পরবর্তী ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর ভারতীয় বংশোদ্ভুত ঋষি সুনক? পাঁচ পয়েন্টে জেনে নিন তাঁর সম্পর্কে

৪২ বছর বয়েসী ঋষি ভারতীয় বংশোদ্ভুত। বরিস জনসনই তাঁকে নির্বাচন করেন এবং ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারিতে রাজকোষের চ্যান্সেলর নিযুক্ত করেন। করোনা মহামারী চলাকালীন তিনি কয়েক বিলিয়ন পাউন্ড মূল্যের একটি বিশাল প্যাকেজ তৈরি করেছিলেন।

ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে বরিস জনসনের পদত্যাগ করা সময়ে অপেক্ষা। এরপর কে হবেন নয়া প্রধানমন্ত্রী, জল্পনা ছিলই। নাম উঠে এল ভারতীয় বংশোদ্ভুত ঋষি সুনকের। শোনা যাচ্ছে বরিসের পর ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর পদে লড়তে পারেন ঋষি সুনক। আর তা হলে, তিনিই হবেন প্রথম ভারতীয় বংশোদ্ভূত যিনি ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী হবেন। কে এই ঋষি সুনক। জেনে নিন তাঁর সম্পর্কে কিছু কথা। 

১. ঋষি সুনকের রাজকোষের চ্যান্সেলর হিসাবে পদত্যাগের ফলে বরিস জনসনের বিরুদ্ধাচারণের ঝড় উঠেছিল ব্রিটেন জুড়ে।

Latest Videos

২. ৪২ বছর বয়েসী ঋষি ভারতীয় বংশোদ্ভুত। বরিস জনসনই তাঁকে নির্বাচন করেন এবং ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারিতে রাজকোষের চ্যান্সেলর নিযুক্ত করেন।

৩.করোনা মহামারী চলাকালীন তিনি কয়েক বিলিয়ন পাউন্ড মূল্যের একটি বিশাল প্যাকেজ তৈরি করেছিলেন। এই প্যাকেজ পরবর্তীতে প্রচুর জনপ্রিয়তা পেয়েছিল। 

৪.ঋষি সুনকের দাদু ঠাকুমা পঞ্জাবের বাসিন্দা ছিলেন।

৫. ইনফোসিসের প্রতিষ্ঠাতা এন আর নারায়ণ মূর্তির কন্যা অক্ষতা মূর্তি তাঁর স্ত্রী। তাঁদের দুই কন্যা সন্তান রয়েছে। ডিশি ডাকনামে পরিচিত ঋষি ব্রিটেনের জীবনযাত্রার খরচের সঙ্কটে প্রতিক্রিয়া জানানোর বিষয়ে মাঝেমাঝেই সমালোচনার মুখে পড়েছেন। 

এদিকে, ইতিমধ্যেই পদত্যাগ করেছেন বরিস জনসন। বৃহস্পতিবার এই খবর জানিয়েছে ১০ নম্বর ডাউনিং স্ট্রিট। তবে নতুন নেতা নির্বাচিত না হওয়া পর্যন্ত জনসন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন।

ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বৃহস্পতিবার নিশ্চিত করেছেন যে তিনি পদত্যাগ করেছেন। এরই সঙ্গে তিনি জানান, রাজনীতিতে কেউই অপিরহার্য নয়। কনজারভেটিভ পার্টি নতুন নেতা নির্বাচন না করে নেওয়া পর্যন্ত তিনি তাঁর দায়িত্ব পালন করে যাবেন। বিবিসি জানিয়েছে, জনসন বৃহস্পতিবারই কনজারভেটিভ নেতার পদ থেকে পদত্যাগ করেন। ইউকে মিডিয়া বলেছে যে জনসন অবশেষে সরকারী মন্ত্রীদের পদত্যাগের মধ্যে কনজারভেটিভ পার্টির নেতা হিসাবে পদত্যাগ করার জন্য চাপের মুখে পড়েন। এ প্রসঙ্গে দলটি বলছে, বরিস জনসনের নেতৃত্বের যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। বিতর্ক নিয়ে আলোচনায় থাকা জনসনের বিরুদ্ধে তার দলের কিছু এমপি চিঠি লিখেছেন, যেখানে তার নেতৃত্বের ক্ষমতা নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়েছে।

পার্টির অন্যতম মুখপাত্র গ্রাহাম ব্র্যাডি বলেছেন যে তিনি জনসনের বিরুদ্ধে অনাস্থা চেয়ে আইন প্রণেতাদের কাছ থেকে বেশ কয়েকটি চিঠি পেয়েছেন। এই বিষয়ে নিয়ম হল যে ৩৫৯ জন কনজারভেটিভ এমপির মধ্যে ভোটে বরিস হেরে গেলে, তিনি কনজারভেটিভ পার্টির নেতা এবং প্রধানমন্ত্রীর পদ উভয়ই হারাবেন, তবে তিনি যদি জয়ী হন, তাহলে প্রধানমন্ত্রী হিসাবে অব্যাহত থাকবেন। তাঁর মেয়াদ বাড়ানো হবে আরো একটি বছর।

Boris Johnson Resigned: চাপে পড়ে পদত্যাগ ঘোষণা বরিস জনসনের, বিদায় বক্তৃতায় বলেন 'আমি চেষ্টা করেছি'

কে এই ঋষি সুনক., যার এক ইস্তফাতে পতন হল জনসনের সাম্রাজ্যের

Read more Articles on
Share this article
click me!

Latest Videos

‘সবরমতি রিপোর্ট’ দেখলেন বিজেপির হেভিওয়েটরা! দেখুন কী বার্তা দিলেন সিনেমার ব্যপারে | Sabarmati Report
বাগদায় ফের চলল বুলডোজার! হাইকোর্টের নির্দেশে ভেঙ্গে গুঁড়িয়ে দেওয়া হল ৬টি দোকান | Bagdah News
নার্স হেনস্থার ঘটনায় বড় পদক্ষেপ! হাসপাতাল চত্বরে কড়া সিসিটিভি নজরদারি | Birbhum News Today
টাকা 'হজম' করার আগেই ধরে ফেলে খেলা ঘুরিয়ে দিলেন শুভেন্দু অধিকারী | Suvendu Adhikari | Awas Yojana
Mamata Banerjee Live: নবান্নে সাংবাদিক সম্মেলনে মমতা, দেখুন সরাসরি