মায়ের ভাসান দেখে মন খারাপ নিয়েই কাঁদতে কাঁদতে নৌকায় ঘুমিয়ে পড়েন রাজা কৃষ্ণচন্দ্র রায়। ঘুমের মধ্যেই মা জগদ্ধাত্রীর স্বপ্নাদেশ পান তিনি।
পশ্চিমবঙ্গে যেখানে রাম নবমীর উৎসবে মারকাটারি দাঙ্গার নিদর্শন দেখেছে সারা ভারত, সেখানেই ঈদ আর উলটো রথ যাত্রার উৎসবের দিন সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির এক অনন্য বন্ধনও দেখা গেল বৃহস্পতিবার।
বেশিরভাগ বনেদি বাড়িতে অষ্টমী তিথিতে কুমারী পূজার চল থাকলেও সরকার বাড়ির দূর্গা পূজায় কুমারি পূজিতা হন দশমী তিথিতে। পাশের নদীতে ঘট বিসর্জনের পরেই নদী থেকে মাছ সংগ্রহ করে আনা হয়। যে কুমারী মায়ের পুজো হবে সেই কুমারী মাকে নদী থেকে সংগ্রহ করা মাছ দেখানোর রীতি রয়েছে।
পৌরানিক কাহিনি অনুসারে দেবতা আর অসুররা যখন সমুদ্র মন্থন করছিল তখন সেই মন্থন থেকে অপ্সরা রম্ভার উৎপত্তি হয়েছিল। পরে তিনি স্বর্গের অপসরা হয়ে সেখানেই বাস করেন।
কুমারী পুজো বর্ধমানের সর্বমঙ্গলা মন্দিরে। উল্লেখ্য, ১৭৪০ সালে রাজা কীর্তি চাঁদ অষ্টাদশী দেবী মূর্তিকে প্রতিষ্ঠা করেন, সরকারি নির্দেশিকা ও কোভিড বিধি মেনেই এখানে পুজোর আয়োজন করা হয় বৃহস্পতিবার নবমী তিথিতে।
প্রতিবারের ঐতিহ্য এবং রীতিকে বজায় রেখে মুদিয়ালি ক্লাব নবমীর সকালে তাদের কুমারী পূজো আয়োজন করেছে। এবং সব করোনা বিধিনিষেধ মেনেই এই কুমারী পুজো হচ্ছে।
চিকাগো থেকে স্বামীজী ভারতে ফিরেছেন। বেশ কয়েক বছর কেটে গিয়েছে। স্বামীজী একদিন বসে আছেন বেলুড় মঠে গঙ্গার তীরে। শীতের বিকেল। স্বামীজীর পাশে এসে বসলেন নিবেদিতা।
বেলুড় মঠে দুর্গাপুজোর মহা অষ্টমীর সঙ্গেই জড়িত কুমারী পুজো। স্বামী বিবেকানন্দ বেলুড় মঠে এই কুমারী পুজো প্রথম চালু করেন। এরপর থেকে প্রতিবছর দুর্গাপুজোয় অষ্টমীতে বেলুড় মঠে কুমারী পুজো হয়ে আসছে। চলতি বছরে ও এই প্রথার অন্যথা হয় নি। নিয়ম মেনেই হল কুমারী পুজো। নেই কেবল ভক্তের সমাগম।
দুর্গা পুজোর চারদিন বলরাম রেবতী দুর্গামন্দিরেই অবস্থান করে। এখনো প্রাচীন ঐতিহ্য মেনে বংশানুক্রমিক ভাবে সব কিছু হয়।