কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি থাকার সময়ই বারবার রাজ্যের শাসক দলকে আক্রমণ করেছেন। সরাসরি রাজনীতিতে যোগ দেওয়ার পর সুর চড়িয়েছেন অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।
সোশ্যাল মিডিয়ায় ইংরেজিতে লিখেছিলেন প্রাক্তন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। সেখানে তিনি রাজ্যের একটি বর্ণনা দিয়েছেন। তারপরই টার্গেট করেছেন তৃণমূল কংগ্রেসকে।
অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় জানিয়েছেন, তিনি মোটেও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মৃত্যু কামনা করেননি। তাঁর মন্তব্যের ভুল ব্যাখ্যা করা হচ্ছে।
শুভেন্দু অধিকারীর বিধানসভা কেন্দ্র নন্দীগ্রামে যান অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। নন্দীগ্রামে প্রাক্তন বিচারপতিকে জয় শ্রীরাম স্লোগান বিয়ে বরণ করে দেওয়া হয়।
অভিজিৎ জানিয়েছেন, এর আগে তাঁর প্রধানমন্ত্রী মোদীর সঙ্গে সামনাসামনি সাক্ষাৎ হয়নি। তাই শিলিগুড়ির জনসভা নিয়ে তিনি অভিভূত। তিনি শিহরিত হয়ে আছেন বলেও জানিয়েছেন
প্রক্তন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের জন্য চাকরিতে জট অব্যাহত । চাকরিপ্রার্থীদের দাবি, ২০১৬ সালে পরীক্ষা দিয়ে ২০২৩ সালে তারা চাকরি পেতেন।
বিজেপি সূত্রের খবর শুভেন্দু অধিকারী অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়কে নিয়ে যথেষ্ট সংবেদনশীল। বিজেপিতে যোগদানের আগে থেকেই তাঁকে নিয়ে জল্পনা চলছিল তমলুক লোকসভা কেন্দ্রের নাম।
অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় এক সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বলেন, 'নারদাকাণ্ডে অভিযুক্তরা সকলেই চক্রান্তের শিকার।'
অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের ঘোষণা অনুযায়ী বাম ও কংগ্রেসের সঙ্গে তাঁর আদর্শগত ফারাক রয়েছে। সেই কারণেই তিনি বিজেপিকে বেছে নিয়েছেন
সোমবার অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের যে মামলার শুনানি হয়েছিল সেটিতে হাইকোর্টের বিভিল্যান্স বিভাগ অভিযোগ তুলেছে সংশ্লিষ্ট বিচারকের বিরুদ্ধে।