বোলপুরের ডাকবাংলো মাঠে পৌষ মেলা আয়োজন করবে জেলা প্রশাসন। প্রশাসন এই সিদ্ধান্ত নেওয়ার পরই বোলপুরের মহকুমা প্রশাসনকে চিঠি দিয়েছে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ।
শান্তিনিকেতনের পূর্বপল্লির মাঠে পৌষমেলা হচ্ছে না বলে আগেই জানিয়ে দিয়েছিল বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ও শান্তিনিকেতন ট্রাস্ট। বিকল্প স্থান হিসেবে বেছে নেওয়া হয়েছে ডাক বাংলার মাঠ। সেখানেই চলতি বছর পৌষমেলা হবে। যদিও বিশ্বভারতীর সিদ্ধান্তে প্রাক্তন আশ্রমিক ও স্থানীয় ক্ষোভ উগরে দিয়েছিল। অনেকেই কাঠগ়ড়ায় দাঁড়় করিয়েছিল বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে।
বোলপুরের ডাকবাংলো মাঠে পৌষ মেলা আয়োজন করবে জেলা প্রশাসন। প্রশাসন এই সিদ্ধান্ত নেওয়ার পরই বোলপুরের মহকুমা প্রশাসনকে চিঠি দিয়েছে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ। বেশ কিছু শর্ত ও প্রশ্ন তুলে ধরা হয়েছে সেখানে। শর্তগুলি হল-
১. গ্রিন ট্রাইবুনাল বিশ্বভাপতীর প্রাঙ্গনে পৌষমেলা আয়োজন নিয়ে যে শর্তগুলি বেঁধে দিয়েছে তা রক্ষা করতে হবে।
২. বিশ্বভারতী ও শান্তিনিকেতন ট্রাস্ট এই বছরই পৌষমেলার আয়োজন করছে না। তাই এই প্রাঙ্গনে বোলপুর মহকুমা প্রশাসন মেলার আয়োজন করলে কোনও আইনি জটিলতা যদি তৈরি হয় তাহলে তার দায়িত্ব জেলা প্রশাসনকেই গ্রহণ করতে হবে।
৩. বিশ্বভারতীর সাংস্কৃতিক ও নান্দনিক রুচির সঙ্গে সঙ্গতি রেখে এই মেলা অনুষ্ঠিত করা জরুরি।
৪. গ্রিন ট্রাইবুনাল নির্দেশিত সময়ের ভিতর মেলা শেষ করে মেলার মাঠ পরিষ্তার করে মহকুমা প্রশাসন বিশ্বভারতীকে পূর্ব অবস্থায় ফিরিয়ে দেবে।
৫. মেলা সংক্রান্ত যাবতীয় ব্যায় বোলপুর মহকুমা প্রশাসনকে বহন করতে হবে।
৬. মেলা প্রাঙ্গনে মেলা করার জন্য বিশ্বভারতীর অনুমতি ছাড়া মেলার জন্য প্রয়োজনীয় বাকি যাবতীয় বোলপুর মহকুমা প্রশাসনকেই ব্যবস্থা করে নিতে হবে।
৭. মেলা চলাকালীন বিশ্বভারতী ছাত্র-ছাত্রীদের পঠনপাঠনে যাতে সমস্যা না হয় তা প্রশাসনকে নিশ্চিত করতে হবে।
৮. বিশ্বভারতী ও জেলা প্রশসানের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা মকদ্দমা রয়েছে। যাতে বিশ্বভারতীর কর্মীদের মনোবল ভেঙে দিয়েছে। সেই মামলাগুলি নিষ্পত্তি করার আবেদনও জানিয়েছে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ। তাতে দুই পক্ষের সম্পর্কের উন্নতি হবে।
৯. শান্তিনিকেতন ট্রাস্ট মেলা করার জন্য বিশ্বভারতীকে ২০ হাজার টাকা দিত। জেলা প্রশাসনকেও সেই পরিমাণ অর্থ প্রদান করতে হবে।
১০. শর্তগুলি মানলে শুধুমাত্ এই বছরের জন্যই বিশ্বভারতী বোলপুর প্রশাসনকে মেলা করার অনুমতি দেবে।