তমলুকের বিজেপি প্রার্থী অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে খুনের চেষ্টা, হামলা, ভাঙচুর-সহ একাধিক ধারায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। অস্ত্র আইনেও তাঁর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
বিজেপি প্রার্থীর কথায়, ‘মমতা কতটা যুক্ত এর সঙ্গে সেটা তদন্তের আতস কাঁচের নীচে হয়তো চলে এসেছে। সেসব আরেকটু সময় গেলে দেখা যাবে। এখন বাংলায় কে মুখ্যমন্ত্রী আছেন তা আমি জানি না। আর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে মুখ্যমন্ত্রী বলে স্বীকার করি না।
ইতিমধ্যেই স্টিং কাণ্ডে সিবিআই-র কাছে জমা পড়েছে অভিযোগ। বিজেপি প্রার্থী অভিজিৎ গাঙ্গুলির ওপর হতে পারে স্টিং অপারেশন। এমনটাই আশঙ্কা করছেন তমলুকের ক্যান্ডিডেট।
লোকসভা নির্বাচনের উত্তাপ যত বাড়ছে, ততই কুকথাও বাড়ছে। রাজনৈতিক নেতাদের আচরণ ও কথাবার্তা মাঝেমধ্যেই শালীনতার সীমা ছাড়িয়ে যাচ্ছে।
গুরুত্ব বুঝে বিভিন্ন দলের নেতাদের ওপর বিশেষ সুরক্ষা ব্যবস্থার নির্দেশ দেয় কমিশন। ভোটের আগে ও ভোট চলাকালীন এই নিরাপত্তা কভার নানা হামলা থেকে বাঁচানোর জন্য দেওয়া হয় নেতাদের।
অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় জানিয়েছেন, তিনি মোটেও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মৃত্যু কামনা করেননি। তাঁর মন্তব্যের ভুল ব্যাখ্যা করা হচ্ছে।
শুভেন্দু অধিকারীর বিধানসভা কেন্দ্র নন্দীগ্রামে যান অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। নন্দীগ্রামে প্রাক্তন বিচারপতিকে জয় শ্রীরাম স্লোগান বিয়ে বরণ করে দেওয়া হয়।
বিজেপি সূত্রের খবর শুভেন্দু অধিকারী অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়কে নিয়ে যথেষ্ট সংবেদনশীল। বিজেপিতে যোগদানের আগে থেকেই তাঁকে নিয়ে জল্পনা চলছিল তমলুক লোকসভা কেন্দ্রের নাম।
অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের ঘোষণা অনুযায়ী বাম ও কংগ্রেসের সঙ্গে তাঁর আদর্শগত ফারাক রয়েছে। সেই কারণেই তিনি বিজেপিকে বেছে নিয়েছেন
বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় ইস্তফা দিতে চলেছেন, এই খবর পেয়ে অনেকটাই হতাশ বাংলার দীর্ঘ দিনের আন্দোলনরত চাকরিপ্রার্থীরা।