তৃণমূল সূত্রে জানা যাচ্ছে আক্রন্ত তৃণমূল নেতা আদ্রা শহর তৃণমূলের সভাপতি ধনঞ্জয় চৌবে। ঘটনায় জখম হয়েছেন তৃণমূল নেতার দেহরক্ষীও শেখর দাসও।
পঞ্চায়েত ভোটের আবহে অশান্তি যেন কাটছেই না। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ফের রক্ত ঝড়ল বাংলায়। পুরুলিয়ায় পার্টি অফিসে ঢুকে তৃণমূল নেতা ও তাঁর দেহরক্ষীকে লক্ষ্য করে গুলি করার অভিযোগ। ঘটনাটি ঘটেছে পুরুলিয়ার আদ্রায়। তৃণমূল সূত্রে জানা যাচ্ছে আক্রন্ত তৃণমূল নেতা আদ্রা শহর তৃণমূলের সভাপতি ধনঞ্জয় চৌবে। ঘটনায় জখম হয়েছেন তৃণমূল নেতার দেহরক্ষীও শেখর দাসও। সূত্রের খবর বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৭টা ৪৫ মিনিটে ঘটনাটি ঘটেছে। শ্যুট আউটের জেরে আহত দু'জন। ইতিমধ্যেই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। স্থানীয়রা জানাচ্ছেন বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় আচমকাই পার্টি অফিসে ঢুকে পড়ে দুষ্কৃতিরা। কমপক্ষে তিন রাউন্ড গুলি চলেছে বলে জানা যাচ্ছে। বর্তমানে রঘুনাথপুর সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে আহত তৃণমূল নেতাকে। বাঁকুড়ার মেজিয়া হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে দেহরক্ষী শেখরকে।
এর আগেও পঞ্চায়েত ভোটের দিনক্ষণ ঘোষণা হওয়ার পর থেকেই রাজ্যজুড়ে অশান্তির পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। এমনকী ভোটের বোমায় রক্ত ঝড়েছে শিশুদেরও। এই ঘটনায় উদ্বিগ্ন জাতীয় শিশু সুরক্ষা কমিশন। সম্প্রতি মুর্শিদাবাদে বোমা বিস্ফোরণের ঘটনায় পাঁচ শিশুর জখম হওয়ার ঘটনায় এবার রাজ্যের মুখ্যসচিবকে চিঠি পাঠাল কমিশন। ২৪ ঘন্টার মধ্যে জাতীয় শিশু সুরক্ষা আইনে জবাব দিতে রাজ্যকে। তলব করা হয়েছে 'অ্যাকশন টেকেন রিপোর্ট'ও।
মুখ্যসচিবকে দেওয়া চিঠিতে জানাতে জানানো হয়েছে মুর্শিদাবাদের জঙ্গিপুর এলাকায় বোমার আঘাতে জখম হয়েছে ৭-১১ বছর বয়সী পাঁচ শিশু। বল ভেবে বোমা নিয়ে খেলতে গিয়েই এই বিপত্তি। বর্তমানে তাঁরা জঙ্গিপুর মহকুমা হাসপাতালে চিকিত্সাধীন। এই ঘটনাকে 'গুরুতর শিশু অধিকার লঙ্ঘন' বলে দাবি করছে কমিশন। এবার এই ঘটনায় রাজ্যের কাছে রিপোর্ট তলব করেছে জাতীয় শিশু সুরক্ষা কমিশন। আহত শিশুরা যাতে দ্রুত চিকিৎসা পায় সেই ব্যবস্থা করা এবং দোষীদের চিহ্নিত করে আইনি পদক্ষেপের বার্তা দেওয়া হয়েছে রাজ্যকে।
প্রসঙ্গত, সুপ্রিম কোর্টে রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচনে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনে হাইকোর্টের রায়ই বহাল রেখেছে। রাজ্য সরকারের আবেদন খারিজ করে দিয়েছে। তারপর থেকেই কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে তৎপর রাজ্য নির্বাচন কমিশন। সূত্রের খবর এদিন দুপুরেই রাজ্য নির্বাচন কমিশনের দফতরে শীর্ষ কর্তারা বৈঠকে বসেছিলেন। প্রত্যেক জেলার জন্য কী পরিমাণ কেন্দ্রীয় বাহিনী প্রয়োজন তা নিয়ে যএমন আলোচনা হয়েছে, তেমনই রাজ্যের হাতে কত কেন্দ্রীয় বাহিনী রয়েছে , কোথায় কী পরিমাণে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হবে তা নিয়েও আলোচনা হয়েছে।
আগেই অর্থাৎ সোমবারই রাজ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব সিনহা জানিয়েছিলেন, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী তাঁরা কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন। আর সেক্ষেত্রে এদিন সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের পরই রাজ্য নির্বাচন কমিশনের দফতরে বিশে তৎপরতা ধরা পড়ে।