সংক্ষিপ্ত
- এক বছরে দেশে আত্মহত্যার সংখ্যা বেড়েছে ৩.৪ শতাংশ
- ৩২.৪ শতাংশ আত্মহত্যার জন্য পারিবারিক কারণ দায়ী
- প্রায় ১০ শতাংশ আত্মহত্যার পিছনে কারণ জানা যায়নি
- বেশি আত্মহত্যা ঘটেছে ১৮ থেকে ৩০ বছর বয়সীদের মধ্যে
দেশ তথা রাজ্যে নিরন্তর আত্মহত্য়ার পথে হেঁটেছে অগুণতি মানুষ। সেই তালিকায় সাধারণ থেকে সেলেব কেউ বাদ যায়নি। কেউবা নিজে হাতে লিখেই মৃত্যুর আগে কারণ জানিয়ে গিয়েছে। কারও আবার ময়নাতদন্তে রিপোর্টে উঠে এসেছে আত্মহত্য়ার আসল কারণ। তবে ৩২.৪ শতাংশ আত্মহত্যার জন্য পারিবারিক কারণ দায়ী। এবং আত্মহত্যার সংখ্যা প্রায় প্রতিবছরই বেড়ে চলেছে।এনসিআরবি-র তথ্য অনুযায়ী, আত্মহত্যায় দেশে সর্বোচ্চ স্থানে রয়েছে মহারাষ্ট্র। তার পরে তামিলনাড়ু এবং তৃতীয় স্থানে পশ্চিমবঙ্গ।
আরও পড়ুন, শহরের স্টেশন জুড়ে প্রস্তুতি তুঙ্গে, কবে থেকে চালু লোকাল ট্রেন, দেখুন ছবি
এনসিআরবি-র তথ্য অনুযায়ী, আত্মহত্যায় দেশে সর্বোচ্চ স্থানে রয়েছে মহারাষ্ট্র। তার পরে তামিলনাড়ু এবং তৃতীয় স্থানে পশ্চিমবঙ্গ। প্রথম পাঁচে বাকি দুই রাজ্য হল মধ্যপ্রদেশ এবং কর্নাটক। আত্মহত্যার কারণ হিসেবে সব থেকে উপরে রয়েছে পারিবারিক সমস্যা। মহানগরের ক্ষেত্রে অবশ্য কলকাতা প্রথম সারিতে নেই। রিপোর্ট বলছে, চেন্নাই, দিল্লি, বেঙ্গালুরু এবং মুম্বইয়ে সব থেকে বেশি আত্মহত্যা ঘটেছে। ২০১৮ সালের তুলনায় ২০১৯ সালে বেঙ্গালুরু বাদে বাকি তিনটি মহানগরেই আত্মহত্যা বেড়েছে। তবে দেশের শহরাঞ্চলের মধ্যে আত্মহত্যায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে এ রাজ্যের আসানসোল। দেশে ২০১৯ সালে ৭২টি সপরিবার আত্মহত্যার ঘটনাও ঘটেছে বলে রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে।
এক বছরে দেশে আত্মহত্যার সংখ্যা বেড়েছে ৩.৪ শতাংশ। ন্যাশনাল ক্রাইম রেকর্ড বুরোর (এনসিআরবি) প্রকাশিত তথ্যেই এ কথা জানা গিয়েছে। ২০১৮ সালের তুলনায় ২০১৯ সালের পরিসংখ্যানের নিরিখেই এই শতাংশের বৃদ্ধি। সংখ্যার বিচারে দেখলে ২০১৮ সালের তুলনায় ২০১৯-এ দেশে প্রায় পাঁচ হাজার জন বেশি আত্মহত্যা করেছেন। রিপোর্ট অনুযায়ী, ৩২.৪ শতাংশ আত্মহত্যার জন্য পারিবারিক কারণ দায়ী। প্রায় ১০ শতাংশ আত্মহত্যার পিছনে কোনও কারণ জানা যায়নি। সব থেকে বেশি আত্মহত্যা ঘটেছে ১৮ থেকে ৩০ বছর বয়সীদের মধ্যে। রিপোর্টে এ-ও দেখা গিয়েছে, বেশির ভাগ আত্মঘাতী মানুষের শিক্ষাগত যোগ্যতা মাধ্যমিক, উচ্চমাধ্যমিক পাশ। অপরদিকে, কলকাতার ইনস্টিটিউট অব সাইকিয়াট্রির শিক্ষক-চিকিৎসক সুজিত সরখেল জানিয়েছেন 'এনসিআরবি রিপোর্ট পুলিশের উপরে নির্ভর করে। আত্মহত্যার বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই পুলিশের তদন্তকারী অফিসার আপাত ভাবে যে কারণটি উঠে আসে সেটিকেই তাঁর রিপোর্টে চিহ্নিত করেন। মনস্তত্ত্ব সংক্রান্ত প্রশিক্ষণ পুলিশ অফিসারদের থাকে না বলে অনেক সময়ই মূল কারণ জানা যায় না'।
কোভিড রোগী ভর্তিতে ৫০ হাজার টাকার বেশি নেওয়া যাবে না, নয়া নির্দেশিকা জারি রাজ্যের
ভয় নেই করোনায়, মেডিক্য়ালের ৪ তলার কার্নিশে পা দোলাচ্ছে রোগী
ভুয়ো টেস্টের ফাঁদে পড়ে করোনায় মৃত্যু এক ব্য়াক্তির, গ্রেফতার প্রতারণা চক্রের ৩ জন
করোনায় ফের ১ এসবিআই কর্মীর মৃত্য়ু, মৃতের পরিবারকে চাকরি দেওযার দাবিতে ব্যাঙ্ক কর্মীরা