প্রায় ৬০ হাজার টাকার অক্সিজেন সিলিন্ডার সরবরাহে প্রতারণা, প্রশাসনের দ্বারস্থ সমাজসেবী

  •   অক্সিজেন নিয়ে অসাধু ব্যবসায়ীদের তাণ্ডব রাজ্য়ে 
  •  নাজেহাল সমাজসেবী অঙ্কিতা এখন প্রশাসনের দ্বারস্থ 
  • অক্সিজেন সিলিন্ডার সরবরাহের নামে প্রতারণা করা হয়েছে 
  •  প্রায় ৬০ হাজার টাকা প্রতারণার ঘটনাটি প্রথম সামনে এল 

তৃনাঞ্জন চট্টোপাধ্যায়-পশ্চিম বর্ধমানঃ- একদিকে করোনা মহামারী আর একদিকে অক্সিজেনে অসাধু ব্যবসায়ীদের তাণ্ডব। নাজেহাল সমাজসেবী অঙ্কিতা এখন প্রশাসনের দ্বারস্থ । সারা দেশের সঙ্গে আমাদের রাজ্যে করোনা মহামারীতে প্রচুর মানুষের মৃত্যু হয়েছে এবং প্রাণ সংশয়ে প্রচুর  শিল্পাঞ্চলে অক্সিজেন সিলিন্ডার সরবরাহের নামে প্রায় ৬০ হাজার টাকা প্রতারণার ঘটনাটি প্রথম সামনে এসেছে। 

আরও পড়ুন, কোভিডে লাফিয়ে বাড়ছে কালোবাজারি, শহরে ধৃত একাধিক, নয়া নাম্বার চালু করল কলকাতা পুলিশ  

Latest Videos

 

চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে 'ব্লাড ডোনার্স' এর সেক্রেটারির সঙ্গে।  কুলটি এলাকাতেও তিনি সমাজসেবা করে থাকেন। কুলটি ব্লক নাগরিক কমিটির করোনা পরিস্থিতিতে জরুরি ভিত্তিতে  অক্সিজেন সিলিন্ডারের দরকার হয় এবং তারা সাহায্য চায় ওই স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার কাছে। সেই মত সংস্থার সেক্রেটারি অঙ্কিতা সরকার দিল্লীতে সংস্থার ফাউন্ডার এবং প্রেসিডেন্ট সুজয় গোস্বামীর সঙ্গে কথা বলেন। আর এরই মধ্যে সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে তিনি জানতে পারেন কলকাতার গড়িয়ার কাছেই নরেন্দ্রপুর কামালগাছি এলাকার "অক্সিকেয়ার প্রাইভেট লিমিটেড" নামে একটি সংস্থা দরকারে অক্সিজেন সরবরাহ করছে। তিনি সোশ্যাল মিডিয়ায় দেওয়া মোবাইল নম্বরে যোগাযোগ করলে অরবিন্দ অরোরা নামে এক ব্যক্তির সঙ্গে তার কথা হয় । ওই ব্যক্তি তাকে বলেন তাদের কোম্পানিতে পর্যাপ্ত অক্সিজেন সিলিন্ডার মজুদ রয়েছে। সেই মত অঙ্কিতা দেবী পাঁচটি ১০ লিটারের অক্সিজেন সিলিন্ডার এবং পাঁচটি রেগুলেটর অর্ডার করেন এবং জিএসটি বাবদ ৫৭,২৩০ টাকা ১১ ই মে তার ইন্ডিয়ান ব্যাংকের একাউন্ট থেকে ওই ব্যক্তির দেওয়া "ইন্ডাস ইন্ড ব্যাংক" এর একাউন্টে ৪ দফায় ইলেকট্রনিক ট্রান্সফার করেন।

আরও পড়ুন, কোভিড বিধির কড়া নিয়মের মাঝেই মেতে উঠল ইদের উৎসব, দেখুন ছবি 

 কিন্তু পরের দিন অর্থাৎ ১২ ই মে কথামত ওই অক্সিজেন সিলিন্ডারগুলি সহ রেগুলেটর সম্বলিত পার্সেল কুলটির ঠিকানায় না আসায় তিনি ওই অরবিন্দ অরোরা নামক ওই ব্যক্তিকে ফোন করলে তিনি বিভিন্ন অজুহাত দেখাতে থাকেন । পার্সেল ট্র্যাক নম্বর দিতে অস্বীকার করেন। ঘটনায় সন্দেহ হওয়ায় অঙ্কিতা দেবী যোগাযোগ করেন কুলটি থানার ইন্সপেক্টর ইনচার্জ এর সঙ্গে। সেখানে প্রাথমিক জেনারেল ডাইরি করার পর তিনি সম্পূর্ন ঘটনাটি বর্ণনা করে ১২ ই মে আসানসোল দুর্গাপুর কমিশনারেটের সাইবার ক্রাইম দপ্তরে অভিযোগ জানান ( অভিযোগ নম্বর ২৬৮/২১)। এরপর ১৩ ই  মে তিনি ঘটনার সবিস্তার বিবরন দিয়ে কুলটি থানায়  এফআইআর দাখিল করেন। কুলটি থানা এবং সাইবার ক্রাইম দপ্তর যৌথভাবে এই "মানি ফ্রড" এর ব্যাপারটি তদন্ত করছে। সূত্র মারফত জানা গেছে, যে " ইনভয়েস" দেওয়া হয়েছে সেটিও সম্ভবত জাল। পুলিশের পক্ষ থেকে ওই মোবাইল নম্বরটি ট্র্যাকিং করা হচ্ছে এবং যে একাউন্টে টাকা ট্রান্সফার করা হয়েছে সেটিও তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।  

আরও পড়ুন, করোনা আক্রান্ত সস্ত্রীক মুকুল রায়, কোভিডে মাকে হারালেন শতরূপ ঘোষ 

এ বিষয়ে অঙ্কিতা সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন , 'সোশ্যাল মিডিয়ায় এই ব্যাপারটি জানানোর পরে তার সঙ্গে একই সংস্থার দ্বারা অক্সিজেন সিলিন্ডার সরবরাহের নামে প্রতারণা করা হয়েছে। কিন্তু ওই ব্যক্তির বাড়িতে সবাই করোনা আক্রান্ত ছিলেন বলে ব্যাপারটি নিয়ে অভিযোগ জানাননি। এছাড়া অঙ্কিতা দেবী বলেন পুলিশের পক্ষ থেকে দ্রুত ব্যবস্থা নিয়ে দোষী ব্যক্তির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হোক যাতে আর কেউ ওই ব্যক্তি বা সংস্থার দ্বারা প্রতারিত না হন।" অক্সিজেন এবং ওষুধের নাম করে এই অসাধু চক্রের প্রতারণার জাল ঠিক কতটা বিস্তৃত সেটিও খতিয়ে দেখছে পুলিশ। এখন দেখার বিষয় দোষী ব্যক্তিরা কত তাড়াতাড়ি পুলিশের জালে ধরা পড়ে, সংবাদ মাধ্যমের নজর সেদিকে অবশ্যই থাকবে।

Share this article
click me!

Latest Videos

Bangladesh-এ ভারতীয় পতাকার অবমাননা, ক্ষোভ উগরে যা বললেন বিজেপি বিধায়ক Shankar Ghosh
আবাস যোজনায় TMC কী পরিমান দুর্নীতি করেছে জানেন? সব খোলসা করে যা বললেন Suvendu Adhikari
'চিন্ময় প্রভুকে ছেড়ে দিলেই শান্ত হবে Bangladesh' ভারতে এসে আতঙ্কের অভিজ্ঞতা এক বাংলাদেশীর
'Yunus সাহেবের মেরুদণ্ড সোজা কিনা সন্দেহ!' এ কী বললেন Sukanta #shorts #shortsfeed #shortsvideo
ভারত কীভাবে অলিম্পিক সোনা হারিয়েছে? Rajesh Kalra-র সঙ্গে সাক্ষাৎকারে Sebastian Coe জানালেন সেই কথা