আলিপুর আবহাওয়া দফতর বলছে, আপাতত কলকাতা-সহ জেলাগুলিতে বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই। বরং তাপমাত্রা আরও বৃদ্ধির আশঙ্কা রয়েছে।
নয়াদিল্লি ও আশেপাশের অঞ্চলে যেমন ঠান্ডা পড়ে তেমনই গরমও পড়ে। তবে এবারের গ্রীষ্মে যে চরমভাবাপন্ন আবহাওয়া দেখা যাচ্ছে তা অতীতে কখনও দেখা যায়নি।
দক্ষিণবঙ্গে ৬ জেলায় হালকা বৃষ্টির প্রবল সম্ভাবনা রয়েছে। এরপর থেকেই রাজ্যে তাপমাত্রা হুহু করে বৃদ্ধি পাবে। তেমনই পূর্বাভাস দিয়েছে আলিপুর হাওয়া অফিস।
আলিপুর হাওয়া অফিস জানিয়েছে, এদিন রাতের মধ্যেই দুই মেদিনীপুর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলায় ঝ়ড় বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। তিন জেলাতেই বজ্রবিদ্যুতের সতর্কতা জারি করা হয়েছে।
চলতি সপ্তাহের প্রথম দিন থেকে আগামী শনিবার পর্যন্ত দক্ষিণবঙ্গের সব জেলায় বজ্রবিদ্যুৎ সহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। বৃষ্টির সঙ্গে ঘণ্টায় ৪০-৫০ কিলোমিটার বেগে বাতাস বইতে পারে।
চাতক পাখির অপেক্ষা কি আদৌ শেষ হতে চলেছে! কবে আসবে বৃষ্টি! আদৌ আসবে তো? হাওয়া অফিসের তরফে জানানো হয়েছে, আগামী সোমবার থেকে রাজ্যের কোথাও তাপপ্রবাহের সতর্কতা নেই।
বজ্র বিদ্যুৎ সহ বৃষ্টির সঙ্গে দমকা হাওয়া বইতে পারে। ৫ মে বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে দুই ২৪ পরগনা, নদিয়া, মুর্শিদাবাদে। ৩০ থেকে ৫০ কিলোমিটার বেগে দমকা ঝড়ো হাওয়া বইবে।
বৈশাখের শুরু থেকেই দেশের বিভিন্ন রাজ্যে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছাড়িয়ে গিয়েছে। দক্ষিণ ভারতের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ শহর বেঙ্গালুরুতেও সর্বোচ্চ তাপমাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে অনেক বেশি।
তাপমাত্রার পারদ চড়ছে হুহু করে। তার জন্য বিজ্ঞানীরা মূলত জলবায়ুর পরিবর্তনকেই দায়ী করেছেন। সমুদ্রের জলের উষ্ণতা বাড়ছে দ্রুত।
গত ১৫ বছর এপ্রিল মাসের তাপমাত্রা অনুসারে এটি তৃতীয় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা। শুধু তাই নয়, গত আট বছরের মধ্যে এই শহরের এটি ছিল সর্বোচ্চ তাপমাত্রা।