালের মধ্যেই ল্যন্ডফল করবে। তার আগে পিরিস্থিতির দিকে রাজ্য প্রশাসন নজর রাখছে। আলিপুর হাওয়া অফিস যা জনিয়েছে, ঘূর্ণিঝড় দানার ল্যান্ডফলের সম্ভাবনা রয়েছে ওড়িশার ধামারা বন্দরের কাছে। তবে বাংলা ও ওড়িশায় সবথেকে বেশি প্রভাব পড়বে প্রাকৃতিক দুর্যোগের। মমতা এদিন জানিয়েছেন, ঝাড়খণ্ডে বৃষ্টি হলেই ডিভিসি আবার জলাধার থেকে জল ছাড়তে পারে। তিনি বলেন, 'কিছুদিন আগেই আমরা একটা বন্যা সামাল দিয়েছি। ডিভিসি গতকাল ২৪ হাজার কিউসেক জল ছেড়েছে। ঝাড়খণ্ডে বৃষ্টি হলে আবারও জল ছাড়বে। বাংলা যেন ওদের জল হজম করার একটি জায়গা হয়ে গিয়েছে। তার থেকে যদি ডিভিসি ঠিক ভাবে খনন করে পলি পরিস্কার করে, তা হলে ওরা আরও ৪ লাখ কিউসেক জল বেশি রাখতে পারে।'