সংক্ষিপ্ত
- ওষুধের ক্ষেত্রে ন্যূনতম ১০ শতাংশ ছাড় দিতে হবে
- কোনও পরিস্থিতিতেই রোগীকে ফেরানো যাবে না
- রোগীর পরিবার অগ্রিম টাকা না দিলেও ভর্তি করতে হবে
- প্রত্যেক রোগীর জন্য থাকবে পেশেন্ট মনিটরিং স্কোর
শুভজিৎ পুততুন্ডঃ- রাজ্যের বেসরকারি হাসপাতাল গুলির লাগাম ছাড়া বিল, বিল নিয়ে দুর্নীতি এবং করোনা পরিস্থিতিতে করোনার স্বাস্থ্য ব্যবস্থা নিয়ে রাজ্য স্বাস্থ্য কমিশন শনিবার বৈঠকে বসে নিউটাউনের বিজনেস ক্লাবে। বৈঠকের পরে রাজ্যের বেসরকারি হাসপাতালগুলিকে অ্যাডভাইসারি ঘোষণা করা হয়েছে।
আরও পড়ুন, কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গে ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস, মৎস্যজীবীদের সমুদ্র যেতে নিষেধাজ্ঞা জারি
রাজ্যের বেসরকারি হাসপাতাল গুলির লাগাম ছাড়া বিল, বিল নিয়ে দুর্নীতি এবং করোনা পরিস্থিতিতে করোনার স্বাস্থ্য ব্যবস্থা নিয়ে রাজ্য স্বাস্থ্য কমিশন শনিবার বৈঠকে বসে নিউটাউনের বিজনেস ক্লাবে। বৈঠকে ছিলেন রাজ্য স্বাস্থ্য কমিশনের চেয়ারপার্সন অবসর প্রাপ্ত বিচারপতি অসীম কুমার বন্দ্য়োপাধ্যায় সহ চেয়ার পার্সন আইএএস বিনোদ কুমার সহ স্বাস্থ্য কমিশনের সদস্য ডক্টর সুকুমার বন্দ্যোপাধ্যায়, প্রফেসর গোপাল কৃষ্ণ ঢালি, প্রফেসর অভিজিৎ চৌধুরী, প্রফেসর মাখন লাল সাহা, প্রফেসর মধুসূদন বন্দ্য়োপাধ্যায়, ডক্টর মৈত্রী বন্দ্য়োপাধ্যায়, শ্রী এস কে থারে, প্রফেসর দেবাশীষ ভট্টাচার্য, শ্রী অর্জুন শর্মা, শ্রী প্রবীণ কুমার ত্রিপাঠি, মাধবী দাস এবং কলকাতা পুর কমিশনার খলিল আহমেদ সহ রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের উচ্চ পদস্থ আধিকারিকরা। বৈঠকের পর সাংবাদিক সম্মেলন করেন রাজ্য স্বাস্থ্য কমিশনের চেয়ার পার্সন অবসর প্রাপ্ত বিচারপতি অসীম কুমার বন্দ্য়োপাধ্যায়। বৈঠক শেষে জানানো হয়, রাজ্যের বেসরকারি হাসপাতাল গুলির বিরুদ্ধে এখনও অবধি কোভিডে চিকিৎসা নিয়ে অভিযোগ ওঠেনি। প্রধানত অভিযোগ এসেছে, চিকিৎসার খরচ বা বড় বিল এবং রোগীকে ভর্তি না নেওয়া। এই সকলক্ষেত্রেই আলোকপাত করা হয়েছে।
আরও দেখুন, প্লাস্টিক কাপে আর নয়, মাটির ভাঁড়ে চা এবার মিলবে কলকাতা বিমানবন্দরে, দেখুন সেই ছবি
রাজ্যের বেসরকারি হাসপাতালগুলির বিরুদ্ধে অ্যাডভাইসারি গুলি এবার জেনে নেওয়া যাক।ওষুধের ক্ষেত্রে ন্যূনতম ১০ শতাংশ ছাড় দিতে হবে। ছাড় না দিলে রোগীর পরিবারকে বাইরে থেকে ওষুধ কেনার অনুমতি দিতে হবে। তুলো ও সিরিঞ্জের ক্ষেত্রে ২০ শতাংশ ছাড় দিতে হবে। কোভিড সঙ্কট শুরু হওয়ার আগে রাজ্যে ১ মার্চ পর্যন্ত যে বেড ভাড়া ছিল, এখনও তাই নিতে হবে। বেড ভাড়া বাড়ানো চলবে না। কোনও পরিস্থিতিতেই রোগীকে ফেরানো যাবে না। তিনি অগ্রিম টাকা না দিলেও ভর্তি করতে হবে। এর পাশাপাশি নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, কোভিড রোগীকে ভর্তির সময় অবশ্যই তাঁর আত্মীয় অথবা অভিভাবকের নাম, মোবাইল নম্বর নথিভুক্ত করতে হবে। তাঁর কো-মর্বিডিটি থাকলে তাও লিখতে হবে। প্রত্যেক রোগীর জন্য থাকবে পেশেন্ট মনিটরিং স্কোর। রোগী কেমন আছেন, প্রত্যেক রোগীর পরিবার অনলাইনে তা জানতে পারবেন। হাসপাতাল তাঁদের সেই তথ্য জানিয়ে দেবে। উল্লেখ্য, এখনও পর্যন্ত করোনা-চিকিৎসায় রাজ্যের দুই বেসরকারি হাসপাতাল মেডিকা এবং ডিসানের বিরুদ্ধে চড়া বিল, করোনা রোগীকে ভর্তি না নেওয়ার মৃত্যুর মত গুরুতর অভিযোগ উঠেছে ।
কোভিড রোগী ভর্তিতে ৫০ হাজার টাকার বেশি নেওয়া যাবে না, নয়া নির্দেশিকা জারি রাজ্যের
ভয় নেই করোনায়, মেডিক্য়ালের ৪ তলার কার্নিশে পা দোলাচ্ছে রোগী
ভুয়ো টেস্টের ফাঁদে পড়ে করোনায় মৃত্যু এক ব্য়াক্তির, গ্রেফতার প্রতারণা চক্রের ৩ জন
করোনায় ফের ১ এসবিআই কর্মীর মৃত্য়ু, মৃতের পরিবারকে চাকরি দেওযার দাবিতে ব্যাঙ্ক কর্মীরা
পূর্ব ভারতের প্রথম সরকারি প্লাজমা ব্যাঙ্ক-কলকাতা মেডিকেল, করোনা রুখতে প্রস্তুতি তুঙ্গে