দুর্গাপুজোর ঠিক আগে অতিবৃষ্টির ফলে রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। দামোদর ভ্যালি কর্পোরেশনের একাধিক বাঁধ এবং রাজ্যের পঞ্চায়েত দফতরের অধীনে থাকা জলাধারগুলি থেকে জল ছাড়ার ফলেই বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।
জল ছাড়া নিয়ে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের অভিযোগ খারিজ করে পাল্টা চিঠি দিল কেন্দ্রীয় সরকার। পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় বন্যা পরিস্থিতির জন্য দামোদর ভ্যালি কর্পোরেশনের (ডিভিসি) বাঁধ ও জলাধারগুলি থেকে জল ছাড়াকেই দায়ী করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে চিঠি দিয়ে অভিযোগ করেছেন, রাজ্য সরকারকে না জানিয়েই একতরফাভাবে জল ছেড়েছে ডিভিসি। তাঁর এই অভিযোগের জবাবে কেন্দ্রীয় জলশক্তি মন্ত্রী সি আর পাতিল চিঠিতে লিখেছেন, ‘ডিভিসি-র জলাধার থেকে জল ছাড়ার প্রতি পদক্ষেপে রাজ্য সরকারকে অবহিত করা হয়েছিল। বাঁধগুলির কোনওরকম ক্ষতি হলে বা বাঁধগুলি ভেঙে গেলে দক্ষিণবঙ্গে মারাত্মক প্রভাব পড়ার আশঙ্কা ছিল। এই কারণে বাঁধগুলির সুরক্ষার কথা মাথায় রেখেই জল ছাড়া হয়েছে।’
পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছে, দাবি কেন্দ্রের
মুখ্যমন্ত্রীর অভিযোগ খারিজ করে জলশক্তি মন্ত্রী আরও বলেছেন, ‘আমাদের সামনে কঠিন চ্যালেঞ্জ ছিল। জলাধারগুলিতে ৪.২৩ লক্ষ কিউসেক জল এসেছিল। এরপর ২.৫ লক্ষ কিউসেক জল ছাড়া হয়। কম সময়ের মধ্যে জলের ভার যতটা সম্ভব কমানোর চেষ্টা করা হয়েছে। জল ছাড়তে দেরি হলে রাজ্যের আরও বড় ক্ষতি হতে পারত।’
কম জল ছাড়া হয়েছে, দাবি কেন্দ্রের
জলশক্তি মন্ত্রীর আরও দাবি, ‘ভারী বৃষ্টির কারণে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের অনুরোধে ১৪ থেকে ১৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত জল ছাড়ার পরিমাণ ৫০ শতাংশ কমিয়ে দেয় ডিভিসি। কিন্তু ১৬ ও ১৭ সেপ্টেম্বর প্রবল বৃষ্টির ফলে পরিস্থিতি জটিল হয়ে যায়। দক্ষিণবঙ্গে বন্যা পরিস্থিতি এড়ানোর জন্য সবরকম চেষ্টা করে দামোদর ভ্যালি রিজার্ভার রেগুলেশন কমিটি।’ বন্যা এড়ানোর জন্য পশ্চিমবঙ্গ সরকারের প্রস্তাব অনুযায়ী কাজ করা হচ্ছে বলেও জানিয়েছেন জলশক্তি মন্ত্রী।
আরও খবরের আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।
আরও পড়ুন-
'আরে জলটা দেখতে দে না ভাই তোরা'- বন্যা পরিদর্শনে গিয়েও ট্রোলের মুখে মমতা, দেখুন ভিডিও