অমাবস্যা যদি শনিবার পড়ে তাহলে এর গুরুত্ব আরও বেড়ে যায়। শনি অমাবস্যার দিনে শনিদেবের পূজা করার নিয়ম আছে। এবার ১৪ বছর পর শনি অমাবস্যায় ঘটছে বিরল কাকতালীয় ঘটনা। এই দিনে কিছু বিশেষ ব্যবস্থা করলে শনিদেবের আশীর্বাদ পাওয়া যায়। শুধু তাই নয়, ব্যক্তি শনি সাড়সাতী ও ধইয়া থেকে মুক্তি পান।
শ্রাবণের প্রতি সোমবার শিবের পূজার ভিন্ন ও বিশেষ তাৎপর্য রয়েছে। শ্রাবণ সোমবারের উপোস অত্যন্ত ফলদায়ক বলে মনে করা হয়। কথিত আছে এই দিনে উপোস করলে মহাদেবের জলাভিষেক করলে অখণ্ড সৌভাগ্য হয়।
বৃহস্পতি পরবর্তী চার মাস পশ্চাদমুখী অবস্থায় থাকবে। তার পশ্চাৎপদতার কারণে মীন রাশিতে শ্রেষ্ঠ ও বিরল যোগ 'গুরু পুষ্য যোগ' গঠিত হবে। এই রাশিগুলির উপর এই যোগের একটি শুভ প্রভাব থাকবে।
এই দুটি গুরুত্বপূর্ণ গ্রহের রাশি পরিবর্তন এবং সপ্তম ঘরে থাকার কারণে একটি বিস্ময়কর যোগ সংসপ্তক যোগ গঠিত হয়েছে। জ্যোতিষশাস্ত্র অনুসারে, সমস্ত রাশিচক্র গ্রহের পরিবর্তন বা তাদের গতিবিধি দ্বারা প্রভাবিত হয়।
শনি এবং বুধ-শুক্রের এই অবস্থানটি ৪টি রাশিতে শাশা, মালব্যের মতো রাজ যোগ তৈরি করছে। এই যোগগুলি এই রাশির চিহ্নগুলির ভাগ্য পরিবর্তন করবে। আসুন জেনে নেওয়া যাক সেই সৌভাগ্যবান রাশিগুলো কোনটি।
বৃশ্চিক রাশিতে এই পূর্ণ চন্দ্রগ্রহণ হচ্ছে। সামগ্রিকভাবে, গ্রহ এবং নক্ষত্রের এই ধরনের অবস্থানের কাকতালীয় ৪০ বছর পরে তৈরি হয়। এটি কিছু লোকের উপর খারাপ প্রভাব ফেলতে পারে, তাই তাদের সতর্ক হওয়া উচিত।
এই দিনে কোনও বিশেষ মুহুর্ত না করেও যে কোনও শুভ কাজ করা যায়। এই পুরো দিনটি মাঙ্গলিক কাজ করার জন্য অত্যন্ত শুভ বলে মনে করা হয়। এই বছর অক্ষয় তৃতীয়া ৩ মে পালিত হবে, যা খুবই বিশেষ। এবার অক্ষয় তৃতীয়ায় একটি বিশেষ কাকতালীয় ঘটনা ঘটছে, যা অত্যন্ত শুভ।
গতকাল থেকেই পড়ে গিয়েছে চৈত্র অমাবস্যা। যা থাকবে আজ অর্থাৎ ১ লা এপ্রিল পর্যন্ত। এবারের এই চৈত্র অমাবস্যায় একাধিক বিরল যোগ রয়েছে। যা আপনার মনের সুপ্ত কামনাকে পূরণ করতে পারে। এই চৈত্র অমাবস্যার বিশেষ দিনে একাধিক উপায়ের কথা বলেছেন জ্যোতিষবিদরা যা নিষ্ঠাভরে পালন করলে আপনার মনবাঞ্ছা পূরণ হবে। মূলত ১ লা এপ্রিলতে চৈত্র অমাবস্যা হিসেবে ধরা হয়। ক্যালেন্ডার মতে, ৩১ মার্চ ১২ টা ২২ মিনিট পড়েছে এই তিথি। যা চলবে ১ লা এপ্রিল সকাল ১১ টা ৫৩ মিনিট পর্যন্ত। এই সময়কালের মধ্যেই রয়েছে একাধিক বিরল যোগ। যা মনের বিভিন্ন বাসনা পূরণে সাহায্য় করতে পারে।
অমাবস্যা প্রতিটি মাসের নামে পরিচিত এবং প্রতিটি অমাবস্যার নিজস্ব তাৎপর্য রয়েছে। চৈত্র মাসে আসা অমাবস্যা চৈত্র অমাবস্যা নামে পরিচিত। অমাবস্যার দিনে পিতৃদোষ থেকে মুক্তি এবং পিতৃপুরুষের নৈবেদ্য দান ইত্যাদি করা হয়।
রাত পোহালেই রাখি বন্ধন উৎসব। হিন্দুদের বারো মাসে তেরো পার্বনের মধ্যে অন্যতম হল রাখি বন্ধন উৎসব। শ্রাবণ মাসের পূর্ণিমা তিথিতেই এই রাখি বন্ধন উৎসব পালিত হয় । তবে শুধু ভাই বোন হয়, যে কোনও ব্যক্তির মঙ্গল কামনায় তাদের রাখি বাঁধা যায়। তবে রাখি বাঁধলেই হল না দিনক্ষণ দেখে রাখি পড়ানো শুভ বলে মানা হয়।