হুগলী জেলার শেওড়াফুলি রাজ বংশের রাজা রাজচন্দ্র রায় প্রতিষ্ঠা করেছিলেন এই পুজো। তার পরেই পরিচিতি পায় বাঙালির অতি পরিচিত ‘শ্রীরামপুর’।
রাম নবমীর পুজো কি পশ্চিমবঙ্গে অপ্রচলিত? এই প্রশ্নেই বারবার ধাক্কা খেতে হয় নতুন প্রজন্মকে। উত্তরটা হল, একেবারেই নয়। কারণ, ২০২৩ সালে এসে ফরাসি, পর্তুগিজ, ওলন্দাজ, দিনেমার ঔপনিবেশিক স্থল বলে যাকে আমরা চিনি, হুগলী জেলার সেই ‘শ্রীরামপুর’ কিন্তু প্রতিষ্ঠা পেয়েছিল বাংলার রাজার রাম ভক্তির কারণেই।
শেওড়াফুলি রাজ বংশের বর্তমান প্রজন্মের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, এই বংশের রাজা রাজচন্দ্র রায় ছিলেন ভগবান রামের একনিষ্ঠ ভক্ত। আজ থেকে প্রায় দু’শ সত্তর বছর এগারোশো ষাট বঙ্গাব্দে শ্রীপুর, গোপীনাথপুর ও মোহনপুর, এই তিন জমিদারির অংশীভূত অঞ্চলকে একত্রিত করে শ্রীপুর অংশে রামচন্দ্র সীতা ও লক্ষ্মণ ঠাকুরের বিগ্রহ স্থাপন করেছিলেন রাজা রাজচন্দ্র রায়। বিগ্রহ প্রতিষ্ঠা করার পর ওই অঞ্চলগুলিকে একত্রিত করে তিনি নাম রাখেন ‘শ্রীরামপুর’। পরবর্তী কালে আকনা ও চাতরা জনপদকে শ্রীরামপুরের সঙ্গে যুক্ত করা হয়।
সেই থেকে ২৭০ বছর ধরে ভগবান রামচন্দ্রের পুজো আজও হয়ে চলেছে শ্রীরামপুরে। প্রত্যেকদিন এখানে তিন বিগ্রহের কাছে সেবা অর্পণ করা হয়। শেওড়াফুলি রাজ বংশ দ্বারা প্রতিষ্ঠিত রামচন্দ্রের মন্দির ও বিগ্রহ শুধু শ্রীরামপুরে নয়, রয়েছে উত্তরপাড়ার দোলতলা, হাওড়া ও গুপ্তিপাড়াতেও। এই প্রত্যেকটি মন্দিরে এখনও পর্যন্ত বিশাল আয়োজন এবং উদ্যোগের সাথে রাম নবমীর পুজো সম্পন্ন হয়। দীর্ঘ কয়েক শতবর্ষ ধরে চলে আসা এখানকার উৎসব এলাকার সাধারণ মানুষের কাছেও অত্যন্ত আনন্দের এবং আকর্ষণের উদযাপন।
আরও পড়ুন-
মালতীর সঙ্গে উচ্ছ্বসিত অভিনেত্রী প্রিয়াঙ্কা চোপড়া, সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করলেন মেয়ের আদুরে ছবি
রাহুল গান্ধী নিজেই নিজের পায়ে কুড়ুল মেরেছেন: কার্যত এমনটাই বুঝিয়ে দিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ
হাসপাতালে ভর্তি করা হল পোপ ফ্রান্সিসকে, ধর্মগুরুর গুরুতর অসুস্থতা নিয়ে দুশ্চিন্তায় সারা বিশ্বের ভক্তরা