২০২১-এর মে মাসেই পশ্চিমবঙ্গের নির্বাচন
৬ মাস আগে থেকেই শুরু হয়ে গিয়েছে জল মাপা
জয়-পরাজয়ের পূর্বাভাস দিচ্ছে বিভিন্ন সমীক্ষা সংস্থা
ক্রসউসডম৩৬০ ডট কম সংস্থার উত্তর ২৪ পরগনার সমীক্ষায় কী জানা গেল
সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে ২০২১ সালের মে মাসেই হতে চলেছে পশ্চিমবঙ্গের নির্বাচন। অর্থাৎ মেরেকেটে ৬ মাস মতো বাকি নির্বাচনের। ইতিমধ্যেই, পশ্চিমবঙ্গের নির্বাচনকে ঘিরে সাজ সাজ রব পড়ে গিয়েছে। জল মাপা শুরু করে দিয়েছে প্রতিটি রাজনৈতিক দলই। সেইসঙ্গে জয়-পরাজয়ের পূর্বাভাস দিতে শুরু করেছে বিভিন্ন সমীক্ষা সংস্থা। ক্রসউসডম৩৬০ ডট কম সংস্থাও ছোট আকারে জেলাভিত্তিক সমীক্ষা করেছে। উত্ত ২৪ পরগনার ৩২টি বিধানসভা আসনের মধ্যে ১৯টি আসনে সমীক্ষা চালিয়েছে তারা। বিজেপি এবং তৃণমূল - কারা কোথায় এগিয়ে, কোথায় হবে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই? দেখে নেওয়া যাক কী জানা গেল তাদের ওপিনিয়ন পোল-এ -
বক্তব্য পরিষ্কার বিজেপির, মমতা পক্ষে ইতিবাচক কিছু নেই
অধিকাংশ মানুষই জানিয়েছেন আগামী ভোটে বিজেপি-র বক্তব্য তাঁদের কাছে পরিষ্কার- খারাপ প্রশাসন এবং সংখ্যালঘু তোষণ। আমফান, কোভিড এবং মমতার সংখ্যালঘুদের প্রতি দৃষ্টিভঙ্গির কারণে ভোটাররা এই দুই মূল বক্তব্যকে উপযুক্ত বলেও মনে করছেন। অন্যদিকে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কে কেন ভোট দেবেন, এর জবাবে কেউই কোনও ইতিবাচক স্পষ্ট কারণ বলতে পারেননি।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের গ্রহণযোগ্যতা রেটিং
অক্টোবরের শেষে করা অরম্যাক্স সংস্থার করা সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ফের দেখতে চেয়েছেন সমীক্ষায় অংশ নেওয়া ৪৮ শতাংশ মানুষ। ৫০ শতাংশের নিচে স্কোর থাকা নিঃসন্দেহে বেশ ঝুঁকির, আগামী কয়েক মাসে তা ৩৫-৪০ শতাংশে নেমে আসতে পারে। তবে সদ্য সমাপ্ত বিহার নির্বাচনে নীতিশ কুমার কিন্তু খুব কম রেটিং থাকার পরও ফের মুখ্যমন্ত্রী হতে পেরেছেন।
আরও পড়ুন - বিজেপির শাসনে কি পুরো পাকিস্তান দখল করবে ভারত, ফড়নবিসের মন্তব্যে উঠল বিতর্কের ঝড়
আরও পড়ুন - 'লাভ জিহাদ' আইনের লক্ষ্য কি বাংলার নির্বাচন, বড় প্রশ্ন তুলে দিল বিজেপির পুরোনো সঙ্গী
আরও পড়ুন - দেশীয় বিমানে দেশীয় ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা, আত্মনির্ভরতার দিকে আরও একধাপ এগোল বায়ুসেনা
উত্তর চব্বিশ পরগনা-র সমীক্ষা -
কোথায় ভাল ফল করবে তৃণমূল?
বাদুরিয়া - ২০১৬ সালে জিতেছিল কংগ্রেস। পরে, অবশ্য কংগ্রেস বিধায়ক দল বদলে যোগ দিয়েছিলেন তৃণমূল কংগ্রেসে। এবার সহজেই জিতবে তৃণমূল।
স্বরূপনগর - গতবার জিতেছিল তৃণমূল এবারও তারাই জিতবে।
দেগঙ্গা - গতবার ৫১.৩ শতাংশ ভোট পেয়ে জিতেছিল তৃণমূল, এবারও তাদের দখলেই থাকবে।
হারোয়া - ২০১৬ সালে টিএমসি পেয়েছিল ৫৭.১ শতাংশ ভোট, এবারও তারাই জিতবে।
মিনাখাঁ - ৫৬.৯% ভোট শেয়ার নিয়ে জিতেছিল টিএমসি, এবারও তাদের হাতেই থাকবে।
সন্ধেশখাখালি - ২০১৬-য় টিএমসি জিতেছিল এবারও আরামে জিতবে।
বসিরহাট উত্তর - গতবার জিতেছিল সিপিএম, তবে এবার হাত বদল হয়ে টিএমসি পাবে বলে মনে করা হচ্ছে।
বিজেপির কোথায় কোথায় ভাল ভোট পাবে?
বনগাঁ উত্তর - ২০১৬-য় টিএমসির হয়ে জিতে ২০১২ সালে বিজেপি-তে যোগ দিয়েছিলেন বিধায়ক। ২০২১ সালে এই আসনে জিততে পারে বিজেপি।
বনগাঁ দক্ষিণ - ২০১৬ সালে টিএমসি জিতলেও ভোট পেয়েছিল ৪৯.৬ %, এবার আসনটি যেতে পারে গেরুয়া শিবিরে।
বসিরহাট দক্ষিণ - এখানে টিএমসির ভোট ছিল মাত্র ৪১%, ২০২১-এ জিতবে বিজেপি।
বারাসাত - ২০১৬ সালে সালে টিএমসি জিতেছিল, এবার বিজেপির জয়ের পূর্বাভাস রয়েছে।
বিধাননগর - তৃণমূল জিতেছেন ৪৩.৮% ভোট পেয়ে, ২০২১-এ জিততে চলেছে বিজেপি।
দম দম - ২০১৬ সালে এই আসন ছিল তৃণমূলের দখলে এবার জিততে পারে বিজেপি
যেখানে যেখানে হবে কঠিন লড়াই
বাগদা - ২০১৬ সালে কংগ্রেস প্রার্থী জিতলেও ২০১৯ সালে তিনি বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন। এই আসনে অল্প ভোটে হলেও জিততে চলেছে তৃণমূল।
আশোকনগর - গতবার তৃণমূল জিতেছিল। এবার হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হলেও জেতার সম্ভাবনা বেশি তৃণমূলের।
গাইঘাটা - ২০১৬ সালে তৃণমূল পেয়েছিল ৪৯ শতাংশ ভোট, ২০২১ সালে বিজেপির জেতার পূর্বাভাস পাওয়া গিয়েছে
হাবরা - গতবার ৫৪.৯ শতাংশ ভোট পেয়ে তৃণমূল জয়ী হলেও এবার এই কেন্দ্র হেলে রয়েছে বিজেপির দিকে।
হিঙ্গলগঞ্জ - টিএমসি জিতেছিল ৫৩.৬ % ভোট পেয়ে। এবার খুব অল্পের জন্য বিজেপি এই আসনে জয়ী হতে পারে।
রাজারহাট-গোপালপুর - ২০১৬-তে তৃণমূল জিতেছিল ৪৫.৩ শতাংশ ভোট পেয়ে, এবার জোরালো লড়াই হলেও শেষ পর্যন্ত বিজেপি খুব কম ভোটে জয়ী হতে পারে।
উত্তর -২৪ পরগনা জেলার ভোটারদের মতে কোনগুলি বড় সমস্যা?
১. বেকারত্ব (সিএমআইই অনুযায়ী ২০২০-র নভেম্বরে ১০%)
২. দুর্নীতি - (কাটমানি ছাড়াও অন্যান্য দুর্নীতি)
৩. উন্নয়ন
৪.শাসন