শারদীয়ার শুক্ল চর্তুদশীতেই বশিষ্ঠ মুনি সাধনার মাধ্যমে মা তারাকে স্বপ্নে দেখতে পান। সেই স্বপ্নে দেখা মূর্তি দীর্ঘকাল মাটির নিচে ছিল। পরে বনিক জয়দত্ত সওদাগর সেই মূর্তি তুলে মা’কে মূল মন্দিরে প্রতিষ্ঠা করেন। তাই এই দিনটিকেই মায়ের আর্বিভাব দিবস হিসাবে ধরে নেওয়া হয়েছে।
দুই বছর করোনাভাইরাসের সংক্রমণের জন্য জনসমাগন হয়নি। তাই অনেক আশা নিয়ে কৌশিকী আমাবস্যায় ব্যবসাপাতি ভাল হবে পসরা সাজিয়ে বসেছিলেন ব্যবসায়ীরা। কিন্তু তেমনভাবে জমল না তারাপীঠের কৌষিকী অমাবস্যা। মাথায় হাত লজ মালিক থেকে সমসত স্তরের ব্যবসায়ীদের।
কৌশিকী অমাবস্যায় অতিরিক্ত আয়ের উদ্দেশ্যে এক শ্রেণীর অসাধু চক্র অনলাইনে পুজো কর্যে দেওয়া নামে পুন্যার্থীদের সঙ্গে প্রতারণা করছে বলে অভিযোগ মন্দির কমিটির। আর সেই অসাধু চক্রের হাত থেকে ভক্তদের বাঁচাতেই অনলাইন পুজো হবে না বলে জানিয়ে দিল মন্দির কমিটি।
অনুব্রত বলেন, "আদালতকে আমি স্যালুট করব। সম্মান জানাব। আদালত যা রায় দেবে তা মাথা পেতে নেব। আদালত যেভাবে বলবে সেভাবে আমি সহযোগিতার হাতও বাড়িয়ে দেব। আইন আইনের পথে চলবে।"
রাজ্যে করোনার তৃতীয় ঢেউ আছড়ে পড়ার পরই ৪ জানুয়ারি থেকে তারাপীঠে পুজো দেওয়ার উপর বিধিনিষেধ জারি করা হয়েছিল। সেই মতো তারাপীঠের সমস্ত লজ বন্ধের নির্দেশও দেওয়া হয়েছিল। ঠিক হয়েছিল মন্দিরে ৫০ জন পুণ্যার্থীর বেশি কেউ থাকতে পারবেন না।
বেশ কিছু পুন্যার্থী আগে থেকেই চলে এসেছিলেন। সেই জন্যই বুধবার সরকারি নির্দেশিকা মানা সম্ভব হয়নি। বুধবার তারাপীঠ রামপুরহাট উন্নয়ন পর্ষদের অফিসে বৈঠকে বসে প্রশাসন।
বছরের এই একটি দিন মায়ের কোন ভোগ হয় না। উপবাস থাকেন সেবাইতরাও।
কৌশিকী অমাবস্যা উপলক্ষ্যে তারাপীঠে ভিড় করেন ভক্তরা। করোনা পরিস্থিতির মধ্যে ভিড় এড়াতেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে জেলা প্রশাসন এবং মন্দির কমিটি।
করোনা অতিমারির কারণে এবারও কৌশিকী অমাবস্যায় ভক্তদের জন্য বন্ধ করা হল তারাপীঠ মন্দিরের দরজা। রামপুরহাট মহকুমা শাসকের সভাকক্ষে জেলা প্রশাসন ও মন্দির কমিটির বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।