আগামী ৫ বছরের জন্য ফের কলকাতার মেয়র হচ্ছেন ফিরহাদ হাকিম। ফিরহাদ হাকিমকেই কলকাতা পুরনিগমে দলনেতা হিসেবে নির্বাচিত করল তৃণমূল।
দুপুর ২টোর সময় বিজয়ী ১৩৪ জন প্রার্থীকে নিয়ে বিশেষ বৈঠকে বসছেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দোপাধ্যায়। থাকছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দোপাধ্যায়ও। পাশাপাশি সুব্রত বক্সি, পার্থ চট্টোপাধ্যায়ও উপস্থিত থাকবেন বলে জানা যাচ্ছে।
মঙ্গলবার প্রকাশিত হয়েছে কলকাতা পুরভোটের ফলাফল। বেহালার ১৩১ নং ওয়ার্ড থেকে বিপুল ভোটার ব্যবধানে জিতেছেন রত্না চট্টোপাধ্যায়ের। ভোটার ফলাফলের পড়ি রত্নাকে নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য শোভন চট্টোপাধ্যায়ের।
পুরো ভোটের ফলাফলে ভালো করে নজর দিলেই বেশ কিছু আসন উঠে আসবে আলোচনায়, কোথাও বিপুল জয়, কোথাও আবার মাত্র কয়েকটি ভোটেই কেল্লাফতে।
বিপুল অঙ্কের সাফল্যের ব্যবধান যে কেবল বিধানসভা নির্বাচনের ভিত্তিতেই এমনটা নয়, বরং ২০১৬ সালে পুরভোট কে যদি সামনে আনা যায় তবে দেখা যাবে সেখান থেকেও প্রায় ২০ শতাংশের বেশি ভোট পড়েছে এবার তৃণমূলের।
বিজেপির দখলে এসেছে ৩টি ওয়ার্ড। শেষ পুরভোটে এই সংখ্যা ছিল ৭। তবে এবারে কলকাতা পুরনিগমের ২২, ২৩ ও ৫০ নম্বর ওয়ার্ডেই মূলত ফুটেছে পদ্ম।
জয়ের নিরিখে ভালো ফল করেছে নির্দলেরা। তারা পেয়েছে ৩টি ওয়ার্ড। সেখানে ২টি জিতেছে বামেরা। ২টি কংগ্রেস। বিজেপি পেয়েছে ৩টি আসন। যদিও আগের পুরভোটে বিজেপি-র দখলে ছিল ৭টি ওয়ার্ড। তাও বর্তমানে কমে ৩-এ দাঁড়িয়েছে।
যেভাবে দমদম থেকে জোকা পর্যন্ত নির্বাচন হয়েছে, যেভাবে রাজ্য নির্বাচন কমিশন তার অবস্থানকে মানুষের সামনে স্পষ্ট করেছেন, যেভাবে নজিরবিহীন ভাবে ভোটের দিন দুপুরে জয়েন্ট সিপি বললেন অবাধ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন হয়েছে, তারপর এটাই হওয়ার ছিল। খোঁচা শমীকের
ভোটের দিন ৪৫ নম্বর ওয়ার্ডে বুথের মধ্যেই হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়েছিল কংগ্রেস এবং তৃণমূল সমর্থকরা৷ তবে এই ওয়ার্ডটি দীর্ঘদিন ধরেই কংগ্রেসের দখলে ছিল৷ এ বারেও এই ওয়ার্ডটি দখলে রাখার আশায় ছিল কংগ্রেস। এদিন ভোটের ফল ঘোষণা হতেই কংগ্রেসের আশার পালে নতুন করে হাওয়া লাগে।
সকাল ১০টা পর্যন্ত গণনা শেষে দেখা যাচ্ছে এখনও পর্যন্ত ৭৪.২ শতাংশ তৃণমূল-কংগ্রেস। অন্যদিকে বামেরা পেয়েছে ৯ শতাংশ ভোট। সেখানে বিজেপি পেয়েছে ৮ শতাংশ।