কড়াইশুঁটি ছাড়ানোর পর খোসা আমরা সাধারণত ফেলেই দিই। কিন্তু কড়াইশুঁটির দানার মতো খোসার মধ্যেও কিন্তু রয়েছে ভরপুর পুষ্টিগুণ। কড়াইশুঁটির খোসায় রয়েছে ভিটামিন কে, ভিটামিন বি৬, ভিটামিন এ, ম্যাগনেসিয়াম, আয়রন এবং ফোলেট। 

কড়াইশুঁটি ছাড়ানোর পর খোসা আমরা সাধারণত ফেলেই দিই। কিন্তু কড়াইশুঁটির দানার মতো খোসার মধ্যেও কিন্তু রয়েছে ভরপুর পুষ্টিগুণ। কড়াইশুঁটির খোসায় রয়েছে ভিটামিন কে, ভিটামিন বি৬, ভিটামিন এ, ম্যাগনেসিয়াম, আয়রন এবং ফোলেট। প্রত্যেকটি উপাদানই আমাদের সুস্বাস্থ্য বজায় রাখতে সাহায্য করে।

তাই কড়াইশুঁটির খোসা ফেলবেন না। এখন শীতকালে বাজারে মিলছে টাটকা কড়াইশুঁটি। যে কোনও রান্নাতেই কড়াইশুঁটি দিলে তার স্বাদ বেড়ে যায় দ্বিগুণ। তবে কড়াইশুঁটি ছাড়িয়ে অনেকেই খোসাটা ফেলে দেন। কিন্তু সেটা ফেলে না দিয়ে ওটা দিয়ে খুব ভালো একটি রেসিপি বানানো যায়। এমনিতেই সবুজ শাক-সবজি খাওয়া শরীরের জন্য খুবই উপকারী। এদিকে কড়াইশুঁটির খোসা সবুজ এবং এতে আছে ভিটামিন, মিনারেলস ও ফাইবার ভরপুর এবং এটি দিয়ে সুস্বাদু ও পুষ্টিকর খাবার যেমন খোসা বাটা (গরম ভাতের সঙ্গে), স্যুপ, বা ভর্তা তৈরি করা যায়, যা সর্ষে, পোস্ত, লঙ্কা, জিরে ফোড়ন দিয়ে গরম ভাতের সাথে পরিবেশন করলে জিভে জল আনা পদ হয়ে ওঠে।

কিন্তু কীভাবে খাবেন কড়াইশুঁটির খোসা? রইল কিছু সহজ রেসিপি-

** কড়াইশুঁটির খোসার রেসিপিটি বানাতে উপকরণ লাগছে:

* কড়াইশুঁটির খোসা

* সর্ষে

* পোস্ত

* কাঁচালঙ্কা

* কালোজিরে

* লাল লঙ্কার গুঁড়ো

* ধনেপাতা

** কড়াইশুঁটির খোসা বাটার রেসিপি তৈরিতে দেখুন পদ্ধতি:

প্রথমে সর্ষে, পোস্ত এবং কাঁচালঙ্কা একসঙ্গে বেটে নিতে হবে। এরপর কড়াইতে তেল গরম করে কালোজিরে এবং কাঁচালঙ্কা একসঙ্গে ফোরন দিতে হবে। কড়াইশুঁটির খোসা বেটে দিয়ে নুন হলুদ দিয়ে কষাতে হবে।

এরপর ঢাকা দিয়ে হালকা আঁচে সেদ্ধ করে নিতে হবে। এরপর লঙ্কা গুঁড়ো, সরষে, পোস্ত বাটা দিয়ে ভালো ভাবে নাড়াচাড়া করতে হবে। এরপর স্বাদমতো নুন চিনি দিয়ে উপর থেকে সর্ষের তেল এবং ধনেপাতা ছড়িয়ে নামিয়ে নিতে হবে।

এরপর গরম গরম ধোঁয়া ওঠা ভাতে প্রথম পাতে খেয়ে দেখুন এই কড়াইশুঁটির খোসা বাটা।