কুপওয়ারার এলওসির কাছে অন্য জায়গায়, মাচিল সেক্টরের ত্রেহগাম এলাকায় কুমকারি পোস্টে গুলি চালানোর খবর পাওয়া গেছে। সেখানে এখনো কোনো হতাহতের খবর নেই। গত মাসেই এই একই জায়গায় একটি এনকাউন্টার হয়েছিল।
রবিবার সুকান্ত বলেন, ' কলকাতা, নদিয়া বসিরহাটে ভোট পরবর্তী হিংসা শুরু হয়েছে। বিজেপি ক্ষমতায় এলেই উত্তর প্রদেশের ট্রিটমেন্ট হবে। পুরো এনকাউন্টার হবে। দুষ্কৃতীরা যেন সাবধানে থাকে। তাদের দিন ঘনিয়ে এসেছে।'
সেনা ও পুলিশ পুলওয়ামায় কিছু জঙ্গির উপস্থিতির গোপন তথ্য পেয়েছিল। পুলওয়ামার ফিসিপুরায় লুকিয়ে ছিল জঙ্গিরা। নিরাপত্তা বাহিনী স্থানীয় লোকজনকে সতর্ক করে পুরো এলাকা অবরোধ করে। এরপর শুরু হয় তল্লাশি অভিযান।
ঝাড়খণ্ডের রাজধানী রাঁচি থেকে প্রায় ২০০ কিলোমিটার দূরে সদর এবং বশিষ্ঠনগর জোরি থানা এলাকার মধ্যে ব্যারিওর জঙ্গলে এনকাউন্টারটি হয়েছিল।
পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর দেওয়া বিবৃতিতে বলা হয়েছে, জঙ্গিদের ক্যাম্প ও আস্তানাও ধ্বংস করা হয়েছে। নিহত জঙ্গিদের কাছ থেকে অস্ত্র, গোলাবারুদ এবং বিপুল পরিমাণ বিস্ফোরক উদ্ধার করা হয়েছে।
সেনাবাহিনী জানিয়েছে যে ম্যাঙ্গালোরের ক্যাপ্টেন এমভি প্রাঞ্জল, আগ্রার ক্যাপ্টেন শুভম গুপ্তা, পুঞ্চের হাবিলদার আব্দুল মজিদ, নৈনিতালের ল্যান্স নায়েক সঞ্জয় বিস্ত এবং আলিগড়ের প্যারাট্রুপার শচীন লাউর এই এনকাউন্টারে শহিদ হয়েছেন।
গোপন সূত্রে খবর পেয়ে হাতলাঙ্গা নালা এলাকায় তল্লাশি অভিযান শুরু করে সেনা ও জম্মু কাশ্মীর পুলিশের যৌথ বাহিনী। বেশ কিছু ক্ষণ গুলির লড়াই চলে দু’পক্ষের মধ্যে।
সংঘর্ষে তিন জওয়ান আহত হয়েছেন। মঙ্গলবার সন্ধ্যা থেকে সংঘর্ষ অব্যাহত রয়েছে। এ সময় ছয় বছরের একটি ল্যাব্রাডরের মৃত্যু হয়। এই সারমেয় সেনাবাহিনীর কুকুর ইউনিটের সদস্য ছিল।
শনিবারও জঙ্গিদের উপস্থিতি সম্পর্কিত তথ্য পেয়ে নিরাপত্তা বাহিনী গোটা এলাকা ঘিরে ফেলে এবং শুরু হয় এনকাউন্টার। সেনার হাতে শুরুতেই খতম হয় এক জঙ্গি। বারামুল্লায় ২৪ ঘণ্টায় ২ জঙ্গিকে খতম করেছে পুলিশ। সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, নিহত জঙ্গির নাম ইরশাদ আহমেদ ভাট।
সাধারণ ও স্থানীয় কাশ্মীরিদের সহযোগিতা, টেকনিক্যাল ইন্টেলিজেন্স, ফোকাসড অপারেশনের জন্য ভারতীয় সেনার হাতে ক্রমশই খতম হওয়ার সংখ্যা বাড়ছে জঙ্গিদের।