কুরুক্ষেত্রের যুদ্ধ শেষে ভগবান কৃষ্ণ (Lord Krisna) তাঁর প্রিয় ভক্ত অর্জুনকে ভক্তিমূলক সেবার গোপন জ্ঞান (Knowledge) প্রদান করেন। এই জ্ঞান বর্ণিত আছে পবিত্র ধর্মগ্রস্থ গীতায়। সে কারণেই এই বিশেষ তিথিতে পালিত হয় গীতা জয়ন্তী উৎসব।
প্রতিবছর মাঘ মাসের শুক্লপক্ষের একাদশী তিথিতে পালিত হয় গীতা জয়ন্তী। এই তিথি অনুসারে এবছর ১৩ ডিসেম্বর পালিত হবে গীতা জয়ন্তী উৎসব (Gita Jayanti)। এদিন ভক্তরা সারাদিন ব্যাপী শ্রীকৃষ্ণর আরাধনা করে থাকেন। সঙ্গে পাঠ করা হয় হিন্দুদের পবিত্র ধর্মগ্রন্থ ভগবত গীতা। প্রচলিত ধারণা অনুসারে এই বিশেষ তিথিতে ভগবত গীতা পাঠ করলে কিংবা গীতা পাঠ শুনলে পূণ্য লাভ করা সম্ভব। এবছর ১৩ ডিসেম্বর রাত ৯.৩২ মিনিটে পড়ছে গীতা জয়ন্তী (Gita Jayanti) তিথি। আর ছাড়বে ১৪ ডিসেম্বর রাত ১১.৩৫ মিনিটে। এই বিশেষ তিথীতে ভগবান শ্রী কৃষ্ণের পুজো করা হয়।
গীতা জয়ন্তী উৎসবের রীতি-
খ্রিস্টপূর্ব ৩১৩৮ অব্দে কুরুক্ষেত্রে (Kurukshetra) ১৮ দিন ধরে যুদ্ধ চলেছিল। এই যুদ্ধ হয়েছিল পাণ্ডব ও কৌরব শিবিরের মধ্যে। এদিন যুদ্ধের শেষে ভগবান কৃষ্ণ (Lord Krisna) তাঁর প্রিয় ভক্ত অর্জুনকে ভক্তিমূলক সেবার গোপন জ্ঞান (Knowledge) প্রদান করেন। এই জ্ঞান বর্ণিত আছে পবিত্র ধর্মগ্রস্থ গীতায়। সে কারণেই এই বিশেষ তিথিতে পালিত হয় গীতা জয়ন্তী উৎসব। জেনে নিন গীতা জয়ন্তী পুজোর (Gita Jayanti) রীতি।
গীতা জয়ন্তীর দিন ঘুম থেকে উঠে স্নান সেরে নতুন পোশাক (Clothes) পরতে হয়। নতুন না হলে কোনও পরিষ্কার পোশাকও পরতে পারেন। এরপর ঠাকুর ঘর ভগবান শ্রী কৃষ্ণের মূর্তি বা ছবি স্থাপন করুন। কৃষ্ণ মূর্তির সামনে রাখুন ভগবত গীতা (Gita)। এরপর গীতার ওপর গঙ্গা জল ছেটান। ফুল দিন। প্রদীপ জালিয়ে শ্রী কৃষ্ণের আরতি করুন। ফল ও মিষ্টি নিবেদন করুন। এবার ভগবত গীতা হাতে তুলে তা মাথায় স্পর্শ করান। এবার পাঠ করুন হিন্দু পবিত্র ধর্মগ্রন্থ ভগবত গীতা। এক মনে গীতা পাঠ করবেন। তবেই পূণ্য লাভ হবে। চাইলে কোনও মন্দিরে গিয়েও এই পুজো করতে পারেন। সেখানে গিয়ে কৃষ্ণ ভগবানের আরাধনা করুন।
আরও পড়ুন; Chanakya Niti: 'যদি এই ৪ বিষয়ে বিশ্বাস থাকে তবে আপনি যে কোনও মূল্যে জীবনে সাফল্য পাবেন'
সর্ব মোট ১৮ টি অধ্যায় আছে ভগবত গীতায় (Gita)। সেখানে রয়েছে সংস্কৃতি, কর্ম, ধর্মীয় ও ব্যবহারিক জ্ঞান। গীতার ১৮টি অধ্যায় বর্ণিত কাহিনি একজন ব্যক্তির সমগ্র জীবনের সারমর্ম। তাই মনে করা হয়, এই গীতা পাঠ করলে মানুষ তার জীবনের সকল মানে বুঝতে পারেন। জানতে পারেন তার জীবনের লক্ষ্য। তাই গীতা জয়ন্তীর (Gita Jayanti) পবিত্র দিনে গীতা পাঠ করা বা শোনা খুবই শুভ মনে করা হয়ে থাকে।