বৃষ্টি ও ঝোড়ো বাতাসের ফলে কিছুদিন স্বস্তিতে ছিলেন দক্ষিণবঙ্গের বাসিন্দারা। কিন্তু ফের বদলে যাচ্ছে আবহাওয়া। ফলে বৈশাখের শুরুতে যে পরিস্থিতি ছিল, জৈষ্ঠ্যের শুরুতে একইরকম আবহাওয়া দেখা যেতে পারে।
দেশের আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস অনুযায়ী পশ্চিমবঙ্গ ও সিকিমে ভারী থেকে মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। সঙ্গে প্রবল ঝড়বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে হাওয়া অফিস।
সোমবার থেকেই দক্ষিণবঙ্গের আবহাওয়া একদম বদলে গিয়েছে। বৃষ্টি ও ঝোড়ো বাতাসের দাপটে তাপমাত্রা অনেকটাই নেমে গিয়েছে। ফলে স্বস্তিতে দক্ষিণবঙ্গের বাসিন্দারা।
সোমবার বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছিল আলিপুর আবহাওয়া দফতর। এই পূর্বাভাস না মিললে আবহাওয়া দফতরের কর্তাদের নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যঙ্গ বাড়ত। সেটা আর হচ্ছে না।
কিছুদিন আগে সোশ্যাল মিডিয়ায় দেখা যাচ্ছিল বিখ্যাত লাইন, 'শীতকাল কবে আসবে সুপর্ণা?' শীতকাল চলে গিয়ে এখন প্রখর গ্রীষ্ম। সবাই বৃষ্টির জন্য হাপিত্যেশ করছে।
আলিপুর হাওয়া অফিসের পূর্বাভাস অনুযায়ী সোমবার থেকে র কলকাতা ও পার্শ্ববর্তী গাঙ্গেয় উপত্যকা-সহ দক্ষিণবঙ্গের প্রায় সব জেলাতেই বিক্ষিপ্তভাবে বজ্রবিদ্যুৎ সহ বৃষ্টিপাত হবে।
শেষ হাসি হাসবে তো সেই আবহাওয়া দফতর। তাদের পূর্বাভাসেই স্বস্তি আনতে পারে প্রাণে। কবে আসবে বৃষ্টির সুখবর। তা জানতে অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করে সবাই।
আলিপুর হাওয়া অফিসের তরফে কাল অর্থাৎ রবিবার ঝড় বৃষ্টির জন্য কমলা সতর্কতা জারি করা হয়েছে পুরুলিয়া বাঁকুড়া, পশ্চিম বর্ধমান, দুই মেদিনীপুর ও বীরভূমের জন্য।
হাওয়া অফিসের এক্স হ্যান্ডেল অনুযায়ী এদিন গোটা দক্ষিণবঙ্গ জুড়ে ছিল দাবদহ। প্রায় সমস্ত জেলার তাপমাত্র ৩৫ ডিগ্রি সেসলিয়াসের ওপর ছিল। হাওয়া অফিসের ওয়েব সাইটের তথ্য অনুযায়ী কলকাতার তাপমাত্রা ছিল ৩৭ ডিগ্রি।
আলিপুর হাওয়া অফিসের সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্ট অনুযায়ী এদিন সর্বচ্চোতাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে বাঁকুড়া জেলার বিষ্ণপুর থেকে। সেখানে এদিন সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৪১ ডিগ্রি সেলসিয়াস।