রাজীব কুমার ইস্যুতে কুণালের কথায় বিজেপি নির্বাচন কমিশনকে কিনে নিয়েছে। পাল্টা তোপ বিজেপি আর সিপিএম-এর।
নির্বাচনী নির্ঘণ্ট প্রকাশের দুই দিন পরেই রাজ্য পুলিশের জিডি রাজীব কুমারকে সরিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে জাতীয় নির্বাচন কমিশন। তাই নিয়ে শুরু হয়েছে রাজ্য রাজনীতিতে নতুন বিতর্ক। বিষয়টি নিয়ে সরব হয়েছে শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস। তবে গোটা ঘটনাকে সদর্থক হিসেবেই দিয়েছে বিরোধী সিপিএম আর বিজেপি।
রাজীব কুমার ইস্যুতে কুণাল ঘোষের মন্তব্যঃ
তৃণমূল কংগ্রেস নেতা রাজীব কুমার ইস্যুতে বলেন, বিজেপি কমিশনকে দখল করার চেষ্টা করছে। বিজেপি যদি ১০০০ বদলও করে তাহলেও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে বাংলার মানুষ আছে, আর থাকবে। বিজেপি হারবে। তৃণমূল ৩০-৩৫টি আসন পাবে। তিনি আরও বলেন তাঁর দল আসন সংখ্যা বাড়িয়ে ৩৭-৩৮ করার চেষ্টা করছে। তিনি আরও বলেন, তৃণমূল কংগ্রেস লোকসভা নির্বাচনে ৪২এ ৪২টি আসন পাওয়ার লক্ষ্যেই এগিয়ে যাচ্ছে।
SPACE VIP: মহাকাশে সুস্বাদু খাবারের নতুন ঠিকানা স্পেস ভিআইপি, জানুন রেস্তরাঁয় যেতে কত টাকা খরচ হবে
রাজীব কুমার ইস্যুতে দিলীপ ঘোষের মন্তব্য:
বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ বলেন, বিভিন্ন ধরনের বিতর্কের সঙ্গেই জড়িয়ে রয়েছে। তিনি আরও বলেন, রাজীব কুমার এর আগে একাধিক প্রশাসনিক কাজকে ব্যাহত করেছেন। তদন্তে ব্যাঘাতের অভিযোগও রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। দিলীপের কথায় রাজীব কুমার মোটেও বিশ্বাসযোগ্য নয়। তবে এখানেই তিনি ইতি টানেননি। তিনি বলেন, রাজ্যের আরও কয়েকজন সিনিয়র অফিসার, ওসিকে সরানোর প্রয়োজন রয়েছে। গত বিধাবসভা ভোটের পর থেকেই সংশ্লিষ্টদের ভূমিকা নিরপেক্ষ ছিল না বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
Lok Sabha Election: বাম-কংগ্রেস জোট নিয়ে দর্জির তুলনা টানলেন সেমিল, প্রার্থী ঘোষণা আরও একটি আসনে
রাজীব কুমার ইস্যুতে বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্যের মন্তব্যঃ
সিপিএম নেতা বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য বলেন, এটা খুবই স্বাভাবিক ছিল, সারদা মামলায় তাঁর নাম জড়িয়েছিল। তবে এবার যিনি দায়িত্বে আসবেন তিনি কতটা নিরপেক্ষ কাজ করবেন সেটা নিয়ে সন্দেহ থেকেই যায়। তবে নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্তকে ইতিবাচক বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি।
TMC: 'প্রতিবেশীর কাছে দলের কথা বলতে লজ্জা পায় তৃণমূল কর্মীরা', মন্তব্য করে বিপাকে নারায়ণ গোস্বামী