ডিএ প্রতিবাদীদের বিষয়ে তিনি প্রশ্ন তোলেন, “অফিস করবে না, দিনের পর দিন কামাই করবে। দিয়ে বেতন নিয়ে নেবে?” কারামন্ত্রী অখিল গিরির মন্তব্যে অত্যন্ত ক্ষুব্ধ হয়ে ডিএ দাবিদাররা চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়েছেন, “চ্যালেঞ্জ করছি, আপনি পারলে বেতন কেটে দেখান।”
এবার ওই মামলা থেকে বাদ দেওয়া হল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম বাদ দিল আদালত। এই ঘটনার সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী কোনও ভাবেই যুক্ত নন বলে জানালেন বিচারপতি।
সোমবারই বিধানসভা কক্ষে রাষ্ট্রপতিকে আপত্তিকর মন্তব্য করার জেরে অখিল গিরির পদত্যাগের দাবি তোলেন বিজেপি বিধায়করা। এই মর্মে জমা দেওয়া বিজেপির মুলতুবি প্রস্তাব খারিজ হওয়ার পরই শোরগোল পড়ে যায় বিধানসভায়।
সোমবার রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুকে নিয়ে মন্ত্রী অখিল গিরির মন্তব্যের জেরে বিধানসভায় মুলতুবি প্রস্তাব জমা দিলেন বিজেপি বিধায়করা। পাশাপাশি অখিল গিরিকে মন্ত্রী পদ থেকে অবসারণেরও দাবি তুলেছেন তাঁরা।
অখিল গিরি ক্ষমা চাইলেও তাতে বিন্দুমাত্র গলেনি বিজেপি। উল্টে রাজধানীতে বিধায়কের নামে অভিযোগ জানিয়ে লকেট চট্টোপাধ্যায়ের অনুরোধ, অবিলম্বে যেন এফআইআর দায়ের করে অখিলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়।
'আমরা বিরোধী দলনেতার কাছে আবেদন জানাব, যাতে আগামী বিধানসভার শীতকালীন অধিবেশনে অখিল গিরির বিরুদ্ধে বিধানসভায় বিজেপি পরিষদীয় দলের তরফে নিন্দা প্রস্তাব আনা হয়।'
নন্দীগ্রামে তৃণমূল কংগ্রেসের অবস্থান মঞ্চ থেকে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর উদ্দেশ্যে কুরুচিকর মন্তব্যের জেরে ঘরে বাইরে চাপে তৃণমূল বিধায়ক। বিরোধী দলের পাশাপাশি নিন্দায় সরব হয়েছে খোদ তৃণমূলের একাংশ।
রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর উদ্দেশ্যে অশালীন মন্তব্য তৃণমূল নেতা অখিল গিরির। সোশ্যাল মিডিয়ায় রীতিমত ভাইরাল। ঘরে বাইরে দুই জায়গাতেই চাপে পড়েছেন মেদিনীপুরের তৃণমূল নেতা।
গত বৃহস্পতিবার রাতে নন্দীগ্রামের গোকুলনগরের করপল্লিতে পালিত হয় শহিদ দিবস। পৃথকভাবেই শহিদ দিবস পালন করে দুই বিরোধী দল বিজেপি ও তৃণমূল। গোল বাধে সেইদিন রাতে। মাঝরাতে আগুন ধরে যায় তৃণমূলের শহিদ মঞ্চে।
সূত্রের খবর, আগামীকাল অর্থাৎ বৃহস্পতিবার ৩ মার্চ কলকাতায় এনআইএ দফতরে হাজিরা দিতে বলা হয়েছে অখিল গিরিকে। এমনকী, কাঁথির একাধিক তৃণমূল কংগ্রেস নেতাকেও এই ঘটনায় নোটিস পাঠাতে চলেছে এনআইএ।