শুক্রবার প্রাতঃভ্রমণে গিয়েছিলেন দিলীপ ঘোষ। সেখানেই সংবাদ মাধ্যমের কর্মীরা তাঁকে ঘিরে ধরেন। আর সেখানের দিলীপ ঘোষ জানিয়ে দেন তিনি আর সংবাদমাধ্যমেকে কিছু বলবেন না।
দিলীপ ঘোষ , নামের সঙ্গেই জড়িয়ে রয়েছে বিতর্ক আর বিতর্কিত মন্তব্য। তাঁর প্রাতঃভ্রমণ মানেই দিনভর রাজনৈতিক চর্চা আর আলোচনার খোকার। আবার দিলীপ ঘোষ মানেই রাজ্য বিজেপির সফল সভাপতি। কিন্তু চলতি লোকসভা ভোটে হেরে কিছু কিছুটা হলেও বিমর্ষ দিলীপ ঘোষ। যদিও হারের পরে হাতে হাত গুটিয়ে বসে থাকেননি দিলীপ। একের পর এক বিতর্কিত মন্তব্য করে নিজের দলের নেতাদেরও অস্বস্তিতে ফেলে দিয়েছেন। কিন্তু এবার সেই দিলীপ ঘোষই মুখে কুলুপ এঁটেছেন। জানিয়েছেন তিনি আর সংবাদ মাধ্যমে কিছুই বলবেন না। যা নিয়ে তৈরি হয়েছে জল্পনা।
অন্যান্য দিনের মতই শুক্রবার প্রাতঃভ্রমণে গিয়েছিলেন দিলীপ ঘোষ। সেখানেই সংবাদ মাধ্যমের কর্মীরা তাঁকে ঘিরে ধরেন। আর সেখানের দিলীপ ঘোষ জানিয়ে দেন তিনি আর সংবাদমাধ্যমেকে কিছু বলবেন না। দিলীপ বলেন, 'সংবাদমাধ্যমকে আমি আর কিছু বলব না। যা বলার জনতাই বলবে।'কেন মুখে কুলুপ আঁটলেন দিলীপ ঘোষ? জল্পনা তুঙ্গে রাজ্য রাজনীতে। দিলীপ অনুগামীদের মতে এভাবেই তাদের 'দাদা' কেন্দ্রীয় নেতৃত্বকে বার্তা দিতে চাইছেন। তবে পাল্টা লবির মতে এবার বিদ্রোহ শেষ করলেন দিলীপ কারণ হারের পর রীতিমত বিদ্রোহ করেছিলেন দলের বিরুদ্ধে। তবে বিশেষজ্ঞদের মতে রাজনীতির জল মাপছেন দিলীপ ঘোষ।
বিজেপির নীতি হল এক ব্যক্তি এক পদ। তাতেই আবার রাজ্য সভাপতির হওয়া বিরোধী দলের নেতা হওয়ার রাস্তাটা অনেকটাই প্রস্ত হয়েছে দিলীপ ঘোষের কারণ। মোদীর মন্ত্রিসভায় দুটি দফতরের প্রতিমন্ত্রী হয়েছেন সুকান্ত মজুমদার। যার অর্থ রাজ্য বিজেপির সভাপতির পদ তাঁকে ছাড়তে হবে। সেখানেই আবারও বসান হতে পারে দিলীপ ঘোষকে। কারণ বিজেপির সবথেকে সফল সভাপতি তিনি। তাঁর আমলে রাজ্য থেকে বিজেপি ১৮টি আসন পেয়েছিল। আর সুকান্তর আমলে বিজেপি পেয়েছে ১২টি। অর্থাৎ প্রায় হাফ ডজন আসনে সুকান্তকে টেক্কা দিচ্ছেন দিলীপ। তা যদি নাও হয় তাহলে রাজ্যের বিরোধী দল নেতার জায়গা পেতে পারেন তিনি। শুভেন্দুকে যদি রাজ্য বিজেপির সভাপতি করা হয় তাহলে দিলীপের জন্য বিধানসভার পথ অনেকটাই প্রসস্ত হচ্ছে। দিলীপের ঘনিষ্ট মহলের দাবি সব দিক বিবেচনা করেই মুখ বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন দিলীপ।