সংক্ষিপ্ত
আজকার অধিকাংশ বাচ্চার একা একা বড় হয়। ফলে তাদের মধ্যে একাকীত্ম থেকে অধিক আবেগপ্রবণ স্বভাব বেশি দেখা যায়। এক্ষেত্রে এমন কটাক্ষের কারণে তাদের মনে খারাপ প্রভাব পড়তে পারে।
বাচ্চার ভবিষ্যত সুন্দর হোক তা সকলেরই কাম্য। কিন্তু, বাচ্চাকে সুন্দর ভবিষ্যত উপহার দেওয়া এত সহজ কথা নয়। এর গুরু দায়িত্ব থাকে মা-বাবার ওপর। বাচ্চার ভবিষ্যত সুন্দর করতে সব সময় পরিশ্রম করেন মা বাবারা। তার সঠিক যত্ন করেন। ছোট খাটো সব বিষয় খেয়াল রাখেন। আবার খারাপ দিকে যাতে না যায় সে কারণে শাসনও করে থাকেন। তেমনই তার ভোলা কাজকে যেমন প্রশংসা করেন, খারাপ কাজকে তিরস্কারও করে থাকে। তেমনই অনেকে কটাক্ষ করেন। কিন্তু, জানেন কি আপনার একটা ভুলে নষ্ট হতে পারে বাচ্চার ভবিষ্যত। ভুলে এই কয় বিষয় নিয়ে বাচ্চাকে কটাক্ষ করবেন না। এতে মানসিক চাপ বাড়ে তাদের। আজকার অধিকাংশ বাচ্চার একা একা বড় হয়। ফলে তাদের মধ্যে একাকীত্ম থেকে অধিক আবেগপ্রবণ স্বভাব বেশি দেখা যায়। এক্ষেত্রে এমন কটাক্ষের কারণে তাদের মনে খারাপ প্রভাব পড়তে পারে।
চেহারা- হতেই পারে আপনার বাচ্চার গায়ের রঙ চাপা। তেমনই তার উচ্চতা বাকিদের থেকে কম। অথবা সে স্থূল। অনেক সময় বাচ্চা এমন খুঁত নির্দিষ্ট করে তাকে বিশেষ নামে ডাকেন অনেকে। এই ভুল একেবারেই নয়। এতে বাচ্চার মনে খারাপ প্রভাব পড়ে।
পড়াশোনা- বাচ্চা পড়াশোনা খারাপ হলে তাকে উন্নতি করার পথ দেখান। কোন উপায় তার উন্নতি হবে সেদিকে খেয়াল রাখুন। কিন্তু, ভুলেও সেই ব্যর্থতার প্রসঙ্গ তুলে বারে বারে কটাক্ষ করবেন না।
আবেগ- কোনও বাচ্চা জেদী, কেউ কথায় কথায় কাঁদে আবার কোনও বাচ্চা রাগ দেখায়। বাচ্চার এমন আচরণ পরিবর্তনে নজর দিন। কিন্তু, এই বিষয় তাকে কটাক্ষ করবেন না। কিংবা কখনও উপহাস করবেন না। এতে সমস্যা আরও বাড়বে।
বন্ধু- স্কুলে গিয়ে সে নতুন বন্ধু পাতাবে তা স্বাভাবিক। কিন্তু, সেই বন্ধুকে নিয়ে বাচ্চাকে উপহাস করবেন না। তার বন্ধু যেমনই হোক তাকে গ্রহণ করুন। কিন্তু, সে আপনার সন্তানের জন্য কঠিন না মনে হলে, তাকে বোঝান। কিন্তু, ভুলেও কটাক্ষ করবেন না। এতে বাচ্চারই ক্ষতি হবে। মেনে চলুন এই সকল বিশেষ টিপস। এতে বাচ্চার ভবিষ্যত হবে সুন্দর। তাকে সঠিক শিক্ষা দিয়ে বড় করুন। তবে একারণ রাগ, কটাক্ষ বা উপহাস করবেন না। এতে বাচ্চারই ক্ষতি হবে। এবার থেকে মেনে চলুন এই সকল টিপস।
আরও পড়ুন
ওজন কমানোর জন্য ভালো ঘুম খুবই গুরুত্বপূর্ণ, জানুন কেন
দাঁড়িয়ে জল পান করলে হতে পারে মারাত্মক কিডনি রোগ, জেনে নিন কী বলছেন বিশেষজ্ঞরা