টুইন টাওয়ারে অফিস, খুচরো দোকান থাকবে এবং হোটেলের জন্য জায়গাও থাকবে। রেলওয়ে তার নিজস্ব অফিস পাবে, ৪৫ হাজার বর্গ মিটার এলাকা জুড়ে। সাইটে ৯১টি বাস বে, ১৫০০টি ইসিএস পার্কিং, পথচারীদের জন্য এবং মেট্রো যাত্রীদের জন্য তৈরি করা হবে স্কাইওয়াক।
নয়ডার টুইন টাওয়ার ধ্বংসলীলা খুব কাছ থেকে দেখেছিলেন তাঁরা প্রত্যেকেই বিস্ফোরক দলের অংশ ছিলেন। তাঁরা হলেন, এসডিফিস ইঞ্জিনিয়ার চেতন দত্ত। তিনি বিস্ফোরক ঘটিয়েছিল।
মাত্র ৯ সেকেন্ডেই ঘটে গেল ভারতের বৃহত্তম ধ্বংসকার্য। বোতাম টিপলেন চেতন দত্ত। টুইন টাওয়ার ভেঙে পড়তেই কেঁদে ফেললেন হাউহাউ করে।
আসে পাশের আবাসনের সমস্ত আবাসিকরা ফ্ল্যাট খালি করে বেরিয়ে যান। তালিকা মেলায় প্রশাসন। কিন্তু খোঁজ পাওয়া যায়নি এক ব্যক্তির। আর তারই খোঁজে শুরু হয় তল্লাশি। রীতিমত চিরুনি তল্লাশি শুরু করে প্রশাসন। কিন্তু খোঁজ পাওয়ায় যায়নি।
আপনি জানেন কি নয়ডার টুইন টাওয়ার ধ্বংসের জন্য যে বিস্ফোরক ব্যবহার করা হয়েছিল তা ৩টি অগ্নি-৫, ১২টি ব্রাহ্মোস ক্ষেপণাস্ত্র আর চারটি পৃথ্বী ক্ষেপণাস্ত্রের সমান। ধ্বংসের জন্য খরচ করা হয়েছে ২০ কোটিরও বেশি টাকা।
পূর্ব নির্ধারিত সূচি অনুযায়ী রবিবার দুপুর ২টো ৩০ মিনিটেই বিস্ফোরণ করা হয়। তারপর মাত্র কয়েক সেকেন্ডেই গুঁড়িয়ে গেল সুপারটেক টুইন টাওয়ার। এই টাওয়ারের আশপাশে প্রচুর আবাসন ছিল। তাই আগে থেকেই এই টুইন টাওয়ার ভেঙে ফেলা যথেষ্ট চ্যাালেঞ্জের ছিল প্রশাসনের কাছে।
নয়ডা সুপারটেক টুইন টাওয়ারগুলি রবিবার ভেঙে ফেলা হবে এবং বিস্ফোরক স্থাপন এবং তাদের সংযোগ সম্পর্কিত সমস্ত কাজ ইতিমধ্যেই সম্পূর্ণ হয়েছে। বহু প্রত্যাশিত ধ্বংসের আগে, নয়ডার কর্মকর্তারা ধ্বংসের সময় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা দল এবং হাসপাতালকে সহায়তা করার জন্য একটি কন্ট্রোল রুম চালু করেছে।
সবকিছু স্থির হয়ে গেছে । প্রস্তুত গোলাবারুদ। এখন শুধু সময়ের অপেক্ষা। কারণ আগামী ২৮ অগাস্ট দুপুর ২টো ৩০ মিনিটে উড়িয়ে দেওয়া হবে নয়ডার টুইন টাওয়ার। আদালতের নির্দেশ কার্যকর করতে নয়ড়া প্রশাসন রীতিমত তৎপরতার সঙ্গে পদক্ষেপ করছে।
এমারাল্ড কোর্ট প্রকল্পে ৪০ তলা টুইন টাওয়ার ভেঙে ফেলার নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের। তিন মাসের মধ্যে এই কাজ সম্পূর্ণ করার আদেশ।