স্থানীয় সূত্রে খবর, সন্ধ্যা ৬টা ১৬ মিনিটে নাগাদ ভূমিকম্পে কেঁপে ওঠে কোচবিহার আতঙ্ক ছড়াল সাধারণ মানুষের মধ্যে।
ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল কোচবিহার জেলার মাটি। প্রথমে হালকা একটা ঝাঁকুনি তার পর মৃদু কম্পন অনুভূত হয় জেলা জুড়েই। কোচবিহারের দিনহাটা, মাথাভাঙা, তুফানগঞ্জ, শীতলখুচি— সব জায়গাতেই কম্পন অনুভূত হয়েছে। স্থানীয় সূত্রে খবর, সন্ধ্যা ৬টা ১৬ মিনিটে নাগাদ ভূমিকম্পে কেঁপে ওঠে কোচবিহার আতঙ্ক ছড়াল সাধারণ মানুষের মধ্যে।
ভূমিকম্পের উৎসস্থল মেঘালয়েরই রেসুবেলপাড়ার আশপাশে বলে জানা যাচ্ছে। কম্পন অনুভূত হয়েছে অসমেও। যদিও কোনও জায়গাতেই এখনও পর্যন্ত হতাহতের কোনও খবর মেলেনি। সোমবার সন্ধ্যা ৬টা ১৫ মিনিট নাগাদ ভারত, বাংলাদেশ, নেপাল, ভূটান এবং চিনে বিভিন্ন মাত্রায় ভূমিকম্প অনুভূত হয়। কিছু কিছু জায়গায় রিখটার স্কেলে কম্পন মাত্রা ছিল ৫.৩। মেঘালয় রাজ্যেও জোরালো কম্পন অনুভূত হয়েছে।
সূত্রের খবর ভূমিকম্পটি ১০ কিলোমিটার গভীরে সন্ধ্যা ৬.১৫ মিনিটে উত্তর-পূর্ব রাজ্যের উত্তর গারো হিলস জেলায় আঘাত হানে। ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল ছিল জেলা সদর রেসুবেলপাড়া থেকে প্রায় ৩ কিলোমিটার দূরে। ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট বিভাগের একজন আধিকারিক বলেছেন যে আমরা প্রাণহানি বা সম্পত্তির ক্ষয়ক্ষতির কোনও রিপোর্ট পাইনি। উত্তর-পূর্ব রাজ্যগুলি উচ্চ ভূমিকম্পের অঞ্চলে পড়ে এবং এই অঞ্চলে ঘন ঘন ভূমিকম্প হয়। ন্যাশনাল সেন্টার ফর সিসমোলজির মতে, পৃথিবীর অভ্যন্তরে চাপ বেড়ে যাওয়ায় ভূমিকম্পের পরেও অনেক কম্পন অনুভূত হতে পারে। এনসিএস এ বিষয়ে কড়া নজর রাখছে। ৪.০ থেকে ৪.২ মাত্রার প্রথম আফটারশক ২৪ ঘন্টার মধ্যে ঘটতে পারে।
রবিবার রাতেও দেশের একাধিক স্থানে কম্পন অনুভূত হয়। রবিবার রাত ১১টা ২৬ মিনিটে হরিয়ানায় ভূমিকম্প হয়। রিখটার স্কেলে কম্পন মাত্রা ছিল ২.৬। ওই ভূমিকম্পের উৎসস্থল ছিল হরিয়ানার রোহতক থেকে ৭ কিলোমিটার দূরে।