১০৮ পুরসভা ভোটের গণনার তারিখ দিয়ে বিজ্ঞপ্তি জারি করে ঘোষণা কমিশনের। পাশাপাশি, ১০৮ পুরসভায়, কেন্দ্রীয় বাহিনী দেওয়া যায় কিনা, জানাতে নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট।
কলকাতা পুরভোটের পালা সাঙ্গ হতেই ইতিমধ্যেই রাজ্যের অন্যান্য পুরনিগম গুলিতে বেজে গিয়েছে ভোটের বাদ্যি। চলতি মাসের শেষেই ভোট রয়েছে চার পুরনিগমে। সেখানেও রাজ্য পুলিশ দিয়েই নির্বাচন পরিচালনা করার কথা ভাবছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন।
'কেন্দ্রীয় বাহিনী ছাড়া রাজ্যে হিংসা ও সন্ত্রাসমুক্ত নির্বাচন করা সম্ভব নয়', বাংলার বকেয়া পুরভোটের আগে দাবি জানালেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার।
রাজ্যের বকেয়া পুরভোট নিয়েই আলোচনা করতে রাজ্য নির্বাচন কমিশনারকে ফের ডেকে পাঠান রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। এরপরেই রাজভবনে গিয়ে রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করেন রাজ্য নির্বাচন কমিশনার সৌরভ দাস।
সুকান্ত মজুমদার বলেন জেলাগুলিতে কলকাতার চাইতে বিজেপি অনেকটাই শক্তিশালী। সেখানে পুরসভা নির্বাচনে তৃণমূল কোনরূপ সন্ত্রাসের চেষ্টা করলে বিজেপি তা প্রতিরোধ করবে।
পুরভোটে কেন্দ্রীয় বাহিনীর আর্জি খারিজ করে দেয় হাইকোর্ট। হাইকোর্টের সেই রায়কেই চ্যালেঞ্জ জানিয়ে ডিভিশন বেঞ্চে বিজেপি।
ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়েছে, 'কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের ব্যাপারে আমরা কোনও সিদ্ধান্ত নিতে পারি না। বাহিনী মোতায়েন করা হবে কি হবে না, এই নিয়ে বলার যোগ্যতা কলকাতা হাইকোর্টের রয়েছে।'
ভোট হোক হাওড়া-বালি পুরসভার বিভাজন, একাধিক ইস্যুতে রাজ্য-রাজ্যপাল সংঘাত লেগেই রয়েছে। এরই মধ্যে রাজ্যপালকে বলতে শোনা যায় কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন নিয়ে রাজ্য নির্বাচন কমিশনের আরও ভাবা উচিত।
এরাজ্যে শান্তিপূর্ণভাবে ভোট প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়। তাই বিশালাকারের কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে এসে রাজ্য সরকারের বিশাল অঙ্কের টাকা খরচ করার পেছনে কোনও যৌক্তিকতা নেই। এ রাজ্যের পুলিশ যথেষ্ট দক্ষ।তাদের মাধ্যমেই কলকাতা পুরভোট নির্বিঘ্নে সম্পন্ন করা সম্ভব হবে বলেই এদিন মত প্রকাশ করতে দেখা গেল ফিরহাদকে।
সূত্রের খবর, পুরভোটে মোতায়েন করা হবে ২৭ হাজার কলকাতা পুলিশ ও ৫ হাজার রাজ্য পুলিশ। কলকাতা পুরভোটের সুরক্ষায় থাকবে না কোনও সিভিক ভলেন্টিয়ার।