সংক্ষিপ্ত
মরশুমের পরিবর্তনের সময় জ্বর, সর্দি, কাশি, কানে ব্যাথা, দাঁতে ব্যাথা- নানা রকম সমস্যা (Problems) লেগেই থাকে। এই সময় গ্যাস, অম্বল, পেট খারাপের মতো সমস্যাতেও প্রায়ই ভোগেন অনেকে। এছাড়া, ত্বক (Skin) ও চুলের (Hair) সমস্যা তো আছেই। এই মরশুমে সুস্থ থাকতে আগে থেকেই সতর্ক হন। রোজ কয়টি জিনিস মেনে চলুন। তাহলে সহজে অসুস্থ হবেন না।
সকালের দিকের উত্তরে হাওয়া জানান দিচ্ছে শীত (Winter) এসে গিয়েছে। এখন সেভাবে ঠান্ডা না পড়লেও মাঝে মধ্যেই ঠান্ডা হাওয়ার অনুভূতি সকলেরই মিলছে। আর শীত মানেই এক রাশ সমস্যা। মরশুমের পরিবর্তনের সময় জ্বর, সর্দি, কাশি, কানে ব্যাথা, দাঁতে ব্যাথা- নানা রকম সমস্যা (Problems) লেগেই থাকে। এই সময় গ্যাস, অম্বল, পেট খারাপের মতো সমস্যাতেও প্রায়ই ভোগেন অনেকে। এছাড়া, ত্বক (Skin) ও চুলের (Hair) সমস্যা তো আছেই। এই মরশুমে সুস্থ থাকতে আগে থেকেই সতর্ক হন। রোজ কয়টি জিনিস মেনে চলুন। তাহলে সহজে অসুস্থ হবেন না।
বাইরে থেকে ফিরে অবশ্যই হাত পরিষ্কার (Clean) করবেন। মনে রাখবেন এখনও করোনা যায়নি। হাতে লেগে থাকা জীবাণু শরীরে প্রবেশ করলে নানা রকম রোগ দেখা দেয়। খেতে বসার আগে ভালো করে হাত পরিষ্কার করুন। সঠিক হ্যান্ডওয়াশ ব্যবহার করুন রোজ। শীতে ঠান্ডা লাগার জন্য অনেকেই ঠিক মতো হাত পরিষ্কার করেন না। এই অভ্যেস আপনার থাকলে তা এখনই ত্যাগ করুন।
শীতে পর্যাপ্ত জল খান। এই সময় অনেকেই ডিহাইড্রেশনের (Dehydration) সমস্যায় ভোগেন। এই সমস্যা থেকে বাঁচতে রোজ পর্যাপ্ত জল খান। এই সময় রোজ সকালে উষ্ণ গরম জলে পাতিলেবুর রস দিয়ে খেতে পারেন। অথবা খেতে পারেন মেথি ভেজানো জল। পর্যাপ্ত জল না খাওয়ার জন্য অম্বল, গ্যাসের সমস্যা যেমন দেখা দেয়, তেমনই দেখা দিতে পারে ইউরিন ইনফেকশন।
শীতে খাদ্যতালিকায় রাখুন সবুজ সবজি আর ফল। স্বাস্থ্যকর (Healthy) খাবার খাওয়া এই সময় খুবই প্রয়োজন। রোজ পুষ্টিকর (Healthy Food) খাবার খান। ফাইবার এবং প্রোটিন রাখুন খাদ্যতালিকায়। রোজ একটি করে মরশুমি ফল ও সবজি খাওয়ানো খুবই দরকার। এতে শারীরিক সুস্থতা বজায় থাকবে। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে। সঙ্গে মানসিক স্বাস্থ্য ভালো থাকবে। সঠিক খাদ্যাভ্যাস সকল রোগ দূর করতে সাহায্য করে। তাই শীতে খাদ্যতালিকায় বিশেষ নজর দেওয়া প্রয়োজন। সুস্থ রাখতে, রোগ মুক্ত রাখতে স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়ান।
আরও পড়ুন: Health Tips: ক্রমে বাড়ছে কার্ডিওভাসকুলার রোগ, জেনে নিন কী কারণে আক্রান্ত হচ্ছে এই রোগে
রোজ অবশ্যই ৮ ঘন্টা ঘুমাবেন। সুস্থ থাকতে পর্যাপ্ত ঘুম (Sleep) প্রয়োজন। আর শীতে শরীরচর্চা করতে ভুলবেন না। একদিনও ব্রেক দেবেন না। এই সময় শরীরচর্চা করা সব থেকে বেশি প্রয়োজন। দিনে অন্তত ৪০ মিনিচ হাঁটুন। তা না হলে, হাঁটুর ব্যথা, গাঁটে ব্যথা দেখা দিতে পারে। তাই রোজ অবশ্যই এক্সারসাইজ (Exercise) করবেন।