আপাতত পশ্চিমবঙ্গের ভোটের জন্য ৩১৫ কোম্পানি বাহিনী বরাদ্দ করেছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। একদফার পঞ্চায়েত নির্বাচনে প্রায় ১২টি রাজ্য থেকে কেন্দ্রীয় বাহিনী পাঠানো হচ্ছে পশ্চিমবঙ্গে।
বৃহস্পতিবার জানা গিয়েছে পঞ্চায়েত ভোটের জন্য ৮০০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী চেয়েছে নির্বাচন কমিশন । ৮০০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী চেয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রককে চিঠি দিয়েছে কমিশন।
এক কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনীতে ১০০-১০৫ জন সদস্য থাকে। তাদের মধ্যে থেকে কমপক্ষে ৮০ জনকে ব্যবহার করা যায়। অর্থাৎ একএকটি জেলায় কেন্দ্রীয় বাহিনীর মাত্র ৮০ জন সদস্যই নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকবে।
কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে তৎপর রাজ্য নির্বাচন কমিশন। সূত্রের খবর এদিন দুপুরেই রাজ্য নির্বাচন কমিশনের দফতরে শীর্ষ কর্তারা বৈঠকে বসেছিলেন।
কেন্দ্রীয় বাহিনী সম্পর্কে হাইকোর্টের রায়ই বহাল রাখল সুপ্রিম কোর্ট। ‘৫ রাজ্য থেকে বাহিনী চেয়ে পাঠালে কেন কেন্দ্রীয় বাহিনী নিতে পারে না পশ্চিমবঙ্গের প্রশাসন?’ সুপ্রিম কোর্টে চোখা প্রশ্নের মুখোমুখি নির্বাচন কমিশন।
শনিবার ই-ফাইলিং করে রাজ্য ও নির্বাচন কমিশন। পঞ্চায়েত ভোটে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের হাইকোর্টের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ রাজ্য।
শনিবার ও রবিবার সুপ্রিম কোর্ট বন্ধ তাই ই-ফাইলিং করার চিন্তাভাবনা চলছে বলে জানিয়ে নবান্নের একটি সূত্র। তবে রাজ্য সরকারের সঙ্গে রাজ্য নির্বাচন কমিশন সুপ্রিম কোর্টে যাচ্ছে কিনা তা এখনও স্পষ্ট করেনি কমিশ
রাজ্যের ২২টি জেলায় কেন্দ্রীয় বাহিনীর নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্টের। ৪৮ ঘণ্টার মধ্যেই নির্দেশ কার্যকর করতে হবে কমিশনতে।
কলকাতা হাইকোর্ট রাজ্যের পাশাপাশি রাজ্য নির্বাচন কমিশনতে তীব্র ভর্ৎসনা করে। প্রধানবিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম রীতিমত ধমক দেন রাজ্য ও নির্বাচন কমিশনকে।
পঞ্চায়েত ভোট নিয়ে জনস্বার্থ মামলার শুনানি হয়েছি শুক্রবার ও সোমবার। শুনানির পর রায়দান স্থগিত রেখেছিল কলকাতা হইকোর্টের প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন ডিভিশন বেঞ্চ। মঙ্গলবার সেই মামলায় রায় ঘোষণা করে আদালত।