গত ২৪ ঘন্টায় বাংলায় করোনা পরীক্ষা অনেকটাই বেড়েছে। ৭২৭৩৮ জনের পরীক্ষা হয়েছে। এখনও পর্যন্ত পরীক্ষিত মোট নমুনা পরীক্ষার সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২,২৬,২৩,৯৪৬।
সবথেকে বেশি উদ্বেগ বাড়াচ্ছে মহারাষ্ট্র, কর্নাটক, তামিলনাড়ু, কেরালা, দিল্লি ও উত্তর প্রদেশ। করোনা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখার জন্য এই রাজ্যগুলিতে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তরফে প্রতিনিধি দল পাঠানো হয়েছে।
শুক্রবার দৈনিক সংক্রমিতের সংখ্যা ছিল ২২ হাজার ৬৪৫। বুধবার রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ১৯ হাজার ৬৪ জন।
স্বাস্থ্য মন্ত্রকের এই তথ্য অনুযায়ী দেশে কোভিড থেকে পুনরুদ্ধারের হার ৯৪. ৮৩ শতাংশে নেমে এসেছে। দেশে অ্যাক্টিভকেসের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১.৪৫ লক্ষ। ২২৩ দিনের মধ্যে সক্রিয় আক্রান্তের সংখ্যায় রেকর্ড তৈরি করেছে। দৈনিক ইতিবাচক হার ১৬. ৬৬ শতাংশে পৌঁছে গেছে। ইতিবাচকের সপ্তাহিক হার ১৩ শতাংশের কাছাকাছি পৌঁছেছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক সরকারি কর্মকর্তা সংবাদ সংস্থা এএনআই-কে জানিয়েছে, আসন্ন বাজেট অধিবেশনে প্রবলভাবে মেনে চলতে হবে কোভিড-১৯ প্রোটোকল। সংসদ বিষয়ক মন্ত্রক ইতিমধ্যেই লোকসভা ও রাজ্যসভায় অধিবেশনে সময় ভাগ করার জন্য প্রস্তাব পাঠিয়েছে। বাজেট অধিবেশন শুরু হতে পারে ৩১ জানুয়ারি। এই অধিবেশন চলবে ফেব্রুয়ারি মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহ পর্যন্ত।
দলটি ভ্যারিয়েন্টেপ নির্দিষ্ট স্ক্রিনিং, পরীক্ষা ও সম্পূর্ণ জিনোম সিকোয়েন্সিং-এর পরসংখ্যনগত মডেল প্রয়োগ করেছে। সেখানেই তারা ২১ দিনের মধ্যে ওমিক্রেনের সংক্রমণের সঙ্গে ডেল্টা আলফা ভ্যারিয়েন্টের সংক্রমণের সংখ্যা তুলনা করেছে। গবেষকরা জানিয়েছেন ডেল্টা ও ওমিক্রনে আক্রান্তে লোকেদের মধ্যে সংক্রমণের হারের পার্থক্য ছিল প্রায় ১০৫ শতাংশ।
আউট্রাম ঘাটে কলকাতা পুরসভার টেস্টিং সেন্টারে সকাল ৭ টা থেকে বিকেল ৪টে পর্যন্ত করোনা পরীক্ষা করানো হয়। পরীক্ষার পর দেখা যায় ৯ জন করোনায় আক্রান্ত। কিন্তু, তাতেও তাঁদের বিশেষ একটা হেলদোল দেখা যায়নি। বরং মাস্ক খুলে ঘুরে বেরাতে দেখা গিয়েছে তাঁদের।
রাজধানী দিল্লিতে (Delhi) লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে করোনা (Corona) আক্রান্তের সংখ্য়া। শুক্রবার দিল্লিতে করোনা আক্রান্ত ১৭ হাজার ৩৩৫ জন। পরিস্থিতি সামাল দিতে দিল্লিতে জারি ৫৫ ঘণ্টার উইকেন্ড কারফিউ (55 Hour Weekend Curfew)।
নয়া এই নির্দেশিকায় কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তরফে বলা হয়েছে, জেলা ও উপ-জেলা স্তরে করোনার কন্ট্রোল রুম তৈরি করতে হবে। সেগুলির মাধ্যমে চালাতে হবে নজরদারি।
মাত্র তিনদিনেই ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালের ৮ জন চিকিৎসক করোনা আক্রান্ত হলেন। এছাড়া বেশ কয়েকজন স্বাস্থ্যকর্মীও ইতিমধ্যেই আক্রান্ত হয়েছেন বলে জানা যাচ্ছে। সব মিলিয়ে গত তিনদিনের ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালের ১৬ জন করোনা আক্রান্ত হয়েছেন বলে জানা যাচ্ছে।