মিছিল যাওয়ার সময়ই রাস্তায় পুলিশের প্রিজন ভ্যান দেখে সেদিকে এগিয়ে যান শুভেন্দু অধিকারী। তারপর তাঁকে জোর জবরদস্তি তাঁকে ও শমীক ভট্টাচার্যকে প্রিজন ভ্যানে তোলা হয়।
কনভয়ের ধাক্কা খাওয়ার পরও দিলীপ ঘোষ অথবা ওই কনভয়ে থাকা কেউ আহত মহিলার দিকে ফিরে তাকান নি বলে অভিযোগ। আর এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে ক্ষোভ বাড়ে এবং পথ অবরোধে নামেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
রাজ্য বিজেপির সভাপতি হতে পারেন দিলীপ ঘোষ। তেমনই জল্পনা বিজেপির অন্দরে। আরএসএস-এর প্রথম পছন্দ তিনি। দিল্লি গেছে দ্বিতীয় নামও।
দিলীপ ঘোষ বলেন, 'বিধানসভাতে বঙ্গভঙ্গ বিরোধী বিল বা প্রস্তাব আসছে। আমি জানি না যখন বঙ্গভঙ্গ হয়েছিল তখন তার বিরুদ্ধে বিধানসভায় কী আলোচনা হয়েছিল। ঘুরিয়ে ফিরিয়ে একটা জিনিস প্রচার করা হচ্ছে বিজেপি পশ্চিমবঙ্গকে ভাগ করতে চায়। '
বৃহস্পতিবার, ১ অগাস্ট দিলীপ ঘোষের জন্মদিন। প্রাক্তন বিজেপি রাজ্য সভাপতির জন্মদিন। সেই দিনেই তিনি বিধানসভায় গিয়ে সরাসরি পৌঁছে গেলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু ধ্কিরারীর ঘরে।
দিলীপ ঘোষ একটি প্রশ্নের উত্তরে বলেন "রাজ্যে আইন-শৃঙ্খলা নেই বললেই চলে। সব জায়গায় গুন্ডাদের দাপাদাপি চলছে। আর তৃণমূল ভোটে জেতার পর গুন্ডারা আরও বেশি করে জোর পেয়ে গিয়েছে।"
তাহলে কি তাঁর রাজনৈতিক কেরিয়ারের কফিনে শেষ পেরেক পুঁতে গেল! দিলীপের গুরুত্ব যে কমতে চলেছে, তার ইঙ্গিত আগেই পেয়েছেন তিনি। লোকসভা নির্বাচনের পরে একটি বারের জন্যই গিয়েছিলেন দলের নতুন রাজ্য দফতরে।
দিলীপের ঝটিকা সফর চলছে। কথা বলেছেন দলের নেতা কর্মীদের সঙ্গে। আজ অবশ্য মালদা হয়ে দিলীপ ঘোষ পৌঁছে গেছেন বিজেপির রাজ্যসভাপতি তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুকান্ত মজুমদারের লোকসভা কেন্দ্র বালুরঘাটে।
বোমা ফাটালেন দিলীপ। এবারের লোকসভা নির্বাচনে মেদিনীপুরের পরিবর্তে বর্ধমান দুর্গাপুর থেকে দাঁড় করানো হয় দিলীপকে। গতবারের জেতা আসন ছেড়ে এবার নতুন কেন্দ্রে দাঁড়িয়ে পরাজয়ের সম্মুখীন হয়েছেন এই BJP নেতা।