প্রথম দফার ভোটের আগেই কেন্দ্রীয় বাহিনী কী কী করতে পারবে, কী কী করতে পারবে না (Dos and donts for CAPF) তা মুখ্য নির্বাচন আধিকারিক তথা সিইও-র অফিস থেকে সব জেলা শাসক ও জেলা নির্বাচন অফিসারকে পরিষ্কার জানিয়ে দেওয়া হল ।
বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৬টা নাগাদ জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের সল্টলেকের বাড়িতে হানা দিয়েছিল ইডি। সল্টলেকের বিসি ব্লকের পাশাপাশি দুটি বাড়িতে একসঙ্গে তল্লাশি চালান হয়।
বড় কোনও রাজনৈতিক গোলযোগের খবর না এলেও ধূপগুড়িতে বিভিন্ন এলাকায় ক্ষুব্ধ রয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মীরা। বহু ক্ষেত্রে অনেকগুলি অভিযোগ দায়ের হয়েছে।
কেন্দ্রীয় সরকারের জন্য মাত্র ১০ হাজার বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা যায়নি। তবে রাজ্যে ভোট গণনা মোটের ওপর শান্তিপুর্ণ বলেও জানিয়ে দেন রাজ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব সিনহা।
যুদ্ধক্ষেত্র নাকি ভোটগণনা কেন্দ্র, প্রশ্ন তুলছেন তারা। হুগলি জেলার ১৮টি গণনাকেন্দ্রের ভিতরে ও বাইরে কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে। গণনাকেন্দ্রের ঠিক সামনে, যুদ্ধক্ষেত্রে মতো তৈরি করা হয়েছে বাঙ্কার।
রাজ্য প্রশাসন সূত্রের খবর প্রতিটি গণনাকেন্দ্রে এক কোম্পানি অর্থাৎ ৮২ জন কেন্দ্রীয় বাহিনীয় সক্রিয় সদস্য মোতায়েন করা হবে। সঙ্গে থাকবে রাজ্য পুলিশও। প্রত্যেক গণনাকেন্দ্রে নিরাপত্তার জন্য বসান হয়েছে সিসিটিভিও।
রাজ্যে কেন্দ্রীয় বাহিনীর দায়িত্বে থাকা বিএসএফএর আইজি এসএস গুলেরিয়া স্পষ্ট করে জানিয়ে দিয়েছে ভোটে অশান্তিতে তাদের কোনও দায় নেই।স্পর্শকাতর বুথের তালিকাই দেয়নি রাজ্য ।
বুথের মধ্যেই সংঘর্ষে জড়ায় তৃণমূল এবং বিজেপি। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে বুথের মধ্যেই শূন্যে গুলি চালায় কেন্দ্রীয় বাহিনী। ঘটনায় কোনও হতাহতের খবর মেলেনি।
পূর্ব মেদিনীপুরের ১ নম্বর ব্লকের মহম্মদপুর ২ নম্বর পঞ্চায়েতের তারাচাঁদবাড়ে ৬৭ ও ৬৮ নম্বর বুথে শনিবার সকাল থেকেই কেন্দ্রীয় বাহিনী অনুপস্থিত ছিল। সেখানেই কেন্দ্রীয় বাহিনী চেয়ে ফোন করেন শেখ সুফিয়ান।
দিকে দিকে তৃণমূল কর্মীদের ওপর হামলা হওয়ার ঘটনাকে মর্মান্তিক এবং দুঃখজনক বলে উল্লেখ করেছে রাজ্যের শাসকদল।