কর্ণাটকে বিধানসভা নির্বাচনের দামামা বেজে গিয়েছে। বিভিন্ন দলের প্রার্থীতালিকা প্রকাশিত হয়েছে। শুরু হয়ে গিয়েছে প্রচার। রাজনৈতিক সমীকরণ নিয়ে জল্পনা চলছে।
মেঘালয়ের পাশাপাশি প্রতিবেশী রাজ্য নাগাল্যান্ডেও আজ বিধানসভা ভোট। দুই রাজ্যেই মোট ৬০টি বিধানসভা আসনের মধ্যে ভোট হচ্ছে মোট ৫৯টি আসনে।
রাজস্থান, ছত্তিশগড়, মধ্যপ্রদেশ, কর্ণাটক, তেলেঙ্গানা, ত্রিপুরা, মেঘালয়, নাগাল্যান্ড এবং মিজোরামে ২০২৩ সালের বিধানসভা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এগুলি ছাড়াও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল জম্মু ও কাশ্মীরে বিধানসভা নির্বাচন হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
আম আদমি পার্টি ১৩৩টি আসন জয়ের কাছাকাছি, যেখানে বিজেপি ১০৪টি আসন পাবে বলে মনে হচ্ছে। কংগ্রেস দ্বিগুণ অঙ্ক থেকে দূরে এবং লড়াই করছে। বিজেপি সংখ্যাগরিষ্ঠতা থেকে অনেক দূরে তবে ফল মারাত্মক খারাপ নয় বলেই মনে করা হচ্ছে।
অরবিন্দ কেজরিওয়াল বলেছেন যে আম আদমি পার্টি গুজরাটের জন্য একটি নতুন দল। এটা আমাদের প্রথম নির্বাচন। গুজরাটকে বলা হয় বিজেপির শক্ত ঘাঁটি। প্রথমবারের মতো নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী দলের জন্য ১৫-২০ শতাংশ ভোট পাওয়া একটি বড় ব্যাপার।
রবি লামিছনে রাষ্ট্রীয় স্বতন্ত্র পার্টি কিছুদিন আগে গঠন করেন। ২০ নভেম্বরের ভোটের আগে, তিনি নিজের একটি ভিডিও প্রকাশ করেন যে কেন তার দল প্রাদেশিক নির্বাচনে প্রার্থী দেয়নি।
নেপালে ভোটগ্রহণ শেষ হওয়ার পরপরই শুরু হবে ভোট গণনা। নির্বাচনের চূড়ান্ত ফলাফল আসতে এক সপ্তাহ সময় লাগতে পারে। নেপালে ফেডারেল পার্লামেন্টের ২৭৫টি আসন এবং সাতটি রাজ্য বিধানসভার ৫৫০টি আসনের জন্য নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
মণিপুরে বিধানসভায় রয়েছে মোট ৬০টি আসন। ২৮ ফেব্রুয়ারি এবং ৫ মার্চ এখানে দুই দফায় ভোটগ্রহণ হয়েছে। এখানে মূল লড়াইটা অবশ্যই কংগ্রেস জোট এবং বিজেপি জোটের মধ্যে। ভোটের আগে জনমত সমীক্ষা থেকে শুরু করে ভোটগ্রহণের পর বুথ ফেরত সমীক্ষা-সবেতেই বিজেপি জোট-কে এগিয়ে থাকতে দেখা গিয়েছে। সত্যি সত্যি গণনায় কি বিজেপি-র ভাগ্যেই শিকে ছিঁড়বে তা পরিস্কার হয়ে যাবে ঘণ্টাখানেকের মধ্যে।
উত্তরপ্রদেশ বিধানসভায় রয়েছে মোট ৪০৩টি আসন। এবার উত্তর প্রদেশে ৭ দফায় নির্বাচন হয়েছে। ১০ ফেব্রুয়ারি উত্তরপ্রদেশে প্রথম দফার নির্বাচন হয়েছিল। এরপর ধাপে ধাপে ১৪, ২০,২৩ এবং ২৭ ফেব্রুয়ারি ভোটগ্রহণ হয়। মার্চ মাসের ৩ মার্চ এবং ৭ মার্চ ষষ্ট ও সপ্তম দফার ভোটগ্রহণ হয়।
কংগ্রেসের অন্তর্দ্বন্দ্ব না আম আদমি পার্টির দেখানো আদর্শ সরকারের স্বপ্ন, না বিজেপি-র মোদীর স্লোগান আত্মনির্ভর ভারত, না শিরোমণি আকালি দলের পঞ্জাবি আস্মিতাকে রক্ষার প্রতিশ্রুতি।! এবারের পঞ্জাব বিধানসভা নির্বাচনে এই বিষয়গুলি বড় হয়ে উঠেছে। যদিও এত কিছুর পরেও এখানে মূল লড়াইটা কিন্তু কংগ্রেস বনাম আপ-এর মধ্যে। এর মধ্যে মোদীর জনপ্রিয়তার ফায়দা তুলে পাশার চাল পাল্টে দেওয়ার চেষ্টায় বিজেপি।