দ্বিতীয় বিশ্ব যুদ্ধের পর করোনাই প্রথম কঠিন চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়েছে, ঐক্যবদ্ধ লড়াইয়ের আহ্বান রাষ্ট্র সংঘের

  • করোনাভাইরাসের সংক্রমণ নিয়ে উদ্বেগ রাষ্ট্র সংঘের
  • দ্বিতীয় বিশ্ব যুদ্ধের পর কঠিন লড়াই
  • ঐক্যবদ্ধ লড়াইয়ের আহ্বান রাষ্ট্র সংঘের
  • করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ক্রমশই বাড়ছে

Saborni Mitra | Published : Apr 1, 2020 10:26 AM IST / Updated: Apr 01 2020, 03:57 PM IST

করোনার সংক্রমণকে অনেক আগেই আন্তর্জাতিক মহামারীর তকমা দিয়েছিল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। সতর্ক করাও হয়েছিল প্রত্যেকটি দেশকে। কিন্তু তারপরেও বহু চেষ্টা করেও বাগে আনা যায়নি করোনাভাইরাসকে। এখনও পর্যন্ত আবিষ্কার করা যায়নি কোনও প্রতিষেধক। এই অবস্থায় বিশ্বজুড়েই বহাল তবিয়েতেই দাপিয়ে বেড়াচ্ছে মারাত্ম ছোঁয়াছে এই জীবানু। আর যার জেরে প্রায় স্তব্ধ হয়ে গেছে মানুষের স্বাভাবিক জীবন যাপন। অধিকাংশ মানুষই নিজেকে ঘরবন্দি করে রেখেছেন। বিশ্বের অধিকাংশ দেশই করোনা মোকাবিলায় সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার ওপরই জোর দিয়েছে। প্রথম বিশ্বের দেশগুলির পাশাপাশি উন্নয়নশীল দেশগুলিও লাকডাউনের পথেই হেঁটেছে। অধিকাংশ দেশই বন্ধ করে দিয়েছে সীমান্ত। কিন্ত তাও থাকানো যায়নি মৃত্যু মিছিল। 

এই পরিস্থিতিতে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করলেন রাষ্ট্র সংঘের সেক্রেটারি জেনারেল অ্যান্টনিয় গুতেরাস। তিনি বলেন দ্বিতীয় বিশ্ব যুদ্ধের পর আর কখনও মানব সভ্যতাকে এতবড় চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে হয়নি। এই পরিস্থিতি থেকে তাৎক্ষনিক বেরিয়ে আসার কোনও উপায়ও নেই বলেই মন্তব্য করেছেন তিনি। কিন্তু করোনাভাইরাসের ব্যপক প্রভাব পড়তে চলেছে বিশ্ব অর্থনীতি ও সমাজনীতির ওপর। তবে বিশ্বের সমস্ত দেশ ও সমস্ত মানুষ যদি রাজনৈতিক মতপার্থক্য ভুলে এগিয়ে আসতে পারে, একমাত্র তাহলেই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব। করোনাভাইরাসের সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াইতে সবকিছু পিছনে ফেলে ঐক্যবদ্ধ লড়াইয়ের ওপরই জোর দিয়েছেন তিনি। তবে তা থেকে এখনও বিশ্ব অনেকটাই দূরে রয়েছে বলেও উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন গুতেরাস। 

আরও পড়ুনঃ ভারতে সংক্রমণের হটস্পট কি নিজামুদ্দিন, ট্র্যাক করা হয়েছে ৫টি ট্রেন, চেষ্টা চলছে জমায়েকারীদের চিহ্নিত

আরও পড়ুনঃ আবারও দিল্লিতে করোনায় সংক্রমিত চিকিৎসক, বন্ধ করে দেওয়া হল সরকারি হাসপাতাল

বিশ্বজুড়ে উল্কাগতিতে বাড়ছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। বর্তমানে আক্রান্তের সংখ্যায় ৮,৫০,০০০। এখনও পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ৪২ হাজার মানুষের। যার মধ্যে করোনার আঁতুড়ঘর চিনেই মৃতের সংখ্যা ৩৫০০। তবে এই মুহূর্ত মৃতের তালিকায় প্রথম স্থানেই রয়েছে ইতালি। আক্রান্তের সংখ্যা প্রথম স্থানে রয়েছে আমেরিকা। প্রায় ১লক্ষ ৮০ হাজার মানুষ আক্রান্ত হয়েছে। নিউ ইয়র্ক মরামারীর হটস্পট বলেই চিহ্নিত করা হয়েছে। সব দেশই সামাজিক দূরত্ব বাজায় রাখার ওপরই জোর দিচ্ছে। কিন্তু বারবারই হার মানতে হচ্ছে বিজ্ঞানীদের। 

Share this article
click me!