ভারত বায়োটেকের দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি করোনাভাইরাসের টিকা কোভ্যাক্সিন দীর্ঘ দিনের জন্য কেন্দ্রীয় সরকারকে ডোজ প্রতি ১৫০ টাকায় সরবরাহ করা সম্ভব নয়। মঙ্গলবার সংস্থার পক্ষ থেকে এমনটাই জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।একই সঙ্গে সংস্থার পক্ষ থেকে জানান হয়েছে, কেন্দ্রীয় সরকারকে স্বল্পমূল্যে টিকা সরবরাহ করার জন্যই বেসরকারি খাতে করোনাভাইরাসের টিকার দাম বাড়তে হচ্ছে।
কোভিড ১৯ টিকা নিয়ে প্রথম মৃত্যু দেশে, সামনে এল সরকারি ভ্যাকসিন কমিটির রিপোর্ট ...
গালওয়ান সংঘর্ষের এক বছর পার, চিনা আগ্রাসনের জবাব দিতে প্রস্তুত ভারত ..
ভারত বায়োটেকের তৈরি করোনাভাইরাসের টিকা দেশে উপলবদ্ধ অন্যান্য টিকার তুলনায় অনেকটাই চড়া মূল্যে বিক্রি করা হচ্ছে। তার মূল কারণই হল এটি স্বল্প পরিমাণে তৈরি করা হয়েছে। আর বেশি পরিমাণে সরবরাহ করা হচ্ছে। এই জাতীয় মৌলিক ব্যবসায়িক কারণেই কোভ্যাক্সিনের দাম দেশে প্রাপ্ত অন্যান্য ভ্যাকসিনের তুলনায় বেশি বলেও দাবি করা হয়েছে। প্রথম থেকেই ভারত সরকারকে ডোজ প্রতি কোভ্যাক্সিন ১৫০ টাকায় সরবরাহ করা হয়েছে। এটি অপ্রতিযোগিতামূলক দাম। আর বেশি দিন এই টাকায় টিকা সরবরাহ করা যাবে না বলেও জানান হয়েছে। সংস্থার পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, বেসরকারি বাজারে উচ্চতর মূল্য ব্যয়ের অংশটি অফসেট করার প্রয়োজন হয়।
লাদাখ স্ট্যান্ড অফের মতই ভারত দক্ষিণে চিনকে অস্বস্তিতে ফেলতে পারে .
ভারত বায়োটেক টিকা তৈরি আর ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল ও কোভ্যাক্সিন উৎপাদনের জন্য এখনও পর্যন্ত প্রায় ৫০০ কোটি ডলার বিনিয়োগ করেছে। কেন্দ্রীয় সরকার করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রুখতে এখনও পর্যন্ত তিনটি টিকাকে জরুরি ব্যবহারের অনুমোদন দিয়েছে। ভারত বায়োটেকের কোভ্যাক্সিন, সেরাম ইনস্টিটিউটের কোভিশিল্ড আর রাশিয়ার স্পিটনিক ভি। তিনটি টিকার মধ্যে ভারত বায়োটেকের কোভ্যাক্সিন একমাত্র দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি হয়েছে। ইন্ডিয়ার কাউন্সিল অব মেডিক্যাল রিসার্চ, পুনের ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অব ভাইরোলজি, আর ভারত বায়োটেকের উদ্যোগে তৈরি হয়েছে কোভ্যাক্সিন। এই টিকার কার্যকারিতা ৯০স শতাংশেরও বেশি বলে দাবি করা হয়েছে। বেসরকারি সংস্থা থেকে এই ডোজ প্রতি এই টিকা কিনতে খরচ হচ্ছে ১ হাজার ৪১০ টাকা। আর সেখানে কোভিশিল্ড পাওয়া যাচ্ছে ৭৮০টাকায়।