সোমবার রাতে এই জঙ্গি হামলার ঘটনা ঘটে। আবদুল্লাহ রাজাক নামের এক ব্যক্তি যখন নিজের গ্রামের মসজিদ থেকে বের হচ্ছিলেন। এসময় ঘটনাস্থলে উপস্থিত জঙ্গিরা খুব কাছ থেকে রাজাককে লক্ষ্য করে কয়েকটি গুলি ছুড়লে তাঁর মৃত্যু হয়।
জম্মু ও কাশ্মীর প্রশাসন সূত্রের খবর, যে এলাকায় অতর্কিত হামলা হয়েছে। সেখানে শক্তিশালী পাঠান হয়েছে। সেখানে এখনও গুলির লড়াই চলছে
পিপলস অ্যান্টি-ফ্যাসিস্ট ফ্রন্ট দাবি করেছে যে নিরাপত্তা বাহিনী তাদের চক্রান্তের শিকার হচ্ছে। তারা নিরাপত্তা বাহিনীকে যেভাবে চায় সেদিকেই আসতে বাধ্য করে। পুঞ্চ হামলা হোক বা রাজৌরি হামলা, উভয় হামলাতেই জঙ্গিরা নিরাপত্তা বাহিনীকে ছাড়িয়ে গেছে।
ভারতীয় উপমহাদেশে আল কায়েদার (একিউআইএস) ২০০ জন জঙ্গি রয়েছে এবং ওসামা মেহমুদ তাদের প্রধান। আল-কায়েদা এবং ইসলামিক স্টেটের কার্যকলাপ সম্পর্কে এই প্রতিবেদনটি রাষ্ট্রসঙ্ঘের নিরাপত্তা পরিষদ দ্বারা বার্ষিক ২৫ জুলাই,২০২৩- এ প্রকাশিত হয়েছে।
সেনা বাহিনীর উত্তর কমান্ড একটি বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছে, গত মাসে জম্মুর ভাটা ধুলিয়ানের টোটাগালি এলাকায় আর্মির ট্রাকে অতর্কিতে জঙ্গি হামলায় পাঁচ সেনা জওয়ানের মৃত্যু হয়েছিল।
রাজৌরির দারহাল এলাকার পারগালে একটি সেনা ক্যাম্পে অনুপ্রবেশের চেষ্টা করছিল দুই জঙ্গি। সেনা জওয়ানরা দেখতে পেয়ে বৃহস্পতিবার ভোরে গুলি করে খতম করেন তাদের।
সোমবার ফের রণক্ষেত্র রূপ নেয় কাশ্মীর উপত্যকা। সন্ত্রাসবাদীদের গুলিতে আহত হন এক কাশ্মীরি পণ্ডিত। পাশাপাশি জখম দুই পরিযায়ী শ্রমিক ও।
ইতিমধ্যেই এই ঘটনার দায় স্বীকার করেছে জঙ্গি সংগঠন জইশ-ই-মহম্মদ। তবে এই ঘটনায় কাউকে রেয়াত করা হবে না। শীঘ্রই দোষীদের ধরা হত্যা করা হবে বলে জানিয়েছেন কাশ্মীরের আইজি বিজয় কুমার।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর কার্যালয় থেকে সোশ্যাল মিডিয়ায় বার্তা দিয়ে জানান হয়েছে প্রধানমন্ত্রী জম্মু ও কাশ্মীরের জঙ্গি হামলার বিস্তারিত জানতে চেয়েছেন।
এক মাসের মধ্যে নয়া রেকর্ড তৈরি করল জম্মু কাশ্মীর পুলিশ, ভারতীয় সেনা ও ভারতীয় গোয়েন্দাদের যৌথ বাহিনী। জানা গিয়েছে কাশ্মীরি নাগরিকদের ওপর হামলা চালানোর ঘটনায় যুক্ত সব জঙ্গিকেই খতম করতে সফল হয়েছে সেনার যৌথবাহিনী।