হাইকোর্টের স্কুল ও কলেজগুলিতে হিজাব বা অন্য কোনও ধর্মীয় পোশাকে অনুমতি না দেওয়ার অন্তর্বর্তী আদেশ দেওয়া হয়েছে। সেই অন্তর্বর্তী আদেশ এই বিষয়ে চূড়ান্ত রায় না আসা পর্যন্ত অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছে কর্ণাটক হাইকোর্ট।
কর্নাটকের বিজেপি বিধায়কের এই মন্তব্যের তীব্র সমালোচনা করেছে বিজেপির অনুগামীরা। প্রীতি গান্ধী নামে এক নেটিজেন কর্নাটকের বিধায়কের সাক্ষাৎকারের একটি ভিডিও সোশ্যায় মিডিয়ায় পোস্ট করে বলেছেন, বেশ কয়েক মাস ধরেই জিন্স ইস্যুতে বিজেপি (BJP) নেতার মন্তব্য নিয়ে সরব হয়েছিল সংবাদ মাধ্যম।
মেহবুবা মুফতি বলেন ভারতীয় মুসলমানদের জন্য ভারতীয় হওয়াই যথেষ্ট নয়, তাদেরও বিজেপি হতে হবে। জম্মু ও কাশ্মীর একটি রাজনৈতিক বিষয় কিন্তু তারা অর্থাৎ বিজেপি এটিকে একটি সম্প্রদায়ের বিষয় করতে চায়।
বিক্ষোভকারীদের আরও দাবি কর্নাটকের আদালত তিন দিনের স্থগিতাদেশ গিয়েছে। তিন দিন পরে যদি হিজাবের পক্ষে রায় না আসে তাহলে তারা রাজ্যজুড়ে আরও বৃহত্তর আন্দোলনে যাবে।
ওয়েইসির সাফ দাবি একদিন হিজাব পরা মেয়েই হবে ভারতের প্রধানমন্ত্রী। তাঁর এই মন্তব্য নিয়েই বর্তমানে জোর চর্চা শুরু হয়ে গিয়েছে রাজনৈতিক মহলে।
কর্ণাটকের হিজাব বিতর্কের মধ্যেই ( Karnataka Hijab Row) নিয়ে ভাইরাল এই ভিডিও। হিন্দু-মুসলিম সম্প্রীতি (Hindu-Muslim Amity), মানবতা সম্পর্কে মানুষের মনে বিশ্বাস ফেরাচ্ছে এই ভিডিও, নেটিজেনরা এমনই দাবি করছেন।
'হিজাব' (Hijab) না পরায় অনলাইন ট্রোলিংয়ের (Online Trolling) শিকার জম্মু ও কাশ্মীরে (Jammu And Kashmir) দ্বাদশ শ্রেণির বোর্ড পরীক্ষায় শীর্ষস্থানাধিকারীর। কী বললেন শ্রীনগরের (Srinagar) বাসিন্দা মুসলমান (Muslim) মেয়েটি?
স্থানীয় কিছু মানুষ ও বিদ্যালয়ের অন্যান্য শিক্ষকদের সহযোগিতায় প্রাণে বাঁচতে স্কুলের একটি ঘরে আত্মগোপন করে থাকেন তিনি।কিন্তু সেইসময়ও তাঁর ওপর চড়াও হন অভিভাবকরা। পরিস্থিতি বেসামাল দিতে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় বিশাল পুলিশবাহিনী। উর্দিধারীদের সামনে প্রধান শিক্ষকের শাস্তির দাবিতে সরব হন অভিভাবকরা।
হিজাব ইস্যুতে এমনিতেই উত্তাল কর্নাটক। এবার নামাজ ইস্যুতেই উত্তাপ ছড়াতে শুরু করেছে। স্থানীয় থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। শুক্রবার শিক্ষা দফতেরর অধিকর্তারা সংশ্লিষ্ট স্কুল পরিদর্শন করেন।
গোয়েন্দা সূত্রে জানানো হয়েছে, হিজাব বিতর্ক প্রায় ছড়িয়ে পড়েছে গোটা দেশেই। এর আঁচ গিয়ে পড়ছে দেশের সর্বত্রই। আর এবার এই বিতর্ক যাতে আরও বড় হয়ে ছড়িয়ে পড়ে সেই চেষ্টাই করছে আইএসআই। হিজাব নিয়ে গণভোটের মাধ্যমে সিদ্ধান্ত নেওয়ার উপরও জোর দিচ্ছে পাক গোয়েন্দা বাহিনী।