অর্জুন ঘনিষ্টদের কথায় মুকুল রায় অর্জুন সিংকে দেখেই কাছে টেনে নেন। তাঁকে বলেন, 'এসে গিয়েছিস অর্জুন!'
কয়েক মাস আগে কেন্দ্রীয় শাসকদলের শীর্ষ নেতামন্ত্রীদের সঙ্গেও মোলাকাত করার চেষ্টা করেছিলেন মুকুল। সেই অভীপ্সা পূর্ণ না হলেও আজ, ২১ জুলাই, ধর্মতলায় আয়োজিত তৃণমূলের শহিদ দিবসের জনসভায় ফের নয়া খেল দেখালেন তিনি।
নিয়ম অনুযায়ী মানসিকভাবে সুস্থ না হলে কোনও ব্যক্তি বিধায়ক থাকতে পারেন না। মুকুল রায়ের ক্ষেত্রেও বিধায়ক পদ খোয়ানোর আশঙ্কা থেকে যাচ্ছে।
মুকুল রায়ের জন্য দলের ক্ষতি হয়েছে বলেও উল্লেখ করলেন তিনি। পাশাপাশি মানুষের এই মুহূর্তে কার কথা বিশ্বাস করা উচিত সে নিয়েও প্রশ্ন তোলেন তিনি।
বুধবার গেরুয়া জ্যাকেট পড়ে একটি সর্বভারতীয় সংবাদ সংস্থায় সাক্ষাৎকার দেন তিনি। সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে বিজেপির সঙ্গে থাকার কথাই বলেছেন তিনি।
বিজেপিতে থাকছেন বলেও জানিয়েছেন তিনি। অন্যদিকে মুকুলের যাওয়া আসাকে যে বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছে না তৃণমূল সে কথা স্পষ্ট করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
শুধু নিজে নন, নিজের ছেলেকেও বিজেপিতে যোগ দেওয়ার ‘পরামর্শ’ দিয়েছেন বাবা মুকুল রায়।
বাবা মানসিকভাবে সুস্থ নন বলেও জানিয়েছেন শুভ্রাংশু। পাশাপাশি তাঁকে না জানিয়ে মুকুল রায়কে নিয়ে দু'জন ব্যাক্তি মুকুল রায়কে নিয়ে গিয়েছেন বলেও অভিযোগ করেন তিনি
এমনকী ছেলে শুভ্রাংসশু রায়কেও দিল্লি যাত্রার কারণ জানাননি কৃষ্ণনগরের বিধায়ক। নির্বাচনের মুখে রাজধানী যাত্রা কি কোনও বিশেষ ইঙ্গিত দিচ্ছে?
কৃষ্ণনগর উত্তর বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ককে ভর্তি করা হয়েছে কলকাতার বাইপাসের ধারের এক এক বেসরকারি হাসপাতালে।