ভারতের মতো একটি গণতান্ত্রিক দেশে, যেটি সংবাদপত্র ও গণমাধ্যমের স্বাধীনতা প্রদান করে, সেখানে সাংবাদিকদের ফৌজদারি অপরাধের জন্য জেলে যাওয়া কাম্য নয়।
প্রেস বিবৃতি প্রকাশ করে এনবিডিএ জানিয়েছে কোচিতে যেভাবে মালয়ালম নিউজ চ্যানেল এশিয়ানেটের অফিস এবং পরবর্তীতে কেরালার কোঝিকোড়ে তার অফিসে তল্লাশি চালায়, তা রীতিমত নিন্দনীয়।
কেরলে এশিয়ানেট নিউজ চ্যানেলে এসএফআই নেতা কর্মীদের হামলা আর তারপরই পুলিশি অভিযানের তীব্র নিন্দা করল নিউজ ব্রডকাস্টার অ্যান্ড ডিজিটল অ্যাসোসিয়েশন। দোষীদের গ্রেফতারেরও দাবি জানিয়েছে সংস্থাটি।
পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে পিভি আনোয়ারের বিধায়কের অভিযোগের ভিত্তিতে কোঝিকোড় ভেল্লাইল পুলিশ অনুসন্ধান করেছে।
‘যারা যারা এশিয়ানেট নিউজের অফিসে গিয়েছিল আর সেখানে গোলমাল বাঁধিয়েছে এবং হিংসা ছড়িয়েছে, তাঁদের প্রত্যেককে গ্রেফতার করতে হবে’, দাবি প্রকাশ জাভড়েকরের।
শনিবার এশিয়ানেট নিউজের কোচি অফিসে ঢুকে কার্যত তাণ্ডব চালাল প্রায় শখানেক এসএফআই সদস্য। অফিসের মধ্যে গায়ের জোর খাটিয়ে প্রবেশ করে দেওয়া হয় স্লোগান।
সতীসান বলেন, “যদি কোনও খবরের বিরুদ্ধে অভিযোগ থাকে, তাহলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া যেতে পারে। এই দলটা যেভাবে একটা মিডিয়া হাউসে ঢুকে গুন্ডামি দেখিয়েছে, সেটা মর্মান্তিক এবং নিন্দনীয়।
সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতার উপরে আক্রমণ নতুন কিছু নয়। বাম ছাত্র সংগঠন এসএফআই এবার যেভাবে এই আক্রমণের নয়া নিদর্শন খাড়া করল তাতে হতবাক দেশ। ইতিমধ্যেই অভিযুক্ত ছাত্রনেতাদের বিরুদ্ধে পুলিশে অভিযোগও দায়ের হয়েছে।
এশিয়ানেট নিউজ জানতে পেরেছে যে গোটা ঘটনার জন্য রীতিমত অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন রাজনাথ। দ্রুত বিষয়টি মিটিয়ে নিতে নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।
এশিয়ানেট নিউজের খবরের জেরে বিহারের প্রত্যন্ত গ্রামের সেই অসহায় পরিবারের পাশে দাঁড়ানোর বার্তা দিয়েছে ভারতীয় সেনা। সেনার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে এই পরিবারের দাবি মেনে শহিদ জওয়ানের মূর্তি বসানো হবে।