Saugata Roy News -

দুর্নীতিকাণ্ডে যখন শাসকদলের সব নেতানেত্রীদের দিকে বিরোধীদের তীব্র কটাক্ষের সুর, তখন দলের মধ্যে থেকেই সৌগত রায়ের বক্তব্য ঘিরে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চর্চা।

আবারও বিস্ফোরণ বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি দিলীপ ঘোষ। রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ সৌগত রায়ের নাম করে তাঁকে নিশানা করেন। আর সেই সময়ই তিনি অশালীন মন্তব্য করেন। শুক্রবার পশ্চিম মেদিনীপুরের দাঁতনের জনসভা থেকে দিলীপ ঘোষ বলেন, 'একটা মোটা কালো ধুমসো এমপি আছে, খালি বলে জুতো মারব।'

বছরখানেক আগে রাজনীতির ময়দানে পা রেখেছেন প্রাক্তন আমলা জহর সরকার। সোমবার দলের মধ্যে দুর্নীতির বিষয় কথা বলতে গিয়ে পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও অনুব্রত মণ্ডলকে নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য করেন তিনি।

“নিরপেক্ষ তদন্ত যদি না হয়, শাসকদল আবার রাস্তায় নামবে। ইডি সিবিআইয়ের কলকাতার অফিস অবরুদ্ধ করে দেব।” কামারহাটি থেকে হুঁশিয়ারি তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায়ের।

পশ্চিমবঙ্গে গণতন্ত্র ধ্বংস হয়েছে, মানবাধিকার লঙ্ঘনের ল্যাবরেটরিতে পরিণত হয়েছে। রাজ্যপাল সেই সঙ্গে তিনি বলেন, পশ্চিমবঙ্গের শিক্ষিত ও বুদ্ধিজীবী মানুষ প্রতিবাদ করুন, সময় এসেছে মুখ খোলার। রাজ্যপালের এই মন্তব্যের তীব্র সমালোচনা করলেন তৃণমূল কংগ্রেসের সাংসদ সৌগত রায়।

সাংসদ সৌগত রায়কে দলের তরফে একাধিকবার সতর্ক করা হয়েছিল। কিন্তু, তাতেও কোনও লাভ হয়নি। আর সেই কারণেই এবার তাঁকে তলব করতে চলেছে তৃণমূলের শৃঙ্খলারক্ষা কমিটি।

রাজ্যে একের পর এক ধর্ষণের ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তাল রাজ্য রাজনীতি। আর এর মাঝেই ফের নারী নিরাপত্তার দিক থেকে বাংলা এগিয়ে রয়েছে বলে দাবি তুললেন তৃণমূলের রাজ্য সম্পাদক কুণাল ঘোষ।

হাঁসখালি নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায়। রাজ্যে মহিলাদের উপর নির্যাতনের ধারাবাহিক ঘটনা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন তিনি।

সৌগত রায় বলেন, বর্তমানে গোটা দেশেই কংগ্রেস দুর্বল হয়ে পড়েছে। পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভায় কংগ্রেসের কোনও আসন নেই। পুরোপুরি নিশ্চিহ্ন তারা।

রাজ্যের একমাত্র সাংসদ হিসেবে হিসেবে এই সম্মান পাচ্ছেন সৌগত রায়। এটি তাঁর একটি বড় পাওনা বলেও মনে করেছেন রাজনৈতিক মহল। যদিও লোসভার অধিবেশনে সৌগত রায়কে একাধিকবার প্রশ্নবানে জর্জরিত করতে দেখা গেছে শাসক শিবিরকে।