করোনাভাইরাসের আক্রান্ত বিশ্বের জনসংখ্যার বিপুল অংশ। আর এই রোগীদের চিকিৎসা করতে গিয়ে সংক্রমণের শিকার হচ্ছেন চিকিৎসক সহ অনেক স্বাস্থ্যকর্মীই। এমনকি অকালে ঝড়ে যাচ্ছে অনেক মূল্যবান প্রাণ। এদেশেও করোনা আক্রান্তদের সেবায় নিজেদের নিয়োজিত করেছেন স্বাস্থ্যকর্মীরা। ইতিমধ্যে আক্রান্তদের চিকিৎসা করতে গিয়ে সংক্রমণের শিকার হয়েছেন চিকিৎসক সহ স্বাস্থ্যকর্মীরা। তাঁদের প্রাণের ঝুঁকি কমাতেই এবার দেশীয় পদ্ধতিতে রোবট তৈরি হল তামিলনাড়ু একটি তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থা।
করোনা সংক্রমণ প্রথমে ছড়িয়ে পড়েছিল চিনে। গত ডিসেম্বরে হুবেইতে করোনাভাইরাস সংক্রমণ ঘটার পর চিকিরসা করতে গিয়ে এই মারণ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছিলেন চিনের বহু চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মী। তাঁদের স্বাস্থ্যের কথা ভেবেই পরবর্তী সময়ে করোনা আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসায় নামান হয়েছিল রোবট। এমন কি সম্প্রতি চিনের এক শীর্ষস্থানীয় বিশ্ববিদ্যালয় কোভিড ১৯ রোগের চিকিৎসা করতে সক্ষম এক রোবট তৈরি করেছে বলে দাবি করেছে। ইউরোপ , আমেরিকাতেও করোনা আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসায় কিছু ক্ষেত্রে সামায্য নেওয়া হয়েছে আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্সের। এবার সেই পথে হাঁটল আমাদের দেশও।
সারা বিশ্বের মত এদেশেও করোনা সংক্রমণের ঘটনা বাড়ছে লাফিয়ে লাফিয়ে। গত রবিবার আক্রান্তের সংখ্যা ছাড়িয়ে গিয়েছে হাজারের গণ্ডি। আর এই বিপুল সংখ্যক করোনা আক্রান্তদের সেবা করতে গিয়ে সংক্রমণের শিকার হচ্ছেন চিকিৎসক সহ স্বাস্থ্যকর্মীরা। গত রবিবারই কলকাতার এক চিকিৎসকের শরীরে এই মারণ ভাইরাসটির অস্তিত্ব পাওয়া গিয়েছে। এই অবস্থায় ছোঁয়াতে এই ভাইরাসের সংক্রমণের হাত থেকে স্বাস্থ্যকর্মীদের বাঁচাতে উদ্যোগ নিল তামিলনাড়ুর তিরুচিরাপল্লীর এই তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থা।
ত্রিচির মহাত্মা গান্ধী মেমোরিয়াল সরকারি হাসপাতালে সম্পূর্ণ দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি ৪টি রোবট দিয়েছে এই তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থাটি। এই রোবটগুলি আইসোলেশনে থাকা কোভিড ১৯ আক্রান্ত রোগীদের ওষুধ ও পথ্য সরবরাহ করতে পারবে বলে দাবি করছে সংস্থাটি। ফলে আক্রান্তদের সঙ্গে চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের সরাসরি সংযোগ ঘটার আশঙ্কা অনেকটাই দূর হবে।
স্বস্তির খবর দিল আইআইটি, করোনা আক্রান্তের সংস্পর্শে কারা জানতে এবার তৈরি হল অ্যাপ
করোনার থাবায় বন্ধ হয়েছে উৎপাদন, বিশ্ব জুড়ে চরমে এবার 'কন্ডোম' সংকট
পথে নামল করোনা, সচেতনতা বাড়াতে নিজেই ভাইরাস সাজলেন পুলিশকর্তা, নিমেশে হলেন ভাইরাল
নিউ প্রপেলার টেকনোলজিস নামে এই সংস্থাটি সাধারণত শিক্ষা সংক্রান্ত বিষয়ে রোবট বানিয়ে থাকে। এই প্রথম চিকিৎসার কাজে লাগবে পারে এমন রোবট তৈরি করেছেন সংস্থার ইঞ্জিনিয়াররা। রোবটগুলির নাম দেওয়া হয়েছে জেফ এবং জেফ মেডিক। জেফ নামের রোবটির উচ্চতা ৪ ফুট হলেও এটি ৮ কেজি পর্যন্ত সামগ্রী বহন করতে পারবে বলে জানাচ্ছেন সংস্থার সিইও এস মোহাম্মদ আসিক রহমান। আইসোলেশেন থাকা রোগীদের জন্য এই রোবট স্বাস্থ্য পরিষেবা দিতে পারবে বলেই দাবি করছেন তিনি। ওয়াইফাই দিয়ে ২৫০ মিটার দূর থেকেও এটিকে কাজে লাগান যাবে।
অন্যিদেক জাফা মেডিক নমডেলের রোবটটি মূলত তৈরি করা হয়েছে হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকা রোগীদের জন্য। ২ ফুট লম্বা এই রোবট ২০ কেজি পর্যন্ত মাল বহনে সক্ষম। দেড় কিলোমিটার দূর থেকে এটিকে চালনা করা যাবে।