খড়গপুর শহরের ২৫ নম্বর ওয়ার্ড তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে ডিএমএস কলেজ এলাকায় লোকের বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে হাতে বড়দিনের কেক তুলে দিয়ে প্রচার সারল ঘাসফুল শিবির। এই অভিনব প্রচার নিয়ে বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়ায় পড়ে গিয়েছে সাড়া।
রাজ্যের বকেয়া পুরভোট নিয়েই আলোচনা করতে রাজ্য নির্বাচন কমিশনারকে ফের ডেকে পাঠান রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। এরপরেই রাজভবনে গিয়ে রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করেন রাজ্য নির্বাচন কমিশনার সৌরভ দাস।
২০২২ সালের ২২ জানুয়ারি হাওড়া, বিধাননগর, শিলিগুড়ি, আসানসোল ও চন্দননগরে পৌরসভা নির্বাচন হবে। ২৭ ফেব্রুয়ারি ভোট হবে বাকি পৌরসভাগুলিতে। এমতাবস্থায় পৌরসভা নির্বাচনের দিন ঘোষণা হতেই রানাঘাট শহরে তৃণমূলের পক্ষ থেকে দেওয়াল ব্লক করা শুরু হয়ে গেল।
এবার লক্ষ্যে পুরোভাট। বিধানসভা নির্বাচনে শিলিগুড়িতে বামেদের ভরাডুবির পর এবার পুরসভা নির্বাচনে ঘুরে দাঁড়াতে কোমর বেঁধে নেমে পড়েছে বামেরা।
'রাজ্যপালের জন্য হাওড়ার পুরভোট সম্ভব হচ্ছে না', বলে জগদীপ ধনখড়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুললেন বিমান বন্দ্য়োপাধ্যায়। যদিও পাল্টা বিমান বন্দ্য়োপাধ্যায়কেও নিশানা করেছেন রাজ্যপাল।
জ্য সরকারের তরফে ১৯ ডিসেম্বর এই দুই পুরনিগমে ভোটের কথা বলা হয়েছিল। কিন্তু, তাদের সেই দাবি মেনে নেওয়া হয়নি। ওইদিন কলকাতায় পুরভোট হলেও হাওড়ায় আপাতত ভোট হবে না। সেই ভোট কবে হবে তা নিয়ে এখনও পর্যন্ত নিশ্চিতভাবে কিছু জানা যায়নি।
কমিশনের তরফে ইলেকশন গ্রিভান্স ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম বা ইজিএমএস চালু করা হয়েছে। ভোট নিয়ে কোনওরকম কোনও অভিযোগ থাকলে এবার থেকে নাগরিকরা ওয়েবসাইটেই তা জানাতে পারবেন।
আজ প্রায় ১ ঘণ্টা ধরে রাজ্যপালের সঙ্গে বৈঠক করেন রাজ্য নির্বাচন কমিশনার সৌরভ দাস। আর সেই বৈঠকের পরই সিদ্ধান্ত বদল করে কমিশন। জানা যায়, আজ কলকাতা ও হাওড়ার পুরভোটের নির্ঘণ্ট ঘোষণা করা হচ্ছে না।
কলকাতা পুরনিগমের পর্যবেক্ষক করা হয়েছে সাংসদ অর্জুন সিং, বিজেপির সহ সভাপতি রাজু বন্দ্যোপাধ্যায়, সাংসদ জ্যোতির্ময় সিং মাহাতকে। এছাড়া কলকাতাকে ভাগ করা হয়েছে চারটি জোনে। আর সেই চারটি জোনের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে চারজনকে।
চলতি বছরে মেয়াদ শেষ হলেও এখনও অবধি পুরভোট হয়নি রাজ্যে। মহামারীর কারণে নির্বাচন করা যায়নি। এ নিয়ে কলকাতা হাইকোর্ট ও সুপ্রিম কোর্টে মামলা হয়েছে।