এই সপ্তাহে, শুক্রবার, ১৫ জুলাই থেকে পঞ্চকও অনুষ্ঠিত হচ্ছে, যা ২০ জুলাই, বুধবার শেষ হবে। এই সপ্তাহে সোম প্রদোষ ব্রত, সত্যনারায়ণ ব্রত, আষাঢ়ী পূর্ণিমা, গুরু পূর্ণিমা, নাইটিঙ্গেল ব্রত, গণেশ সংকষ্ট চতুর্থী ইত্যাদির আয়োজন করা হবে।
গুপ্ত নবরাত্রিতে মা দুর্গার ভক্তরা গোপনে মায়ের নয়টি রূপের পূজা করেন। গুপ্ত নবরাত্রিতে মা কালীকে, মা তারা দেবী, মা ত্রিপুরা সুন্দরী, মা ভুবনেশ্বরী, মা চিত্রমস্তা, মা ত্রিপুরা ভৈরবী, মা ধূমরাবতী, মা বগলামুখী, মা মাতঙ্গী এবং মা কমলা দেবীর পূজা করার নিয়ম রয়েছে।
প্রতিটি সংকষ্টীর ব্রত-র আলাদা আলাদা নাম ও গুরুত্ব আছে। আষাঢ়ের সংকষ্টী ব্রতকে বলা হয় কৃষ্ণপিঙ্গলা সংকষ্টী চতুর্থী ব্রত। শাস্ত্রে, কৃষ্ণপিঙ্গলা সংকষ্টী গণেশ চতুর্থীর তাৎপর্য রয়েছে বিস্তর। এদিন মহা গণপতি অবতারে ও শ্রী শক্তি গণপতি পীঠের পুজো হয়ে থাকে। শাস্ত্র মতে, ১৭ জুন সকাল ৬.১০ থেকে শুরু হচ্ছে তিথি। শুভ সময় চলবে রাত ২.৫৯ পর্যন্ত।
শুক্লপক্ষের দ্বিতীয় একাদশী। এবার জ্যৈষ্ঠ মাসের শুক্লপক্ষের একাদশী ১০ জুন শুক্রবার পড়ছে। এই দিনে মানুষ নির্জলা থেকে ব্রত রাখে। তাই এই একাদশী নির্জলা একাদশী ২০২২ ব্রত নামেও পরিচিত।
ষষ্ঠীদেবীর পুজো করার কিছু নির্দিষ্ট পদ্ধতি রয়েছে, যা মেনে চললে মা ষষ্ঠীর কৃপা লাভ করতে পারবেন। দেখে নিন কোন পদ্ধতিতে পুজো করলে ষষ্ঠীদেবীর আশীর্বাদপ্রাপ্ত হবেন।
তিথি অনুসারে, এবছর ৩০ মে পালিত হবে শনি জয়ন্তী। অমাবস্যা পড়ছে ২৯ মে রবিবার বেলা ২.৫৪ মিনিটে। ২০ মে সোমবার ৪.৫৯ মিনিট পর্যন্ত থাকবে যোগ। এই দিন রয়েছে সর্বার্থ সিদ্ধি যোগ।
হিন্দু ধর্মে কোনও নির্দিষ্ট সংখ্যক দেবতার ধারণার পরিবর্তে একই দেবতার একাধিক রূপ প্রচলিত রয়েছে। আর নির্দিষ্ট তিথি উৎসর্গ করা হয়েছে দেবতা-দেবীদের এই সকল রূপোর আরাধনার জন্য। সেই অনুসারে, প্রতি মাসেই একাধিক পুজো অনুষ্ঠিত হয়। জুন মাসেও রয়েছে এমনই একাধিক পুজো। রয়েছে একাধিক উপবাসে উল্লেখ।
বট সাবিত্রী পুজোর ব্রত পালন করা কিছুটা কঠিন । কারণ এই পুজোর মাধ্যমে স্ত্রী তাঁর স্বামীর দীর্ঘ আয়ু কামনা করে। হিন্দু বিশ্বাস মতে বট সাবিত্রী পুজো করলে স্ত্রী যেমন স্বামীর ভালোবাসা পায়। তেমনই প্রেমিকা তাঁর আকাঙ্কিত প্রেমিকের মন পায়।
সংকষ্টী চতুর্থী পালিত হবে ১৯ মে, বৃহস্পতিবার। তিথি পড়ছে ১৮ মে রাত ১১.৩৭ মিনিটে। আর তিথি ছাড়বে ১৯ মে রাত ৮.২৪ মিনিটে। অর্থাৎ আজ সারা দিন সময় রয়েছে দেবতার আরাধনার জন্য। আজ সকালে উঠে স্নান সেরে এই ব্রত পালন করুন।
প্রতি মাসে দুটি পক্ষ থাকে। এর মধ্যে একটি কৃষ্ণ ও অপরটি শুক্ল পক্ষ। শুক্ল ও কৃষ্ণ পক্ষের ত্রয়োদশীতে ভগবান শঙ্করের পুজো করা হয়। এই দিন প্রদোষ উপবাস পালন করা হয়। প্রচলিত বিশ্বাস অনুসরে, প্রদোষ উপবাস পালনে ব্যক্তির মনের সকল মনস্কামনা পূরণ হবে। মোক্ষ লাভ করবে।