পশ্চিম বর্ধমান জেলার আসানসোলের চন্দ্রচুর মন্দিরে রীতিমত ঢাক ঢোল বাজিয়ে ইন্দ্রদেবকে সন্তুষ্ট করার চেষ্টা করতে দেখা গেল মহিলাদের। হাতে ফল, প্রসাদ নিয়ে রীতিমত নিষ্ঠাভরে পুজো দেন তাঁরা।
জাওয়াদ বাংলায় আছড়ে পড়ার আগেই একাধিক সতর্কতামূলক পদক্ষেপ করা হচ্ছে। দিঘা উপকূলে সকাল থেকে চলছে মাইকিং। এছাড়া নিচু এলাকাগুলি থেকে ইতিমধ্যেই স্থানীয়দের নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
স্থলভাগে ঢোকার পর খানিক শক্তি ক্ষয় হলেও ঘণ্টায় ১১০ কিমি বেগে বইতে এই পারে বিধ্বংসী ঝড়।
হাওয়া অফিসের তরফে জানানো হয়েছে, ইতিমধ্যেই আরও শক্তি বাড়িয়েছে জাওয়াদ। বঙ্গোপসাগরে ঘনীভূত হয়েছে অতি গভীর নিম্নচাপ। এই মুহূর্তে জাওয়াদের অবস্থান রয়েছে দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগর লাগোয়া পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগরে।
হাওয়া অফিস জানিয়েছে ক্রমশ এগিয়ে আসছে জাওয়াদ। হাওয়া অফিসের তরফে জানানো হয়েছে, নিম্নচাপ এখন সুস্পষ্ট নিম্নচাপে পরিণত হয়ে দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে।
নবান্নের তরফে দেওয়া বিজ্ঞাপনে জানানো হয়েছে এই ধরণের প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের মুখে পড়লে সাধারণ মানুষের কী করা উচিত।
হাওয়া অফিসের তরফে জানানো হয়েছে, নিম্নচাপ এখন সুস্পষ্ট নিম্নচাপে পরিণত হয়ে দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে। ৩ ডিসেম্বর এই নিম্নচাপের ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার গড়বেতা, চন্দ্রকোনা, দাসপুর, শালবনি এলাকাতে সবথেকে বেশি আলুর চাষ হয়ে থাকে। ধান চাষও ব্যাপকভাবে হয়ে থাকে। কিন্তু গত বর্ষায় অতিবৃষ্টি ও বেশ কয়েকবারের বন্যায় ধান চাষিদের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।
ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদের পরিস্থিতি পর্যালোচনায় বিশেষ বৈঠকে বসলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এদিন তিনি কেন্দ্রের উচ্চপদস্থ আধিকারিকদের পরিস্থিতি সম্পর্কে জানতে চান।
জাওয়াদ নিয়ে সতর্ক রেলও। ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে ট্রেনের চাকা বেঁধে রাখা হল শিকল দিয়ে। বৃহস্পতিবার এই ছবি দেখা গেল হাওড়ার শালিমার ইয়ার্ডে। রেল সূত্রে জানা গিয়েছে, দুর্যোগের সময় দুর্ঘটনা এড়াতে এ ভাবেই বেঁধে রাখা হয় ট্রেন।